ভারতের চেয়ে সুযোগ ও সীমা বেশি
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসারে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ তুলনামূলকভাবে বেশি। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) বিধান অনুসারে সে দেশের শেয়ারবাজারে ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সীমা সে তুলনায় অনেক কম।
প্রথম আলোয় গতকাল সোমবার অর্থ ও বাণিজ্য পাতায় ‘শেয়ারবাজারে ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতার ঝুঁকি, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অধিক সতর্ক’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার ভিত্তিতে গতকাল বিশেষত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অনেকের মধ্যে এ রকম আলোচনা হয়েছে যে, ভারতে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ বেশি। কেউ কেউ প্রতিবেদকের কাছে ফোন করে দাবি করেন, বাংলাদেশেও ভারতের অনুরূপ সুযোগ দেওয়া হোক। প্রকৃত অর্থে তাঁদের দাবির মধ্যে একটা ভুল হিসাব রয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে ব্যাংকের মোট দায়ের ১০ ভাগের বেশি হতে পারবে না।
আর আরবিআই এ বিষয়ে তাদের দেওয়া মাস্টার সার্কুলারে উল্লেখ করেছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা (ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড) কোনো ব্যাংকের নিট সংগতির (নেট ওরথ্) ৪০ ভাগের বেশি হবে না। নিট সংগতির একটা সংজ্ঞা সার্কুলারে রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পরিশোধিত মূলধন ও সাধারণ মজুদ (ফ্রি রিজার্ভ) নিয়ে নিট সংগতি হবে।
উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১০ সালের জুন মাসের হিসাবে বেসরকারি এবি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও সাধারণ মজুদের মোট পরিমাণ (নেট ওরথ বা নিট সংগতি) দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০৯ কোটি সাত লাখ টাকা।
এখন আরবিআইয়ের বিধান অনুসরণ করলে, পুঁজিবাজারে এই ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সীমা অর্থাৎ নিট সংগতির ৪০ শতাংশ হিসাব করলে দাঁড়ায় ৪৮৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আবার ২০১০ সালের জুন মাসের হিসাবে এবি ব্যাংকের মোট দায় (আমানত) রয়েছে ১০ হাজার ৬৮১ কোটি ০২ লাখ টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসরণ করলে, মোট দায়ের ১০ শতাংশ এক হাজার ৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা ব্যাংকটির পুঁজিবাজারে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সর্বোচ্চ সীমা।
একইভাবে এ বছর জুন মাসের হিসাবে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও সাধারণ মজুদের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আরবিআইয়ের বিধান অনুসারে পুঁজিবাজারে এই ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সীমা ৪০ শতাংশ হিসাব করলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আবার একই সময় প্রাইম ব্যাংকের মোট দায় ১২ হাজার ৪৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসারে মোট দায়ের ১০ শতাংশ হিসাবে ব্যাংকটির পুঁজিবাজারে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ রয়েছে এক হাজার ২৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
সুতরাং দেখা যায়, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ বেশি।
প্রথম আলোয় গতকাল সোমবার অর্থ ও বাণিজ্য পাতায় ‘শেয়ারবাজারে ব্যাংকের সংশ্লিষ্টতার ঝুঁকি, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অধিক সতর্ক’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার ভিত্তিতে গতকাল বিশেষত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অনেকের মধ্যে এ রকম আলোচনা হয়েছে যে, ভারতে শেয়ারবাজারে ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ বেশি। কেউ কেউ প্রতিবেদকের কাছে ফোন করে দাবি করেন, বাংলাদেশেও ভারতের অনুরূপ সুযোগ দেওয়া হোক। প্রকৃত অর্থে তাঁদের দাবির মধ্যে একটা ভুল হিসাব রয়েছে।
বাংলাদেশের ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের ধারণ করা শেয়ারের পরিমাণ সমষ্টিগতভাবে ব্যাংকের মোট দায়ের ১০ ভাগের বেশি হতে পারবে না।
আর আরবিআই এ বিষয়ে তাদের দেওয়া মাস্টার সার্কুলারে উল্লেখ করেছে, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতা (ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড) কোনো ব্যাংকের নিট সংগতির (নেট ওরথ্) ৪০ ভাগের বেশি হবে না। নিট সংগতির একটা সংজ্ঞা সার্কুলারে রয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পরিশোধিত মূলধন ও সাধারণ মজুদ (ফ্রি রিজার্ভ) নিয়ে নিট সংগতি হবে।
উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিষ্কার করা যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১০ সালের জুন মাসের হিসাবে বেসরকারি এবি ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও সাধারণ মজুদের মোট পরিমাণ (নেট ওরথ বা নিট সংগতি) দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০৯ কোটি সাত লাখ টাকা।
এখন আরবিআইয়ের বিধান অনুসরণ করলে, পুঁজিবাজারে এই ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সীমা অর্থাৎ নিট সংগতির ৪০ শতাংশ হিসাব করলে দাঁড়ায় ৪৮৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
আবার ২০১০ সালের জুন মাসের হিসাবে এবি ব্যাংকের মোট দায় (আমানত) রয়েছে ১০ হাজার ৬৮১ কোটি ০২ লাখ টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসরণ করলে, মোট দায়ের ১০ শতাংশ এক হাজার ৬৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা ব্যাংকটির পুঁজিবাজারে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সর্বোচ্চ সীমা।
একইভাবে এ বছর জুন মাসের হিসাবে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ও সাধারণ মজুদের মোট পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৫৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আরবিআইয়ের বিধান অনুসারে পুঁজিবাজারে এই ব্যাংকের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সীমা ৪০ শতাংশ হিসাব করলে তার পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০২ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আবার একই সময় প্রাইম ব্যাংকের মোট দায় ১২ হাজার ৪৬৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ অনুসারে মোট দায়ের ১০ শতাংশ হিসাবে ব্যাংকটির পুঁজিবাজারে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ রয়েছে এক হাজার ২৪৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
সুতরাং দেখা যায়, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যাংকগুলোর পুঁজিবাজারে আর্থিক সংশ্লিষ্টতার সুযোগ বেশি।
No comments