ক্ষোভের মুখে সিকৃবির নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত: দিনভর উত্তেজনা, পুলিশ মোতায়েন
ইন্টারভিউ
কার্ড ইস্যু না করায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে স্থগিত করা
হয়েছে নিয়োগ পরীক্ষা। বিক্ষোভকালে পুলিশ মোতায়েন, শিক্ষকদের আচরণ নিয়ে
হতাশা ব্যক্ত করেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। তারা বলেন, নিয়ম লঙ্ঘন করে পরীক্ষা
গ্রহণের প্রস্তুতি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে দেখা যায়নি। এর
প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে নানা হুমকির মুখে পড়েন চাকরি প্রত্যাশীরা। এ কারণে
গতকাল দিনভর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উত্তেজনা বিরাজ
করে। পরে অবশ্য ভিসির নির্দেশে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হলে পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়ে আসে।
চাকরি প্রত্যাশীরা জানিয়েছেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গত ৫ই এপ্রিল ১১টি প্রশাসনিক পদে ১১ জন কর্মকর্তা ও ১১ জন কর্মচারী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৩০০ জন চাকরি প্রত্যাশী আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী তারা চাকরির আবেদনের পর ইন্টারভিউ কার্ড পাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নিয়োগ কমিটির পক্ষ থেকে কোনো ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়নি।
তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয় শনিবার তাদের পরীক্ষা। যারা পরীক্ষায় অংশ নেবেন তারা যেনো এসে অংশ নেয়। অথচ এর আগে ৩০০ জন থেকে বাছাই করে ৫০ জনের একটি শর্ট লিস্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। ওই শর্ট লিস্টে যাদের নাম রয়েছে তাদের কেবল মোবাইল ফোনে ইন্টারভিউয়ের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। এদিকে- পরীক্ষার খবর শুক্রবার রাতে চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চাকরি প্রত্যাশীরা কোনো ইন্টারভিউ কার্ড না পাওয়ায় তারা বুঝতে পারেননি ইন্টারভিউয়ের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে কী না?-এই বিভ্রান্তির মধ্যে গতকাল সকাল থেকে চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারী ভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা ইন্টারভিউ কার্ড প্রদানের জন্য স্লোগান দেন। এবং প্লেকার্ড ঝুলিয়ে দাবি জানান। এদিকে- বিক্ষুব্ধ চাকুরী প্রার্থীদের শান্ত করতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ মোতায়েনের পর আরো বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা জানায়- গোটা দেশ থেকে চাকরি প্রত্যাশীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য সিলেটে এসেছেন। কিন্তু কার্ড না পাওয়ায় তারা ইন্টারভিউ দিতে পারছেন না। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর নাজিম উদ্দিন সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ চাকুরী প্রার্থীদের শান্ত করেন। কিন্তু ওই ফাকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের এক নেতা গিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়ে।
এই অবস্থায় দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। ছিলেন রেজিস্ট্রারও। চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি যৌক্তিকতা বিবেচনা করে ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম শাহি আলমের নির্দেশে ওই নিয়োগপরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে চাকরি প্রত্যাশীদের বিষয়টি অবগত করলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। আন্দোলনকারীদের নেতা সিকৃবি ছাত্রলীগের নেতা নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন- যাদের মাস্টাররোলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এই নিয়োগে তাদের বৈধতা দেয়ার সুযোগ নেই। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী তাদের দুই বছর চাকুরী হতে হবে। কিন্তু ওদের চাকুরীর বয়স হয়েছে মাত্র ১ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব জানিয়েছেন- ভিসির নির্দেশে ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
চাকরি প্রত্যাশীরা জানিয়েছেন- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে গত ৫ই এপ্রিল ১১টি প্রশাসনিক পদে ১১ জন কর্মকর্তা ও ১১ জন কর্মচারী নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে গোটা দেশ থেকে প্রায় ৩০০ জন চাকরি প্রত্যাশী আবেদন করেন। নিয়ম অনুযায়ী তারা চাকরির আবেদনের পর ইন্টারভিউ কার্ড পাওয়ার কথা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই নিয়োগ কমিটির পক্ষ থেকে কোনো ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করা হয়নি।
তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস থেকে ফোন করে জানানো হয় শনিবার তাদের পরীক্ষা। যারা পরীক্ষায় অংশ নেবেন তারা যেনো এসে অংশ নেয়। অথচ এর আগে ৩০০ জন থেকে বাছাই করে ৫০ জনের একটি শর্ট লিস্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। ওই শর্ট লিস্টে যাদের নাম রয়েছে তাদের কেবল মোবাইল ফোনে ইন্টারভিউয়ের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। এদিকে- পরীক্ষার খবর শুক্রবার রাতে চাকরি প্রত্যাশীদের মধ্যে জানাজানি হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চাকরি প্রত্যাশীরা কোনো ইন্টারভিউ কার্ড না পাওয়ায় তারা বুঝতে পারেননি ইন্টারভিউয়ের জন্য তাদের ডাকা হয়েছে কী না?-এই বিভ্রান্তির মধ্যে গতকাল সকাল থেকে চাকরি প্রত্যাশী প্রার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারী ভবনের সামনে জড়ো হন। এ সময় তারা ইন্টারভিউ কার্ড প্রদানের জন্য স্লোগান দেন। এবং প্লেকার্ড ঝুলিয়ে দাবি জানান। এদিকে- বিক্ষুব্ধ চাকুরী প্রার্থীদের শান্ত করতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ মোতায়েনের পর আরো বেশি বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রশাসনিক ভবনের তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা জানায়- গোটা দেশ থেকে চাকরি প্রত্যাশীরা ইন্টারভিউয়ের জন্য সিলেটে এসেছেন। কিন্তু কার্ড না পাওয়ায় তারা ইন্টারভিউ দিতে পারছেন না। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর নাজিম উদ্দিন সেখানে গিয়ে বিক্ষুব্ধ চাকুরী প্রার্থীদের শান্ত করেন। কিন্তু ওই ফাকে গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের এক নেতা গিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ফের উত্তেজনা দেখা দিয়ে।
এই অবস্থায় দুপুরের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে দেখা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর। ছিলেন রেজিস্ট্রারও। চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি যৌক্তিকতা বিবেচনা করে ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম শাহি আলমের নির্দেশে ওই নিয়োগপরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে চাকরি প্রত্যাশীদের বিষয়টি অবগত করলে তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে। আন্দোলনকারীদের নেতা সিকৃবি ছাত্রলীগের নেতা নিজাম উদ্দিন জানিয়েছেন- যাদের মাস্টাররোলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে এই নিয়োগে তাদের বৈধতা দেয়ার সুযোগ নেই। ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী তাদের দুই বছর চাকুরী হতে হবে। কিন্তু ওদের চাকুরীর বয়স হয়েছে মাত্র ১ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব জানিয়েছেন- ভিসির নির্দেশে ওই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।
No comments