আফ্রিদির বিশ্ব রেকর্ডে পাকিস্তানের স্বস্তি
চাইলে কূটনীতির আড়ালে চাপা দিতে পারতেন। কিন্তু সাকিব আল হাসানের মতো না হলেও মনের কথাগুলো বেশির ভাগ সময় বলে ফেলেন শহীদ আফ্রিদিও। কাল যেমন স্বীকার করলেন, ১৮৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর গত বিশ্বকাপের আয়ারল্যান্ড ম্যাচটার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল তাঁর। কানাডা কাল এমনই কাঁপিয়ে দিয়েছিল তাঁদের!
কী বলা যায় একে? গত বিশ্বকাপের আয়ারল্যান্ড, গত পরশুর আয়ারল্যান্ড, সব মিলিয়ে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হচ্ছে ‘আয়ারল্যান্ড-প্রভাব’। প্রথম দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাইভাবে হারল যে দল, যাদের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার ম্যাচের আগের দিন প্রকাশ্যে বলেন, দলের মনোবল একদম ভেঙে গেছে, ম্যাচ শুরুর আগমুহূর্তে পাওয়া চোটে খেলতে পারলেন না সেই ক্রিকেটারও। সেই দলটিই কিনা রাতারাতি বদলে গেল!
হ্যাঁ, রাতারাতিই। আগের রাতে আয়ারল্যান্ড প্রতিবেশীদের বিপক্ষে যেভাবে ফায়ারল্যান্ড (অগ্নিভূমি) হয়ে গেল, তাতে উদ্বুদ্ধ না হয়ে উপায় আছে! ম্যাচের তিন ভাগজুড়েই মনে হচ্ছিল আয়ারল্যান্ড-প্রভাবের তোড়ে পাকিস্তানকে ভাসিয়ে দেবে কানাডা। কিন্তু বহুজাতিক দলটি খেই হারিয়ে ফেলল আসল সময়েই। এক ভাগ জিতেই ম্যাচ ৪৬ রানে জিতে নিল পাকিস্তান। জেতালেন আসলে আফ্রিদি। আগের দু ম্যাচে ৫ ও ৪ উইকেট, কাল আবার ৫ উইকেট। ছুঁয়েছেন টানা তিন ম্যাচে ৪ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ডে সঙ্গী আরও ছয়জন, আফ্রিদির কোচ ওয়াকার ইউনুস নিয়েছেন তিনবার। তবে বিশ্বকাপে এই কীর্তি একমাত্র আফ্রিদিরই!
কালকের ১৮৪ সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। সর্বনিম্ন? আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩২! শুধু আফ্রিদির নয়, আয়ারল্যান্ড ম্যাচটা তাই পাকিস্তান দলের সবারই মনে পড়ে যাওয়ার কথা। যোগ্য নেতার মতোই সবার ভয় দূর করলেন আফ্রিদি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের কনিষ্ঠতম উদ্বোধনী জুটিকে (নিতীশ ১৬ বছর, ১৯ গুনাসেকেরা!) ১৬ রানের মধ্যে হারানোর পর জুবিন সুরকারিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছিলেন আশিস বাগাই। প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আফ্রিদি।
এরপর সুরকারি জিমি হান্সরাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৬০ রানের জুটি, জয় যেন দেখতে পাচ্ছিল কানাডা। পাকিস্তানের বোলিং ফিল্ডিংকেও যেন মনে হচ্ছিল একটু এলোমেলো। আবারও ত্রাতা হয়ে আফ্রিদি! সুরকারিকে আউট করে জুটিটা ভাঙেন সাঈদ আজমল। বাকি কাজটা বলতে গেলে একা সেরেছেন আফ্রিদি। টানা তিন ওভারে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁর গতিসমৃদ্ধ বলগুলোর জবাব ছিল না কানাডিয়ানদের। কোটার ১০ ওভার শেষ হওয়ার পর সরাসরি থ্রোতে রান আউট করছেন বালাজি রাওকে। ৩ উইকেটে ১০৪ থেকে কানাডা শেষ ১৩৮ রানেই।
ম্যাচের শুরুতে কানাডার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল কলম্বোর আকাশ আর প্রেমাদাসার উইকেট। কিন্তু ওদিকে যে জয়ের ক্ষুধা নিয়ে ছিলেন একজন আফ্রিদি!
