ইয়াবা সেবনে এগিয়ে শিক্ষার্থীরা
দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ইয়াবা
সেবনকারীর সংখ্যা। তবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের
মধ্যেই ইয়াবা আসক্তের সংখ্যা বেশি। তুলনামূলক সহজলভ্য হওয়ায় তরুণ প্রজন্ম
নিছক আড্ডার ছলেই জড়িয়ে পড়ছে সর্বনাশা এই মাদকের জালে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষিতে ব্যবসার নেটওয়ার্ক বদলাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ঢাবি, জাবি, জবি ও ইডেনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভাবে জড়িয়ে পড়ছে এ নেশায়। ফলে ক্রমেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষৎ প্রজন্ম।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছরই আশংকাজনকভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে আটক করা ইয়াবার পরিমানও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইয়াবার বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে এর রুট হিসেবে পরিচিত মায়ানমার-কক্সবাজার বদলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসংলগ্ন বাংলাদেশী সীমান্ত ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত যেভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা শহরে প্রবেশ করে তার মধ্যে থেকে মাদকের সকল চালান ধরা আসলে কঠিন ব্যাপার। আমরা যখন মাদক আমদানিকারকদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাই, তারা যেন সেখান থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে আমরা সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আমির হোসেন বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুলিশ, র্যাব, বিজিবি প্রতিনিয়ত মাদকের বড় বড় রুটগুলো বের করে অভিযান পরিচালনা করেন কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা আরও সুচতুর। তারাও নিয়মিত রুট পরিবর্তন করে।
মাদকসেবীদের পুনর্বাসনে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের কর্মকর্তারা জানালেন, ইয়াবার সহজলভ্যতার কারণে সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে।
ক্রিয়া পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১০০জনের মধ্যে ৮০ জনকেই ইয়াবা সেবী হিসেবে পাচ্ছি। আর মেয়েদের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে এটি ছড়িয়ে গেছে। এমনটি স্বামী-স্ত্রী মিলেও মাদকসেবী হয়ে উঠছে। এখন এটি উচ্চবিত্ত থেকে সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে।’
সর্বনাশা এই মাদকের কবল থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে এখনি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষিতে ব্যবসার নেটওয়ার্ক বদলাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
ইয়াবাসহ সব ধরণের মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর ঢাবি, জাবি, জবি ও ইডেনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য ভাবে জড়িয়ে পড়ছে এ নেশায়। ফলে ক্রমেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভবিষৎ প্রজন্ম।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০০৯ সাল থেকে প্রতি বছরই আশংকাজনকভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে আটক করা ইয়াবার পরিমানও।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইয়াবার বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকে এর রুট হিসেবে পরিচিত মায়ানমার-কক্সবাজার বদলে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসংলগ্ন বাংলাদেশী সীমান্ত ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডিএমপি ডিবির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিনিয়ত যেভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা শহরে প্রবেশ করে তার মধ্যে থেকে মাদকের সকল চালান ধরা আসলে কঠিন ব্যাপার। আমরা যখন মাদক আমদানিকারকদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠাই, তারা যেন সেখান থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়ে না যেতে পারে আমরা সেটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করি।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আমির হোসেন বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পুলিশ, র্যাব, বিজিবি প্রতিনিয়ত মাদকের বড় বড় রুটগুলো বের করে অভিযান পরিচালনা করেন কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা আরও সুচতুর। তারাও নিয়মিত রুট পরিবর্তন করে।
মাদকসেবীদের পুনর্বাসনে কাজ করে এমন একটি সংগঠনের কর্মকর্তারা জানালেন, ইয়াবার সহজলভ্যতার কারণে সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে।
ক্রিয়া পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১০০জনের মধ্যে ৮০ জনকেই ইয়াবা সেবী হিসেবে পাচ্ছি। আর মেয়েদের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে এটি ছড়িয়ে গেছে। এমনটি স্বামী-স্ত্রী মিলেও মাদকসেবী হয়ে উঠছে। এখন এটি উচ্চবিত্ত থেকে সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়ছে।’
সর্বনাশা এই মাদকের কবল থেকে নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে সরকারের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে এখনি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
No comments