বাড়ি ফিরে যেতে পারলেই বাঁচে ইংল্যান্ড
ইংল্যান্ডের ইনিংসে ১৮ সংখ্যার ছড়াছড়ি। চারজন ব্যাটসম্যান এই রান করেছেন। সর্বোচ্চ ২২। সাকুল্যে ১৩০। টি ২০ মশলাযুক্ত ক্রিকেটে এই সংগ্রহ যে মোটেও নিরাপদ নয়, সেটি গোটা সফরে ‘মার’ খাওয়া ইংল্যান্ডকে বুঝিয়ে দিতে ভুল করেনি অস্ট্রেলিয়া। একেবারে হেসেখেলে দ্বিতীয় টি ২০ জিতলেন জর্জ বেইলিরা। আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। প্রতিপক্ষের ১৩০ স্বাগতিকরা টপকে যায় ৩১ বল বাকি থাকতে। জয়টা এমনই বিশাল যে, প্রায় ছয় বছর পর নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা ব্র্যাড হজ ব্যাট করার সুযোগই পাননি। এই পরাজয়ে ইংল্যান্ড এবারের অস্ট্রেলিয়া সফরে তৃতীয় সিরিজ হারল। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডের এমন ভরাডুবি। পাঁচ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজে ৫-০ তে ধবল ধোলাই হওয়ার পর ওয়ানডে সিরিজে হার ৪-১ এ। এবার তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজও সফরকারীরা হারল। এক ম্যাচ বাকি থাকতে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। ‘যাহা বাহান্ন তাহাই ছাপান্ন’র মতো কুক ও ব্রড একই নৌকার যাত্রী। পরাজয়ের পর পরাজয়ে ক্ষতবিক্ষত।’ কুড়ি-বিশের ম্যাচে ১৩১ করে জেতা ডাল-ভাত। সেটা বুঝিয়ে দিলেন ক্যামেরন হোয়াইট ও অসি অধিনায়ক জর্জ বেইলি। প্রথমজন ৪৫ বলে ৫৮। দ্বিতীয় জন মাত্র ২৮ বলে ৬০। দু’জনই শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। তাদের ব্যাটিং দেখে ইংল্যান্ডের নিশ্চয় মনে হয়েছে, ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’। ইংলিশ বোলার ডার্নব্যাখ তিন ওভারে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ৩৭ রান দিয়ে মাত্র একটি উইকেট পান জেমস ট্রেডওয়েল। সেখানে অসি বোলার হ্যাজলউড ৩০ রানে চার উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা।
ইংল্যান্ড ১৩০/৯, ২০ ওভারে (লাম্ব ১৮, রুট ১৮, বাটলার ২২, ব্রেসনান ১৮, ব্রড ১৮*। হ্যাজলউড ৪/৩০)। অস্ট্রেলিয়া ১৩১/২, ১৪.৫ ওভারে (হোয়াইট ৫৮*, জর্জ বেইলি ৬০*। ব্রেসনান ১/১১, ট্রেডওয়েল ১/৩৭)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : হ্যাজলউড (অস্ট্রেলিয়া)। ক্রিকইনফো।
ইংল্যান্ড ১৩০/৯, ২০ ওভারে (লাম্ব ১৮, রুট ১৮, বাটলার ২২, ব্রেসনান ১৮, ব্রড ১৮*। হ্যাজলউড ৪/৩০)। অস্ট্রেলিয়া ১৩১/২, ১৪.৫ ওভারে (হোয়াইট ৫৮*, জর্জ বেইলি ৬০*। ব্রেসনান ১/১১, ট্রেডওয়েল ১/৩৭)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : হ্যাজলউড (অস্ট্রেলিয়া)। ক্রিকইনফো।
No comments