উদ্বেগের অবসান- সালাহ উদ্দিনকে দ্রুত ফিরিয়ে আনুন
অবিশ্বাস্য
ঘটনা! সবাই ভাবছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদকে আর ফিরে
পাওয়া যাবে না। কিন্তু নিখোঁজ হওয়ার দুই মাস পর হঠাৎ জানা গেল, তিনি
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের একটি হাসপাতালে আছেন। সন্দেহ-অবিশ্বাসের
প্রেক্ষাপটে সালাহ উদ্দিন আহমদের বেঁচে থাকার সংবাদ নিঃসন্দেহে
স্বস্তিদায়ক। কিন্তু তিনি কীভাবে অপহৃত হয়ে প্রতিবেশী দেশে গেলেন বা তাঁকে
নিয়ে যাওয়া হলো, সেই প্রশ্নের উত্তরও পাওয়া জরুরি।
সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁকে উত্তরার বাসা থেকে অপহরণের পর বন্দী করে রাখা হয়। সব সময় তাঁর চোখ বেঁধে রাখা হতো। পরে একটি গাড়িতে করে তাঁকে শিলংয়ে নিয়ে ফেলে আসা হয়। তাঁর কাছে ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকায় আটক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি যে বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, এ তথ্য জানার পর হাসপাতাল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রত্যাশিত মর্যাদা দিয়েছে।
কে বা কোন মহল তাঁকে অপহরণ করেছিল, কেন করেছিল, কোনো মুক্তিপণ দাবি না করে এবং শারীরিক নির্যাতন না করে আবার কেনই বা তাঁকে ফেলে দিয়ে এল প্রতিবেশী দেশে—এই সব অসংখ্য উত্তরবিহীন প্রশ্ন এখন সবার মনকে আলোড়িত করছে। এসব প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য উত্তর বের করার দায়িত্ব সরকারের।
সালাহ উদ্দিনকে অপহরণের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছিল। আর সরকারের পক্ষ থেকে একে বিএনপিরই কারসাজি বলে পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছিল। সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া গেল কি না, সে বিষয়ে নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সরকার, প্রশাসন বা পুলিশ কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের কর্তব্য। এখন তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী। একটি বিশেষ পরিস্থিতির শিকার তিনি। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ তাঁর ক্ষেত্রে খাটে না। তিনি বেঁচে আছেন, এটাই বড় কথা। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
সালাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, তাঁকে উত্তরার বাসা থেকে অপহরণের পর বন্দী করে রাখা হয়। সব সময় তাঁর চোখ বেঁধে রাখা হতো। পরে একটি গাড়িতে করে তাঁকে শিলংয়ে নিয়ে ফেলে আসা হয়। তাঁর কাছে ভ্রমণের কাগজপত্র না থাকায় আটক করা হয়েছে। কিন্তু তিনি যে বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, এ তথ্য জানার পর হাসপাতাল ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ তাঁর সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে প্রত্যাশিত মর্যাদা দিয়েছে।
কে বা কোন মহল তাঁকে অপহরণ করেছিল, কেন করেছিল, কোনো মুক্তিপণ দাবি না করে এবং শারীরিক নির্যাতন না করে আবার কেনই বা তাঁকে ফেলে দিয়ে এল প্রতিবেশী দেশে—এই সব অসংখ্য উত্তরবিহীন প্রশ্ন এখন সবার মনকে আলোড়িত করছে। এসব প্রশ্নের বিশ্বাসযোগ্য উত্তর বের করার দায়িত্ব সরকারের।
সালাহ উদ্দিনকে অপহরণের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছিল। আর সরকারের পক্ষ থেকে একে বিএনপিরই কারসাজি বলে পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছিল। সালাহ উদ্দিনকে খুঁজে পাওয়া গেল কি না, সে বিষয়ে নিয়মিত অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সরকার, প্রশাসন বা পুলিশ কোনোভাবেই দায় এড়াতে পারে না। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের কর্তব্য। এখন তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তিনি সাবেক প্রতিমন্ত্রী। একটি বিশেষ পরিস্থিতির শিকার তিনি। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ তাঁর ক্ষেত্রে খাটে না। তিনি বেঁচে আছেন, এটাই বড় কথা। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক।
No comments