রাজকীয় বিয়ে
বর্ণাঢ্য
আয়োজনে গাঁটছড়া বাঁধলেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। বৃটিশ
রাজপরিবারের ইতিহাসে সবচেয়ে জমকালো আয়োজনে রাজবধূ হলেন মার্কিন অভিনেত্রী
মেগান। এখন থেকে এ নবদম্পতি পরিচিত হবেন ডিউক অ্যান্ড ডাচেস অব সাসেক্স
হিসেবে। উইন্সসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে বৃটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও ৬০০
অভিজাত অতিথির উপস্থিতিতে তারা শপথ নেন একসঙ্গে বাকি জীবন অতিবাহিত করার।
এর আগে তারা পরস্পরের আঙলে আংটি পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গির্জায় বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে উপস্থিত হন প্রিন্স হ্যারি। পরে শ্বশুর প্রিন্স চার্লসের হাত ধরে সেখানে হাজির হন সফেদ পোশাক পরিহিত মেগান মার্কেল। স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে তাদের বিয়ে পড়ান যাজক জাস্টিন উইলবি। পরে উইন্ডসরের রাস্তায় নববিবাহিত দম্পতিকে নিয়ে রাজকীয় শোভাযাত্রা বের হয়। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন তারা।
বিয়ের মূল অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই চ্যাপেলে হাজির হতে শুরু করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অপরাহ উইনফ্রে, জর্জ ও আমাল ক্লুনি, ডেভিড বেকহ্যাম, ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম ও স্যার এল্টন জন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্বামী ফিলিপের সঙ্গে একটি ছাদখোলা গাড়িতে চড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এসময় রাস্তায় দু’পাশে অবস্থান নেয় হাজারো মানুষ। তারা হাত নেড়ে মহামান্য রানীকে অভিবাদন জানান। শনিবার সন্ধ্যায় নবদম্পতির সম্মানে রাজকীয় পার্টি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যাতে উপস্থিত থাকবেন দুই শতাধিক অভিজাত অতিথি।
এদিন রাজপরিবারের উল্লেখযোগ্য প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে, একজনের অনুপস্থিতি ঠিকই অনুভব করেছেন প্রিন্স হ্যারি। তার প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানা। তিনি থাকলে ছোটছেলে প্রিন্স হ্যারির নববধূকে তিনিই বরণ করে নিতেন। হ্যারির মতো তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়েও হয়েছে মায়ের অনুপস্থিতিতে। তবে, দু’ছেলেই তাদের প্রিয় মাকে নিজেদের বিয়ের অংশ করে রেখেছেন। ২০১০ সালে উইলিয়াম কেট মিডলটনের হাতে বাগদানের যে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন সেটা ছিল প্রিন্সেস ডায়ানার। আর প্রিন্স হ্যারি বাগদানের যে আংটি মেগান মার্কেলকে দিয়েছেন তাতে রয়েছে ডায়ানার অলংকারের সংগ্রহ থেকে নেয়া কতগুলো হীরা। আর আরেকজনের অনুপস্থিতি কাঁদিয়েছে রাজবধূ মেগান মার্কেলকে। তার পিতা থমাস মার্কেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বৃহস্পতিবার তার অনুপস্থিতিতেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার রিহার্সেল করেন বর ও কনে। তখন বার বার পিতার অনুপস্থিতি কাঁদিয়েছে মেগান মার্কেলকে। আর তা দেখে কেঁদেছেন প্রিন্স হ্যারিও। ছোট ভাইয়ের হবু বউ, ছোটভাইকে এভাবে কাঁদতে দেখে অশ্রুসজল হয়ে যান প্রিন্স উইলিয়ামও।
রাজকীয় এ বিয়ে উপভোগ করতে করতে আগের দিন রাত থেকেই উইন্ডসরের রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে এমন স্থানটি নিশ্চিত করতে তারা রাতেই জায়গা দখল করেন। কেউ কেউ পুরো রাতই কাটিয়ে দেন রাস্তায়। বিয়ে করার আগের রাতে উইন্ডসরে সমবেত লোকজনকে প্রিন্স হ্যারি আশার বাণী শোনান। বলেন, তিনি একেবারে রিলাক্সড। অর্থাৎ তিনি শান্ত আছেন। অন্যদিকে মেগান মার্কেল বলেন ওয়ান্ডারফুল অনুভূতি কাজ করছে তার মধ্যে। কয়েকদিন ধরেই বৃটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিয়ের খবরই প্রাধান্য পেয়েছে। বেশির ভাগই সব খবর নামিয়ে প্রধান সংবাদ শিরোনাম করেছে এ নিয়ে। রাজপরিবার বিষয়ক বিবিসির সাংবাদিক জোনি ডায়মন্ড বলছেন, রাজপরিবারের প্রতিটি বিয়েই আলাদা। তবে প্রতিটি বিয়েই একটি সম্ভাবনা নিয়ে আসে কোনো না কোনোভাবে। এর মধ্য দিয়ে রাজপরিবার যে নতুন করে যাত্রা করে। তবে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের মধ্যে যে বিয়ে হতে যাচ্ছে তাকে ‘বিগ ওয়েডিং’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনটা খুব কমই ঘটে। এ বিয়ে যেন বৈশ্বিক রূপ পেয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
জমকালো এ বিয়ের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। শীর্ষ টিভি ও নিউজ চ্যানেলগুলো ও তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পুরো আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। মেগান মার্কেল যখন সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন হিথ্রোর ওপর নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়।
