কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায়
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং দুটি অভিযোগে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। একাত্তরে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর চতুর্থ এই রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মনে করি।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী কিছু শক্তি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এই অবস্থান শুধু রাজনৈতিক ছিল না, বরং হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর হিসেবে তারা খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী অপকর্মে জড়িত ছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল কুখ্যাত আলবদর বাহিনী। একজন চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই বাহিনীর প্রধান সংগঠক হিসেবে কামারুজ্জামান একাত্তরে হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এই রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরে কামারুজ্জামানের বর্বরতার শিকার পরিবারগুলো দীর্ঘদিন পর হলেও স্বস্তি পাবে।
রায় ঘোষণার পর কামারুজ্জামান একে ‘রং জাজমেন্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। রায় সম্পর্কে মতামত দেওয়ার অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি স্বাধীন আদালত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মকানুন ও বিধিবিধান মেনেই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পরও যদি দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাঁর স্বজনেরা মনে করে থাকেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি, সে ক্ষেত্রে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, তাই শুরু থেকেই এই বিচার-প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার নানা চেষ্টা হয়েছে। এ জন্য সহিংস পথও বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রায় ঘোষণার পরই জ্বালাও-পোড়াও নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো। এতে বেশ কিছু প্রাণহানিসহ দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোনো রায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনি প্রক্রিয়াকে আইনগতভাবে মোকাবিলা না করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা যে ফল দেবে না, সেটা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীদের বুঝতে হবে।
একাত্তরে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। ইতিহাসের দায়মুক্তির স্বার্থে এটা যেমন জরুরি, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। তাই, সংঘাত ও সহিংসতা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। দেশবাসী বিচার-প্রক্রিয়া পুরো সম্পন্ন করে অবিলম্বে ইতিহাসের দায়মুক্তিই পেতে চায়।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী কিছু শক্তি এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। এই অবস্থান শুধু রাজনৈতিক ছিল না, বরং হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর হিসেবে তারা খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো জঘন্য মানবতাবিরোধী অপকর্মে জড়িত ছিল। বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের অপরাধে জড়িত ছিল কুখ্যাত আলবদর বাহিনী। একজন চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে এই বাহিনীর প্রধান সংগঠক হিসেবে কামারুজ্জামান একাত্তরে হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এই রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তরে কামারুজ্জামানের বর্বরতার শিকার পরিবারগুলো দীর্ঘদিন পর হলেও স্বস্তি পাবে।
রায় ঘোষণার পর কামারুজ্জামান একে ‘রং জাজমেন্ট’ বলে উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। রায় সম্পর্কে মতামত দেওয়ার অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি স্বাধীন আদালত এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়মকানুন ও বিধিবিধান মেনেই স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এই বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর পরও যদি দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও তাঁর স্বজনেরা মনে করে থাকেন, তাঁরা ন্যায়বিচার পাননি, সে ক্ষেত্রে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেহেতু বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত, তাই শুরু থেকেই এই বিচার-প্রক্রিয়া নস্যাৎ করার নানা চেষ্টা হয়েছে। এ জন্য সহিংস পথও বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি রায় ঘোষণার পরই জ্বালাও-পোড়াও নীতি নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো। এতে বেশ কিছু প্রাণহানিসহ দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কোনো রায়ের বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতিক্রিয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনি প্রক্রিয়াকে আইনগতভাবে মোকাবিলা না করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা যে ফল দেবে না, সেটা জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগীদের বুঝতে হবে।
একাত্তরে ঘটে যাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। ইতিহাসের দায়মুক্তির স্বার্থে এটা যেমন জরুরি, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার। তাই, সংঘাত ও সহিংসতা থেকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। দেশবাসী বিচার-প্রক্রিয়া পুরো সম্পন্ন করে অবিলম্বে ইতিহাসের দায়মুক্তিই পেতে চায়।
No comments