গাদ্দাফিকে হত্যা না করতে জাতিসংঘের সতর্কবাণী
লিবিয়ার আত্মগোপনে থাকা নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হত্যা না করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারপ্রধান। লিবিয়ায় জরুরি মানবিক সাহায্য ও অন্যান্য সেবা চালু করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে জব্দ থাকা লিবিয়ার ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থছাড় দিতে গতকাল শুক্রবার রাজি হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ।
মৃত বা জীবিত অবস্থায় গাদ্দাফিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ দিনার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে বিদ্রোহীরা ঘোষণা দেওয়ার পর অনেকে এখন গাদ্দাফির খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে। তারা গাদ্দাফিকে হত্যা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
সব ধরনের হত্যাকাণ্ডই আইনবহির্ভূত জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনারের প্রধানের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল বলেন, ‘আইনের শাসন খুবই প্রয়োজন। তা গাদ্দাফিসহ যে কারও জন্য প্রযোজ্য।’
লিবিয়ার বিদ্রোহীরা গত মঙ্গলবার ত্রিপোলি দখলের পর বুধবার ঘোষণা দেয়, গাদ্দাফিকে মৃত বা জীবিত ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ দিনার (প্রায় ১৭ লাখ মার্কিন ডলার) পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ কেউ তাঁকে ধরিয়ে দিলে তার জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা করেন বিদ্রোহীদের নেতা মুস্তাফা আবদুল জলিল।
কালভিল বলেন, সবচেয়ে ভালো হতে পারে গাদ্দাফিকে জীবিত অবস্থায় আটক করা। এরপর তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে তুলে দেওয়া। একই সঙ্গে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় যাতে কোনো দমন-পীড়ন ও নির্যাতন না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
লিবিয়ায় জরুরি মানবিক সাহায্য ও অন্যান্য সেবা চালু করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে জব্দ থাকা লিবিয়ার ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ ছাড় দিতে গতকাল রাজি হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এই অর্থ ছাড় দিতে নিরাপত্তা পরিষদে গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাব পেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা এতে বাধা দিয়ে বলে, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে (এনটিসি) সে দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে আফ্রিকান ইউনিয়ন স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এই অর্থ তাদের হাতে দেওয়া যাবে না। পরে এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সমঝোতা হয়।
স্বীকৃতি দিচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল জানান, এনটিসিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা চিন্তা করছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। ওই কর্মকর্তা বলেন, এইউ আজকের মধ্যে এনটিসিকে স্বীকৃতি দিতে পারে এমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে গাদ্দাফি আমলের লোকজনকে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। লিবিয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য গতকাল ইথিওপিয়ায় বৈঠকে বসার কথা ছিল এইউর শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদের। আফ্রিকার ৫৪টি দেশের সংস্থা এইউ গঠনে অন্যতম ভূমিকা ছিল গাদ্দাফির।
লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের হুমকি জিম্বাবুয়ের: হারারেতে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত তাহের এলমাগরাহি এনটিসিকে লিবিয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষ বলে ঘোষণা দেওয়ার পর তাঁকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ে বিমহা বলেছেন, তারা যদি মনে করে এনটিসিই বৈধ কর্তৃপক্ষ, তাহলে তার অর্থ এই যে তারা আর জিম্বাবুয়েতে লিবিয়া সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না।
মৃত বা জীবিত অবস্থায় গাদ্দাফিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ দিনার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে বিদ্রোহীরা ঘোষণা দেওয়ার পর অনেকে এখন গাদ্দাফির খোঁজে বেরিয়ে পড়েছে। তারা গাদ্দাফিকে হত্যা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
সব ধরনের হত্যাকাণ্ডই আইনবহির্ভূত জানিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনারের প্রধানের মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল বলেন, ‘আইনের শাসন খুবই প্রয়োজন। তা গাদ্দাফিসহ যে কারও জন্য প্রযোজ্য।’
লিবিয়ার বিদ্রোহীরা গত মঙ্গলবার ত্রিপোলি দখলের পর বুধবার ঘোষণা দেয়, গাদ্দাফিকে মৃত বা জীবিত ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ দিনার (প্রায় ১৭ লাখ মার্কিন ডলার) পুরস্কার দেওয়া হবে। একই সঙ্গে গাদ্দাফির ঘনিষ্ঠ কেউ তাঁকে ধরিয়ে দিলে তার জন্য সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা করেন বিদ্রোহীদের নেতা মুস্তাফা আবদুল জলিল।
কালভিল বলেন, সবচেয়ে ভালো হতে পারে গাদ্দাফিকে জীবিত অবস্থায় আটক করা। এরপর তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের হাতে তুলে দেওয়া। একই সঙ্গে গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় যাতে কোনো দমন-পীড়ন ও নির্যাতন না হয় সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
লিবিয়ায় জরুরি মানবিক সাহায্য ও অন্যান্য সেবা চালু করতে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে জব্দ থাকা লিবিয়ার ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ ছাড় দিতে গতকাল রাজি হয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এই অর্থ ছাড় দিতে নিরাপত্তা পরিষদে গত বৃহস্পতিবার প্রস্তাব পেশ করে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা এতে বাধা দিয়ে বলে, লিবিয়ার বিদ্রোহীদের গঠিত জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদকে (এনটিসি) সে দেশের বৈধ কর্তৃপক্ষ হিসেবে আফ্রিকান ইউনিয়ন স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত এই অর্থ তাদের হাতে দেওয়া যাবে না। পরে এই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে সমঝোতা হয়।
স্বীকৃতি দিচ্ছে আফ্রিকান ইউনিয়ন: দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল জানান, এনটিসিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা চিন্তা করছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। ওই কর্মকর্তা বলেন, এইউ আজকের মধ্যে এনটিসিকে স্বীকৃতি দিতে পারে এমন জোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তারা লিবিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে গাদ্দাফি আমলের লোকজনকে রাখার আহ্বান জানিয়েছে। লিবিয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য গতকাল ইথিওপিয়ায় বৈঠকে বসার কথা ছিল এইউর শান্তি ও নিরাপত্তা পরিষদের। আফ্রিকার ৫৪টি দেশের সংস্থা এইউ গঠনে অন্যতম ভূমিকা ছিল গাদ্দাফির।
লিবিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের হুমকি জিম্বাবুয়ের: হারারেতে নিযুক্ত লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত তাহের এলমাগরাহি এনটিসিকে লিবিয়ার বৈধ কর্তৃপক্ষ বলে ঘোষণা দেওয়ার পর তাঁকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। জিম্বাবুয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জোয়ে বিমহা বলেছেন, তারা যদি মনে করে এনটিসিই বৈধ কর্তৃপক্ষ, তাহলে তার অর্থ এই যে তারা আর জিম্বাবুয়েতে লিবিয়া সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না।
No comments