কী বলা যায় একে? গত বিশ্বকাপের আয়ারল্যান্ড, গত পরশুর আয়ারল্যান্ড, সব মিলিয়ে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হচ্ছে ‘আয়ারল্যান্ড-প্রভাব’। প্রথম দুই ম্যাচে যাচ্ছেতাইভাবে হারল যে দল, যাদের সবচেয়ে সিনিয়র ক্রিকেটার ম্যাচের আগের দিন প্রকাশ্যে বলেন, দলের মনোবল একদম ভেঙে গেছে, ম্যাচ শুরুর আগমুহূর্তে পাওয়া চোটে খেলতে পারলেন না সেই ক্রিকেটারও। সেই দলটিই কিনা রাতারাতি বদলে গেল!
হ্যাঁ, রাতারাতিই। আগের রাতে আয়ারল্যান্ড প্রতিবেশীদের বিপক্ষে যেভাবে ফায়ারল্যান্ড (অগ্নিভূমি) হয়ে গেল, তাতে উদ্বুদ্ধ না হয়ে উপায় আছে! ম্যাচের তিন ভাগজুড়েই মনে হচ্ছিল আয়ারল্যান্ড-প্রভাবের তোড়ে পাকিস্তানকে ভাসিয়ে দেবে কানাডা। কিন্তু বহুজাতিক দলটি খেই হারিয়ে ফেলল আসল সময়েই। এক ভাগ জিতেই ম্যাচ ৪৬ রানে জিতে নিল পাকিস্তান। জেতালেন আসলে আফ্রিদি। আগের দু ম্যাচে ৫ ও ৪ উইকেট, কাল আবার ৫ উইকেট। ছুঁয়েছেন টানা তিন ম্যাচে ৪ বা তার বেশি উইকেট নেওয়ার বিশ্বরেকর্ড। বিশ্বরেকর্ডে সঙ্গী আরও ছয়জন, আফ্রিদির কোচ ওয়াকার ইউনুস নিয়েছেন তিনবার। তবে বিশ্বকাপে এই কীর্তি একমাত্র আফ্রিদিরই!
কালকের ১৮৪ সহযোগী দেশগুলোর বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। সর্বনিম্ন? আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩২! শুধু আফ্রিদির নয়, আয়ারল্যান্ড ম্যাচটা তাই পাকিস্তান দলের সবারই মনে পড়ে যাওয়ার কথা। যোগ্য নেতার মতোই সবার ভয় দূর করলেন আফ্রিদি। বিশ্বকাপ ইতিহাসের কনিষ্ঠতম উদ্বোধনী জুটিকে (নিতীশ ১৬ বছর, ১৯ গুনাসেকেরা!) ১৬ রানের মধ্যে হারানোর পর জুবিন সুরকারিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করছিলেন আশিস বাগাই। প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন আফ্রিদি।
এরপর সুরকারি জিমি হান্সরাকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৬০ রানের জুটি, জয় যেন দেখতে পাচ্ছিল কানাডা। পাকিস্তানের বোলিং ফিল্ডিংকেও যেন মনে হচ্ছিল একটু এলোমেলো। আবারও ত্রাতা হয়ে আফ্রিদি! সুরকারিকে আউট করে জুটিটা ভাঙেন সাঈদ আজমল। বাকি কাজটা বলতে গেলে একা সেরেছেন আফ্রিদি। টানা তিন ওভারে নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁর গতিসমৃদ্ধ বলগুলোর জবাব ছিল না কানাডিয়ানদের। কোটার ১০ ওভার শেষ হওয়ার পর সরাসরি থ্রোতে রান আউট করছেন বালাজি রাওকে। ৩ উইকেটে ১০৪ থেকে কানাডা শেষ ১৩৮ রানেই।
ম্যাচের শুরুতে কানাডার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল কলম্বোর আকাশ আর প্রেমাদাসার উইকেট। কিন্তু ওদিকে যে জয়ের ক্ষুধা নিয়ে ছিলেন একজন আফ্রিদি!
No comments