নানা বিতর্কের মধ্যে আজ এসইসি সংসদীয় কমিটির সামনে দাঁড়াচ্ছে
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সরকার। চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মূল্য সংবেদনশীল তথ্য বাজারে চলে যাচ্ছে। এসইসির কতিপয় কর্মকর্তা বেনামে ব্যবসা করছেন। স্টক এক্সচেঞ্জে সরাসরি তালিকাভুক্তি ও মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে কমিশনের কর্মকাণ্ড নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বাজারের একাধিক সূত্র বলেছে, মিউচুয়াল ফান্ডে বেনামে প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট (প্রাথমিক শেয়ার বাজারে আসার আগেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শেয়ার বরাদ্দ) নিয়েছেন এসইসির কয়েকজন কর্মকর্তা।
দেশের একটি সরকারি সংস্থার কাছে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে।
সংস্থাটি ইতিমধ্যে আইএফআইসির মিউচুয়াল ফান্ডের প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) বাজারে না ছাড়ার জন্য এসইসিকে পরামর্শ দিয়েছে। এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার এ বিষয়টি কয়েকদিন আগে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে আছেন।
এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তাফা কামাল গত সপ্তাহে বৈঠক ডাকেন। আজ বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হবে।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনসুর আলম বৈঠকের কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে জানান, তিনিসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অপর সদস্যরা আজকের বৈঠকে যোগ দেবেন।
এ ব্যাপারে আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরাসরি তালিকাভুক্তি ও মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন নিয়ে যে নানা অনিয়ম হচ্ছে, এসব ব্যাপারে সংসদীয় কমিটি ওয়াকিবহাল। সরকারের একাধিক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাই এ ব্যাপারে এসইসি বা স্টক এক্সচেঞ্জের কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাবে সংসদীয় কমিটি।’
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আশাবাদ তৈরি হয়েছে। বাজারের আকারও বড় হয়েছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর স্বার্থ এতে জড়িত। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের কোনো ভূমিকা বাজারে প্রশ্নবিদ্ধ হলে সামগ্রিকভাবে তা বাজারের জন্য ক্ষতিকারক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে এসইসির পক্ষ থেকে বরাবরই বাজারে কোনো ধরনের কারসাজি, বেনামে ব্যবসা বা পক্ষপাতমূলক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এখন চার হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেছে। যাত্রা শুরুর পর বিগত দেড় দশকে কিছু ভুলত্রুটি হতে পারে। তবে সার্বিক বিচারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে।
এসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনসুর আলম বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কমিশন প্রস্তুত। বাজার-সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
বাজারের একাধিক সূত্র বলেছে, মিউচুয়াল ফান্ডে বেনামে প্রি-আইপিও প্লেসমেন্ট (প্রাথমিক শেয়ার বাজারে আসার আগেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে শেয়ার বরাদ্দ) নিয়েছেন এসইসির কয়েকজন কর্মকর্তা।
দেশের একটি সরকারি সংস্থার কাছে এসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে।
সংস্থাটি ইতিমধ্যে আইএফআইসির মিউচুয়াল ফান্ডের প্রাথমিক শেয়ার (আইপিও) বাজারে না ছাড়ার জন্য এসইসিকে পরামর্শ দিয়েছে। এসইসির চেয়ারম্যান জিয়াউল হক খোন্দকার এ বিষয়টি কয়েকদিন আগে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। অবশ্য বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে আছেন।
এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান আ হ ম মুস্তাফা কামাল গত সপ্তাহে বৈঠক ডাকেন। আজ বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে কথা হবে।
যোগাযোগ করা হলে এসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনসুর আলম বৈঠকের কথা স্বীকার করে প্রথম আলোকে জানান, তিনিসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থার অপর সদস্যরা আজকের বৈঠকে যোগ দেবেন।
এ ব্যাপারে আ হ ম মুস্তাফা কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরাসরি তালিকাভুক্তি ও মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন নিয়ে যে নানা অনিয়ম হচ্ছে, এসব ব্যাপারে সংসদীয় কমিটি ওয়াকিবহাল। সরকারের একাধিক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তাই এ ব্যাপারে এসইসি বা স্টক এক্সচেঞ্জের কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কঠোর পদক্ষেপ নিতে সরকারকে অনুরোধ জানাবে সংসদীয় কমিটি।’
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা আশাবাদ তৈরি হয়েছে। বাজারের আকারও বড় হয়েছে। লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর স্বার্থ এতে জড়িত। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের কোনো ভূমিকা বাজারে প্রশ্নবিদ্ধ হলে সামগ্রিকভাবে তা বাজারের জন্য ক্ষতিকারক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তবে এসইসির পক্ষ থেকে বরাবরই বাজারে কোনো ধরনের কারসাজি, বেনামে ব্যবসা বা পক্ষপাতমূলক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এখন চার হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গেছে। যাত্রা শুরুর পর বিগত দেড় দশকে কিছু ভুলত্রুটি হতে পারে। তবে সার্বিক বিচারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছে।
এসইসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনসুর আলম বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে কমিশন প্রস্তুত। বাজার-সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে সেখানে আলোচনা হবে।
No comments