আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের মোহ by মইনুল ইসলাম
২৩ ও ২৪ সেপ্টেম্বরের পত্রিকায় খবর
প্রকাশিত হয়েছে, আইএমএফ তাদের ইসিএফ (এক্সটেনডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি)-এর ঋণ
কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশকে আরেকটি ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দিলেও
অর্থমন্ত্রী ওই ঋণ বাংলাদেশ এখন নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে
নতুন করে আইএমএফের কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে আলোচনার
প্রয়োজন বোধ করছেন তিনি। এই বিলম্বিত আত্মোপলব্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীকে
ধন্যবাদ।
প্রকৃতপক্ষে, যে ইসিএফ ঋণটা কিস্তিতে কিস্তিতে এখন বাংলাদেশকে দেওয়া হচ্ছে এবং যে ঋণের ছয়টি কিস্তির মধ্যে চারটি কিস্তি এর মধ্যেই ছাড় করা হয়েছে, ওটার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। ওই এক বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদনের সময় আমি প্রথম আলোয় এক কলামে মন্তব্য করেছিলাম, প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের ঋণ পাওয়া গেলেই মহা খুশিতে গদগদ হয়ে তা গ্রহণের যে বদখাসলত প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সময় পরিলক্ষিত হতো, তা পরিহারের মানসিকতা আমাদের সরকারের নীতিপ্রণেতাদের গড়ে তুলতে হবে। কারণ, আমাদের অর্থনীতি পুরোনো দিনের খয়রাত-নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান এখন এ দেশের জিডিপির ২ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। তথাকথিত ‘সফট লোনের’ নামে একগাদা অপমানজনক শর্তের জালে জাতিকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলার এই সাম্রাজ্যবাদী কৌশল বুঝে-শুনে হজম করার আর প্রয়োজন নেই।
আপাতবিচারে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের সুদের হার কম দেখিয়ে এগুলোকে ‘সফট লোন’ আখ্যা দেওয়া হলেও শর্তের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় এগুলো প্রায়ই উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশের সরকারি নীতি গ্রহণের সার্বভৌমত্ব খর্বকারী হয়ে থাকে। দুঃখজনক হলো, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণের শর্তগুলো সরকার কখনো জনগণকে জানায় না। কেন এই শর্তগুলো ‘স্টেট সিক্রেট’ হবে, জনগণকে তার কোনো ব্যাখ্যা প্রদানের প্রয়োজনীয়তা এ দেশের কোনো সরকারই উপলব্ধি করেনি। সংসদের কোনো সদস্য কোন ঋণের সঙ্গে কী কী শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, সংসদে তা জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কোনো দিন জানতে চেয়েছেন বলেও মনে পড়ে না। অথচ এটা জানার সাংবিধানিক অধিকার তাঁর রয়েছে। এমনকি স্বয়ং অর্থমন্ত্রীরাও চুক্তি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর্যায়ে সেগুলো খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখেন কি না, সে সন্দেহ খোদ অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যেই পরিলক্ষিত। তিনি বলেছেন, বর্তমান ইসিএফ ঋণের শর্ত মোতাবেক মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন সংস্কারের বিলম্বের যে অভিযোগ আইএমএফ বারবার তুলছে, তা ঋণের ‘কন্ডিশনালিটির’ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। কথাটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আসলে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের সময় ব্যাপারটা হয়তো তাঁর চোখ এড়িয়ে গেছে। কারণ, আইএমএফ ঋণের শর্তের জাল বিস্তৃত হতে হতে সরকারের ভ্যাটনীতি সংস্কার পর্যন্ত যে পৌঁছে যেতে পারে, তা হয়তো তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেননি। এখন বিষয়টি জানার পর তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলছেন, এটা তাদের ব্যাপার নয়। বাজেট সাপোর্ট হিসেবে গৃহীত ঋণের শর্তাবলি সরকারের যেকোনো কার্যক্রমেই আইএমএফের হস্তক্ষেপের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে—এটুকু অর্থমন্ত্রীর অজানা থাকার কথা নয়।
গত ২৫ নভেম্বরের পত্রপত্রিকার খবর, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনও এই ইসিএফ ঋণের শর্তপূরণ করতে পারেনি। প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঋণের ‘কন্ডিশনালিটি’র বহর সুপরিকল্পিতভাবে ক্রমেই বিস্তৃত করা হচ্ছে ঋণগ্রহীতা দেশগুলোর তাবৎ নীতি প্রণয়নকে এসব সংস্থার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য। অভ্যন্তরীণ ঋণবাজার থেকে ঋণ নিলে সুদের হার বেশি পড়বে, এটাই আমাদের অর্থমন্ত্রীদের বরাবরের যুক্তি। অপমানজনক শর্ত হজম করাটা হয়তো তাঁদের ধাতস্থ হয়ে গেছে!
আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের তথাকথিত ‘সফট লোনের’ শর্তের বহর হু হু করে বাড়তে শুরু করেছিল গত শতাব্দীর সত্তর ও আশির দশক থেকে, যখন দু-দুটো তেলসংকটের অভিঘাত উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলো সুচতুরভাবে তেল আমদানিকারক উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাঁধে ন্যস্ত করে দেওয়ায় ওসব দেশ তাদের ব্যালান্স অব পেমেন্টসে লাগাতার ঘাটতির কারণে ঋণের জন্য এই দুটো সংস্থার কাছে ধরনা দিতে বাধ্য হয়েছিল। ঠিক ওই পর্যায়েই মুক্তবাজার অর্থনীতি, সাপ্লাই সাইড ইকোনমিকস, নিউ লিবারেলিজম—এ ধরনের হরেক কিসিমের নাম নিয়ে কট্টর দক্ষিণপন্থী পুঁজিবাদী মতাদর্শের ধ্বজাধারীরা ‘বাজার মৌলবাদ বা মার্কেট ফান্ডামেন্টালিজম’কে সারা বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য যুদ্ধংদেহী তৎপরতা জোরদার করেছিল।
ষাট ও সত্তরের দশকের ভিয়েতনাম যুদ্ধ, গোল্ড ক্রাইসিস বা ডলার ক্রাইসিস, ১৯৭৩ সালের প্রথম তেলসংকট এবং ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় তেলসংকটের পরিপ্রেক্ষিতে পুঁজিবাদী বিশ্ব যখন যুগপৎ মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্বের সমস্যায় হাবুডুবু খেতে শুরু করেছিল, তখন ‘রাষ্ট্র ব্যর্থতা’ এবং কিন্সীয় সামগ্রিক চাহিদা ব্যবস্থাপনার অকার্যকারিতার তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ওপর ভর করে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রিডম্যানের নেতৃত্বে এই বাজার মৌলবাদী চিন্তাধারা শক্তিশালী হতে শুরু করেছিল। ১৯৭৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ, আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে একটা ত্রিপক্ষীয় সমঝোতায় উপনীত হয়েছিল, যেটাকে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন উইলিয়ামসন ১৯৮৯ সালে ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ বলে অভিহিত করার পর একাডেমিক জগতে তা বহুল পরিচিতি অর্জন করেছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৭ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বাজার মৌলবাদী নীতি সংস্কার ব্রিটেনে একের পর এক প্রয়োগের ধারা জোরদার হয়, যে জন্য ওই দক্ষিণপন্থী র্যাডিকেল পরিবর্তনগুলোকে ‘থ্যাচারিজম’ নামে অভিহিত করা হতে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯৮০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী রোনাল্ড রিগ্যান হুংকার তুললেন, ‘জনগণের কাঁধ থেকে সরকারের বোঝা নামাও’ (গেট দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য ব্যাক অব দ্য পিপল)। তাঁর পক্ষেÿ সমর্থনের জোয়ার উঠল নির্বাচনে, ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট কার্টারকে হারিয়ে তিনি জিতে গেলেন। ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আট বছর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তাঁকে শিখণ্ডী হিসেবে সামনে রেখেই কখনো ‘সাপ্লাই সাইড ইকোনমিকস’ আবার কখনো ‘মুক্তবাজার অর্থনীতির’ ধুয়া তুলে এই কট্টর দক্ষিণপন্থী বাজার মৌলবাদীরা সারা বিশ্বে পুঁজিবাদের এই সর্বশেষ সংস্করণটি প্রতিষ্ঠা করার আগ্রাসন চালিয়ে গেছে। সে জন্য এই সংস্কারগুলোর আরেকটা নামও চালু হয়ে গেছে ‘রিগ্যানোমিকস’। অপর দিকে, ওই আশির দশকেই ধসে পড়েছে সমাজতন্ত্রের কথা বলে ‘রাষ্ট্রতন্ত্র’ (স্ট্যাটিজম) কায়েম করা পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এবং ১৯৯১ সালে খোদ সোভিয়েত ইউনিয়ন। ফলে বিশ্ব পুঁজিবাদী-ব্যবস্থা ক্রমেই সারা বিশ্বের একক মতাদর্শিক ব্যবস্থা হওয়ার তোড়জোড় বেড়ে যায় নাটকীয়ভাবে। প্রাইভেটাইজেশন, ডিরেগুলেশন, লিবারেলাইজেশন এবং গ্লোবালাইজেশন—এই চারটি ডাইমেনশনে ‘মুক্তবাজার অর্থনীতি’ প্রতিষ্ঠা সব দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক সমস্যার ‘সর্বরোগহর ধন্বন্তরি সমাধানের’ মর্যাদায় অভিষিক্ত হয়ে যায় আশির দশক থেকেই।
‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’-এর অন্তর্ভুক্ত নীতি সংস্কারগুলো ১৯৭৯ সাল থেকেই বাংলাদেশের ওপর নাজিল হতে শুরু করেছিল আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ঋণের ‘কন্ডিশনালিটির’ মাধ্যমে, যেগুলোকে আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে ‘কাঠামোগত বিন্যাস কর্মসূচি’ (স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম) বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সরকার দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টসের মারাত্মক ঘাটতি মেটানোর জন্য আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ)-এর অধীনে একটা ঋণের জন্য আবেদন করায় ১৯৮০ সালে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ মঞ্জুর করেছিল, সঙ্গে ছিল বিরাট একটা শর্তের তালিকা। শর্তগুলো এতই কঠিন ছিল যে জিয়াউর রহমানের সরকার ওই পর্যায়ে শর্তগুলো বাস্তবায়নে ‘ধীরে চলো’ নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। তাই, শুধু প্রথম কিস্তির ২০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করার পর আইএমএফ কুপিত হয়ে পুরো ঋণটাই বাতিল করে দিয়েছিল।
আমরা অনেকেই হয়তো ভুলে গেছি যে ওই ১৯৮০-৮১ অর্থবছরে এ দেশের অর্থনীতির বৈদেশিক ঋণ ও অনুদান-নির্ভরতা মারাত্মক বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। অধ্যাপক রেহমান সোবহান তাঁর বিশ্বখ্যাত বই দ্য ক্রাইসিস অব এক্সটারনাল ডিপেনডেন্স-এর নবম পৃষ্ঠার সারণিতে দাবি করেছেন যে ওই বছর এ দেশের বৈদেশিক সাহায্যনির্ভরতা জিডিপির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। তাই আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দাতা সংস্থা ও দাতা দেশের দাদাগিরি দেখানোর সুযোগ যে ওই সময়ে তুঙ্গে ছিল, তা বোঝাই যায়। ১৯৮২ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ আমলে ‘নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি’ প্রণয়নের মাধ্যমে ওই প্রেসক্রিপশনগুলো বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া জোরদার করেছিল বাংলাদেশ। তারপর একে একে ১৯৮২-৮৫ পর্বের টিআইপি প্রকল্প, ১৯৮৬ সালের রিভাইজড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরের আমদানি নীতি উদারীকরণ এবং ১৯৯০ সালে আইএমএফের পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক পেপার স্বাক্ষরের মাধ্যমে মুক্তবাজার অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার ডামাডোলে শরিক হয়ে গেছি আমরা। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ দেশে মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রেসক্রিপশনগুলো আরও জোরেশোরে বাস্তবায়নের ধারা সূচিত হয়। ১৯৯৬ সালে আাওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়ে ওই নির্বিচার উদারীকরণ ও বাজারীকরণের কিছুটা লাগাম টেনে ধরেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় ফিরে এসে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশন অনুসরণের পুরোনো ধারা চালু করে দেয় আবার।
২০০৮ সালে পুঁজিবাদী দেশগুলোতে ভয়াবহ মন্দাবস্থা শুরু হওয়ার পর বাজার মৌলবাদের জারিজুরি ফাঁস হতে শুরু করে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ জোসেফ ই স্টিগলিৎজ ও পল ক্রুগম্যানের নেতৃত্বে দুই দশক ধরে বাজার মৌলবাদের বিরুদ্ধে যে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ গড়ে উঠেছিল, তা এখন ‘বাজার বনাম রাষ্ট্র’ বিতর্ককে ভুল প্রমাণ করে দিচ্ছে। কিন্তু আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসক্রিপশনে এখনো বাজার মৌলবাদের ভূত চেপে বসে রয়েছে। কিন্তু ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন সরকারের অর্থনৈতিক নীতিমালা তো এই পরিত্যক্ত দক্ষিণপন্থী মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কথা নয়। বিশেষত, সংবিধানে অন্যতম রাষ্ট্রনীতি হিসেবে সমাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার খবরটা কি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে কোনো তাৎপর্য বহন করে না? নাকি সংবিধানে যা-ই থাক, তাঁরা মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রেমে মজে থাকবেন?
ড. মইনুল ইসলাম: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
No comments