ছেলেবেলায় উঠতাম ভোরে কিন্তু পড়তাম না : ওবামা
ছেলেবেলায় পড়াশোনা করতে মোটেও ভালো লাগত না, একেবারেই মন বসত না! সরল স্বীকারোক্তি মার্কিন মুলুকের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার। ‘ছোটবেলায় স্কুলে পড়ার সময় প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতাম। কিন্তু ভোরে উঠেই ওই গৎবাঁধা পড়তে বসার রুটিনটা অসহ্য মনে হতো আমার।’ বৃহস্পতিবার টেনিসি অঙ্গরাজ্যে শিক্ষানীতিবিষয়ক এক বক্তৃতা দেয়ার সময় তিনি শিক্ষার্থীদের তার শৈশবের গল্প শোনান। ওবামা জানান, ছোটবেলায় প্রতিদিন ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্যে তিনি বিছানা ছাড়তেন। তবে অবশ্যই ইচ্ছা করে নয়, মায়ের বকুনিতে বিছানা ছাড়তেন ওবামা। তিনি বলেন, ‘শৈশবের কিছু সময় আমার ইন্দোনেশিয়ায় কেটেছে। সে সময় আমার মায়ের ভয় ছিল, দেশের বাইরে থাকার কারণে আমি পিছিয়ে পড়তে পারি। তাই প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই তিনি আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিতেন। তিনি চাইতেন সেখানকার পড়াশোনার পাশাপাশি আমি যেন যুক্তরাষ্ট্রের পড়াশোনাটার পদ্ধতিও সমানভাবে অনুসরণ করি।’ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ওবামা বলেন, ‘তোমাদের বয়স যদি সাত কিংবা আট হয়, তবে রোজ ভোর সাড়ে চারটা বা পাঁচটায় উঠতে কখনও ভালো লাগবে না। আমারও ভালো লাগত না। এ জন্য প্রায়ই অভিযোগ করতাম আমি।’
মা রাগতস্বরে বলতেন, ‘আমরা এখানে পিকনিক করতে আসিনি।’ তিনি মনে করতেন, ‘ছেলেমেয়েরা যদি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয় তবেই কেবল পৃথিবীর দুর্গম পথগুলো তাদের জন্য সহজগম্য হবে।’ জিনিউজ, পিটি আই। ওবামা আরও বলেন, ‘আমার মা নানা-নানির সাহায্য নিয়ে আমাকে এককভাবে লালন-পালন করেছেন। আমাদের খুব বেশি টাকা-পয়সা ছিল না। দুটো সন্তানকে বড় করতে ও নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাতে আমার মাকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। আমাদের যদিও খুব একটা টাকা ছিল না, তবে আমি বেশ কয়েকটি নামকরা কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি আর আমার স্ত্রী মিশেল এমন অনেক কিছু অর্জন করেছি, যা আমাদের অভিভাবকরা কল্পনাই করতে পারতেন না। এখন আমার সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে নামকরা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। আমি চাই, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি শিশু-কিশোর যেন সেই সুযোগ পায়।’
No comments