আইএস নিয়ে তুরস্কে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ, নিহত ১৪
সিরিয়া ও ইরাকের বিস্তৃত এলাকা দখলে রাখা
জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায়
তুরস্কে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে।
এ বিক্ষোভে সরকারি বাহিনীর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আটজন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে ৩০ জন এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রোসেফ তাইয়েপ এরদোগান সতর্ক করে মঙ্গলবার বলেন, সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত গুরুত্বপূর্ণ শহর কোবানি আইএস যোদ্ধাদের হাতে চলে গেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী সেখানে ব্যর্থ হয়েছে।
তার এ বক্তব্যের পর মঙ্গলবার রাতে তুরস্কের কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের পদক্ষেপের প্রতিবাদে কুর্দিরা রাস্তায় নেমে আসে। ক্রমান্বয়ে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে বাধা না দিলেও এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা সড়কে আগুন জ্বেলে প্রতিবাদ ও গাড়িতে ভাঙচুর করতে থাকে এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ জলকমান ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। আর শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে কোবানি শহরে আইএস জঙ্গিদের ওপর হামলা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাতে থাকে।
এই বিক্ষোভ দেশটির রাজধানী আঙ্কারা এবং সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলেও ছড়িয়ে পড়ে। আর এই দুটি শহর থেকেই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। এখানে সংঘর্ষে আট পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয় বলে বুধবার সকালে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কুর্দি অধ্যুষিত শহর দিয়ারবাকিরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় পূর্বাঞ্চলের মাস- এর ভার্তো শহরে ২৫ বছর বয়সী একজন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে।
আর দুজন মারা গেছে দক্ষিণাঞ্চলের সিরতে প্রদেশে এবং আরো একজন মারা গেছে পার্শ্ববর্তী ব্যাটম্যানে।
এছাড়া কর্তৃপক্ষ দিয়ারবাকির, সিরতে এবং ভ্যানসহ ছয়টি শহরে কারফিউ জারি করেছে। এসব এলাকায় সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী কোবানিতে আইএস ঢুকে পড়ায় বিক্ষোভ করে।
এর আগে ১ অক্টোবর সংসদে এরদোগান ভাষণে বলেন, তুরস্ক আইএসসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ সময় তিনি প্রয়োজনে ইরাক এবং সিরিয়াতে আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা আইএস এবং অন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে কার্যকরি যুদ্ধেই রয়েছি। এ অঞ্চলের নিরাপত্তাই সব সময় আমাদের অগ্রাধিকার।’
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আযহার দিন থেকে কোবানি দখলে এসে আইএস যোদ্ধারা বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় পথে পথে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়। সোমবার রাতভর লড়াই শেষে তারা মঙ্গলবার ভোরে কোবানিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
কোবানির দখল নিলেও এখনো থেমে থেমে কুর্দি এবং সিরীয় পুলিশের সঙ্গে আইএস যোদ্ধাদের সংঘর্ষ হচ্ছে।
কোবানি দখল করার ফলে আইএস যোদ্ধারা এখন সিরিয়া এবং তুরস্কের সীমান্তের শক্ত নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে। ইতোমধ্যে দুই লাখ লোক কোবানি থেকে তুরস্ক এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে।
এদিকে, আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সর্বশেষ শান্তিপ্রিয় কানাডা যোগ দিয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে ভোটাভুটিতে আইএস জঙ্গিদের ওপর বিমান হামলার পক্ষে ভোট পড়ে। হোয়াইট হাউস কানাডার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা, আলআহরাম
এ বিক্ষোভে সরকারি বাহিনীর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছে। আটজন পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছে ৩০ জন এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রোসেফ তাইয়েপ এরদোগান সতর্ক করে মঙ্গলবার বলেন, সিরিয়ার কুর্দি অধ্যুষিত গুরুত্বপূর্ণ শহর কোবানি আইএস যোদ্ধাদের হাতে চলে গেছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনী সেখানে ব্যর্থ হয়েছে।
তার এ বক্তব্যের পর মঙ্গলবার রাতে তুরস্কের কুর্দি সংখ্যাগরিষ্ঠ পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুরস্কের পদক্ষেপের প্রতিবাদে কুর্দিরা রাস্তায় নেমে আসে। ক্রমান্বয়ে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে বাধা না দিলেও এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তারা সড়কে আগুন জ্বেলে প্রতিবাদ ও গাড়িতে ভাঙচুর করতে থাকে এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে।
এক পর্যায়ে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ জলকমান ও টিয়ারশেল ব্যবহার করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। আর শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে কোবানি শহরে আইএস জঙ্গিদের ওপর হামলা করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাতে থাকে।
এই বিক্ষোভ দেশটির রাজধানী আঙ্কারা এবং সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলেও ছড়িয়ে পড়ে। আর এই দুটি শহর থেকেই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়। এখানে সংঘর্ষে আট পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয় বলে বুধবার সকালে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কুর্দি অধ্যুষিত শহর দিয়ারবাকিরে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় পূর্বাঞ্চলের মাস- এর ভার্তো শহরে ২৫ বছর বয়সী একজন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম খবর দিয়েছে।
আর দুজন মারা গেছে দক্ষিণাঞ্চলের সিরতে প্রদেশে এবং আরো একজন মারা গেছে পার্শ্ববর্তী ব্যাটম্যানে।
এছাড়া কর্তৃপক্ষ দিয়ারবাকির, সিরতে এবং ভ্যানসহ ছয়টি শহরে কারফিউ জারি করেছে। এসব এলাকায় সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী কোবানিতে আইএস ঢুকে পড়ায় বিক্ষোভ করে।
এর আগে ১ অক্টোবর সংসদে এরদোগান ভাষণে বলেন, তুরস্ক আইএসসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এ সময় তিনি প্রয়োজনে ইরাক এবং সিরিয়াতে আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব করেন।
এরদোগান বলেন, ‘আমরা আইএস এবং অন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে কার্যকরি যুদ্ধেই রয়েছি। এ অঞ্চলের নিরাপত্তাই সব সময় আমাদের অগ্রাধিকার।’
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আযহার দিন থেকে কোবানি দখলে এসে আইএস যোদ্ধারা বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় পথে পথে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই হয়। সোমবার রাতভর লড়াই শেষে তারা মঙ্গলবার ভোরে কোবানিতে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়।
কোবানির দখল নিলেও এখনো থেমে থেমে কুর্দি এবং সিরীয় পুলিশের সঙ্গে আইএস যোদ্ধাদের সংঘর্ষ হচ্ছে।
কোবানি দখল করার ফলে আইএস যোদ্ধারা এখন সিরিয়া এবং তুরস্কের সীমান্তের শক্ত নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে। ইতোমধ্যে দুই লাখ লোক কোবানি থেকে তুরস্ক এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে গেছে।
এদিকে, আইএস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সর্বশেষ শান্তিপ্রিয় কানাডা যোগ দিয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে ভোটাভুটিতে আইএস জঙ্গিদের ওপর বিমান হামলার পক্ষে ভোট পড়ে। হোয়াইট হাউস কানাডার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা, আলআহরাম
No comments