বেসামরিক পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করবেন ওবামা-মনমোহন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং দুই দেশের মধ্যে বেসামরিক পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করবেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ কথা জানান। সম্মেলনে ওবামা বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীকে (মনমোহন) এ নিশ্চয়তা দিতে চাই যে, আমার প্রশাসন বেসামরিক খাতের এই পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এই চুক্তির ফলে ভারতে মার্কিন রপ্তানি বাড়বে এবং ওই দেশের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর সততা ও আন্তরিকতার জন্য প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি তাঁকে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগামী বছর ভারত সফরে মনমোহনের আমন্ত্রণও গ্রহণ করেছি।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গতকাল হোয়াইট হাউসে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়েছেন ওবামা। গতকালই হোয়াইট হাউসে ওবামা-মনমোহনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা। হোয়াইট হাউসে ওবামার দেওয়া এক নৈশভোজেও অংশ নেবেন মনমোহন।
উদার এশিয়া গড়ে তুলতে সহযোগিতার প্রস্তাব মনমোহনের
উদার ও সমন্বিত’ এশিয়া মহাদেশ গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত সোমবার মার্কিন পরামর্শক সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসে (পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক পরিষদ) বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মনমোহন সিং। এ ছাড়া ভারতে হামলাকারী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান কঠোর করারও আহ্বান জানান তিনি।
আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বের দুটি বৃহত্ গণতান্ত্রিক দেশের লক্ষ্য অভিন্ন উল্লেখ করে মনমোহন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দুই দেশের মৈত্রী গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাশ্মীর ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আস্থা ও আন্তরিকতা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে স্বীকার করে মনমোহন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এ ব্যাপারে তাদের যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল, তা তারা নেয়নি।’ মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল উল্লেখ করে মনমোহন বলেন, তিনি সেই চাপ ঠেকিয়েছেন এবং তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল।
এশিয়াকে বড় ধরনের পরিবর্তনের মূল কেন্দ্র উল্লেখ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহাদেশকে একটি উদার ও সমন্বিত আঞ্চলিক কাঠামো হিসেবে গড়ে তুলতে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ইউএস চেম্বার অব কমার্স ও যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় মনমোহন বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়া একটি কৌশলগত সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে না।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে গতকাল হোয়াইট হাউসে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়েছেন ওবামা। গতকালই হোয়াইট হাউসে ওবামা-মনমোহনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক হওয়ার কথা। হোয়াইট হাউসে ওবামার দেওয়া এক নৈশভোজেও অংশ নেবেন মনমোহন।
উদার এশিয়া গড়ে তুলতে সহযোগিতার প্রস্তাব মনমোহনের
উদার ও সমন্বিত’ এশিয়া মহাদেশ গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। গত সোমবার মার্কিন পরামর্শক সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসে (পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক পরিষদ) বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ প্রস্তাব দেন। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মনমোহন সিং। এ ছাড়া ভারতে হামলাকারী জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান কঠোর করারও আহ্বান জানান তিনি।
আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্বের দুটি বৃহত্ গণতান্ত্রিক দেশের লক্ষ্য অভিন্ন উল্লেখ করে মনমোহন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে পারে। বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে দুই দেশের মৈত্রী গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কাশ্মীর ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরু করতে তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আস্থা ও আন্তরিকতা নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে স্বীকার করে মনমোহন বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, এ ব্যাপারে তাদের যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল, তা তারা নেয়নি।’ মুম্বাই হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার জন্য তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল উল্লেখ করে মনমোহন বলেন, তিনি সেই চাপ ঠেকিয়েছেন এবং তাঁর নেওয়া সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল।
এশিয়াকে বড় ধরনের পরিবর্তনের মূল কেন্দ্র উল্লেখ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহাদেশকে একটি উদার ও সমন্বিত আঞ্চলিক কাঠামো হিসেবে গড়ে তুলতে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে পারে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে ইউএস চেম্বার অব কমার্স ও যুক্তরাষ্ট্র-ভারত বিজনেস কাউন্সিল আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজ সভায় মনমোহন বলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়া একটি কৌশলগত সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে যেতে পারে না।
No comments