হ্যারি-মেগানের রাজসিক বিয়ে ২০১১ সালে হওয়া প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে থেকে কিছুটা আলাদা ছিল। এদিন কোনো রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রদূত বা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন না। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ও বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন টিভিতে। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন নবরাজদম্পতি প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গির্জায় বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে উপস্থিত হন প্রিন্স হ্যারি। পরে শ্বশুর প্রিন্স চার্লসের হাত ধরে সেখানে হাজির হন সফেদ পোশাক পরিহিত মেগান মার্কেল। স্থানীয় সময় বেলা একটার দিকে তাদের বিয়ে পড়ান যাজক জাস্টিন উইলবি। পরে উইন্ডসরের রাস্তায় নববিবাহিত দম্পতিকে নিয়ে রাজকীয় শোভাযাত্রা বের হয়। ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে শহর প্রদক্ষিণ করেন তারা।
বিয়ের মূল অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই চ্যাপেলে হাজির হতে শুরু করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অপরাহ উইনফ্রে, জর্জ ও আমাল ক্লুনি, ডেভিড বেকহ্যাম, ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম ও স্যার এল্টন জন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ স্বামী ফিলিপের সঙ্গে একটি ছাদখোলা গাড়িতে চড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। এসময় রাস্তায় দু’পাশে অবস্থান নেয় হাজারো মানুষ। তারা হাত নেড়ে মহামান্য রানীকে অভিবাদন জানান। শনিবার সন্ধ্যায় নবদম্পতির সম্মানে রাজকীয় পার্টি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যাতে উপস্থিত থাকবেন দুই শতাধিক অভিজাত অতিথি।
এদিন রাজপরিবারের উল্লেখযোগ্য প্রত্যেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে, একজনের অনুপস্থিতি ঠিকই অনুভব করেছেন প্রিন্স হ্যারি। তার প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানা। তিনি থাকলে ছোটছেলে প্রিন্স হ্যারির নববধূকে তিনিই বরণ করে নিতেন। হ্যারির মতো তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়েও হয়েছে মায়ের অনুপস্থিতিতে। তবে, দু’ছেলেই তাদের প্রিয় মাকে নিজেদের বিয়ের অংশ করে রেখেছেন। ২০১০ সালে উইলিয়াম কেট মিডলটনের হাতে বাগদানের যে আংটি পরিয়ে দিয়েছিলেন সেটা ছিল প্রিন্সেস ডায়ানার। আর প্রিন্স হ্যারি বাগদানের যে আংটি মেগান মার্কেলকে দিয়েছেন তাতে রয়েছে ডায়ানার অলংকারের সংগ্রহ থেকে নেয়া কতগুলো হীরা। আর আরেকজনের অনুপস্থিতি কাঁদিয়েছে রাজবধূ মেগান মার্কেলকে। তার পিতা থমাস মার্কেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বৃহস্পতিবার তার অনুপস্থিতিতেই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার রিহার্সেল করেন বর ও কনে। তখন বার বার পিতার অনুপস্থিতি কাঁদিয়েছে মেগান মার্কেলকে। আর তা দেখে কেঁদেছেন প্রিন্স হ্যারিও। ছোট ভাইয়ের হবু বউ, ছোটভাইকে এভাবে কাঁদতে দেখে অশ্রুসজল হয়ে যান প্রিন্স উইলিয়ামও।
রাজকীয় এ বিয়ে উপভোগ করতে করতে আগের দিন রাত থেকেই উইন্ডসরের রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল নামে। সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যাবে এমন স্থানটি নিশ্চিত করতে তারা রাতেই জায়গা দখল করেন। কেউ কেউ পুরো রাতই কাটিয়ে দেন রাস্তায়। বিয়ে করার আগের রাতে উইন্ডসরে সমবেত লোকজনকে প্রিন্স হ্যারি আশার বাণী শোনান। বলেন, তিনি একেবারে রিলাক্সড। অর্থাৎ তিনি শান্ত আছেন। অন্যদিকে মেগান মার্কেল বলেন ওয়ান্ডারফুল অনুভূতি কাজ করছে তার মধ্যে। কয়েকদিন ধরেই বৃটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে বিয়ের খবরই প্রাধান্য পেয়েছে। বেশির ভাগই সব খবর নামিয়ে প্রধান সংবাদ শিরোনাম করেছে এ নিয়ে। রাজপরিবার বিষয়ক বিবিসির সাংবাদিক জোনি ডায়মন্ড বলছেন, রাজপরিবারের প্রতিটি বিয়েই আলাদা। তবে প্রতিটি বিয়েই একটি সম্ভাবনা নিয়ে আসে কোনো না কোনোভাবে। এর মধ্য দিয়ে রাজপরিবার যে নতুন করে যাত্রা করে। তবে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলের মধ্যে যে বিয়ে হতে যাচ্ছে তাকে ‘বিগ ওয়েডিং’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এমনটা খুব কমই ঘটে। এ বিয়ে যেন বৈশ্বিক রূপ পেয়েছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
জমকালো এ বিয়ের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ। শীর্ষ টিভি ও নিউজ চ্যানেলগুলো ও তাদের ইউটিউব চ্যানেলে পুরো আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। মেগান মার্কেল যখন সেন্ট জর্জ চ্যাপেলের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন তখন হিথ্রোর ওপর নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়।
হ্যারি-মেগানের রাজসিক বিয়ে ২০১১ সালে হওয়া প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে থেকে কিছুটা আলাদা ছিল। এদিন কোনো রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্রদূত বা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন না। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’ও বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন টিভিতে। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি শুভকামনা জানিয়েছেন নবরাজদম্পতি প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলকে।
No comments