রূপনগর বস্তিতে আহাজারি: সুরুতন বিবি বললেন রক্তবন্যা দেখেছি by পিয়াস সরকার
রূপনগর।
১১ নম্বর সড়কটির একপাশে উঁচু দালান। অন্যপাশে বস্তি। প্রায় ৪ থেকে ৫টি
বস্তির মানুষ ব্যবহার করেন সড়কটি। ফলে কোলাহল লেগেই থাকতো সড়কজুড়ে। বস্তির
টিনশেড ঘরে থাকতেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঘরপ্রতি ভাড়া ৪ হাজার টাকা। ঘরগুলো
যেন শুধুই মাথা গোজার ঠাঁই।
বস্তির রাস্তা দিয়ে দুজন মানুষ ঠিক মতো হাঁটতে পারেন না। তাই বস্তির ছেলে মেয়েরা এই সড়কটিই বেছে নেন খেলা ধুলা থেকে শুরু করে সব কাজে। অধিক জনসংখ্যার এই সড়কটিতে হঠাৎ দেখা মেলে এক বেলুন ওয়ালার। ফলে ছোট শিশুদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন খুব সহজেই। অনেকেই বলেছেন তিনি ১৫/২০ দিন পরপর আসতেন। বেলুনওয়ালা আবু সাঈদ নিজেই সিলিন্ডার ও গ্যাস বানিয়ে বেলুনে ভরে বিক্রি করতেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন তার সিলিন্ডার থেকে ধুয়া বের হচ্ছিল। এই কারণে প্রথমে তিনি একটি মুদি দোকানের সামনে বসলেও উঠিয়ে দেয়া হয়। এই সময় অনেকের সঙ্গেই কথা হয় তার। কামাল মজুমদার স্কুলের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বায়েজীদ মীর শুভর সঙ্গেও কথা হয় তার। শুভ বলেন, আমি বেলুন ওয়ালাকে বলি, কাকা এটা তো ব্লাস্ট হবে। বেলুন বিক্রেতা বলেন, হবে না বাবা, আল্লাহ ভরসা। সিলিন্ডারটা গরম হয়ে গেছে এই জন্য ধুয়া বের হচ্ছে।
জানা যায়, আবু সাঈদ বেলুনের জন্য নিজেই সিলিন্ডার বানিয়েছেন। প্রথমে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ কাটেন। সিলিন্ডারে কাচের টুকরা, ইটের টুকরা, বালু ও ২ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ দিতেন। এরপর একটি রড দিয়ে নাড়া দিতেন। এরপর সেখান থেকে বের হতো ধুয়া। তার নিজের তৈরি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতেন। আর বেলুনে গ্যাস ভরতেন একটি নলের সাহায্যে। এই সময় সিলিন্ডার গরম হয়ে উঠতো।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম আক্তার। মিম ও ফারজানা ছিলো বান্ধবী। মিম বেলুন কেনার জন্য মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যান। তার মায়ের নাম কাজল। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। তার বাবার নাম মো. সাইফুদ্দিন। মিমের বাবা পঙ্গু। বাড়িতে বসে থাকেন। মিমের বড় বোনের নাম ট্রপি। পরিবারের অসহায়ত্বের কারণে ১৫ বছর বয়সেই মায়ের সঙ্গে সংসারের হাল ধরেছেন। অভাবের তাড়নায় গতবছর নেত্রকোণা থেকে রাজধানীতে এসেছেন।
মিম ও ফারজানা একসঙ্গে যান বেলুন কিনতে। মিম তার মায়ের কাছে দেয়া বর্ণনায় বলেন, সেখানে অনেক ভিড় ছিলো। তার গ্যাস সিলিন্ডার গরম হওয়ায় বেলুন দিতে দেরি হচ্ছিল। সেই কারণে ভিড় বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে যারা বেলুন কিনতে চায় তাদের কাছে টাকা নিয়ে রাখেন তিনি। এই টাকা নিয়ে রাখার কারণেই ভিড় বাড়তে থাকে। সেসময় তার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ও ছাই বের হতে থাকে। এসময় বেলুন বিক্রেতা বলেন, তোমরা একটু পাশে গিয়ে দাঁড়াও আমি সিলিন্ডার ঠিক করছি। বেলুন বিক্রেতা গ্যাস বের হওয়া স্থানে কাপড় দিয়ে পেচিয়ে ধরেন।
মিম ফারজানাকে বলে চলো দুরে গিয়ে দাঁড়াই। কিন্তু ফারজানা সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। মিম সেই বেলুনের দোকান থেকে খানিকটা দুরে এসে দাঁড়ায়। গ্যাস বের হওয়ার পরপরই বিস্ফোরন হয়। ফারজানা সেখানেই মারা যায়। আর মিম পড়ে যায়। তার ডান পা পুড়ে যায়। বাম চোখে আঘাত পায়। মিমকে কেউ একজন নিয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তার বাবা মা হাসপাতালে গিয়ে পায় মিমকে। এরপর গতকাল তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তার বাবা বলেন, ৭ দিন পর আবার আসতে বলেছেন হাসপাতালে। তখন জানা যাবে চোখের কী অবস্থা।
ঠিক ঘটনাস্থলের তিন বাড়ি পড়ে থাকতেন সুরুতন বিবি। তিনি তার নাতিকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে এসে দেখেন এই বিসৎসতা। কারো হাত নেই করো পা নেই। তার ভাষায় ‘রক্ত বন্যা’ হয়ে গেছে।
আকাশ রহমান নামে এক বাসিন্দা বলেন, সেই সময় কাকে রেখে কাকে ধরবো। সবাই চিৎকার করছে। অনেকেই ছবি তুলছে ভিডিও করছে। আমি আহত একজনকে ফাঁকা স্থানে নিয়ে রাখি। সেখানে এত লোক ছিলো যে আর ঢুকতে পারছিলাম না। আমি চিৎকার করেছি ধরেন ধরেন। নিয়ে যাই হাসপাতালে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে না। সবাই ভিডিও আর ছবি তুলতে ব্যস্ত।
এই বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে রূপনগর থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে এ মামলা করা হয়। গতকাল সকালে রূপনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্ঘটনায় সাঈদের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বুধবার রাতে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মিমের সঙ্গে থাকা ফারজানার মৃত্যু হয়েছে। আবার সেই সঙ্গে ফারজানার বোন মরিয়মের (৯) ডান হাত বিছিন্ন হয়ে গেছে বিস্ফোরনে। ফরাজানা ও মরিয়মের বাবার নাম আবু তাহের। তিনি পেশায় রিকশাচালক। বয়সের ভারে ক্লান্ত তাহের এক মেয়েকে হারিয়ে এবং আরেক মেয়ের হাত হারিয়ে এখন দিশেহারা।
গতকাল দুপুর বেলা আবু তাহেরের ঘরে গিয়ে দেখা যায় বিছানায় শুয়ে বিলাপ করছেন। কথা বলার শক্তি না থাকলেও মেয়ের ছবি দেখতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তড়িঘরি করে খুঁজতে থাকেন মৃত মেয়ের ছবি। কিন্তু হায় মেয়ের শেষ স্মৃতি হিসেবে কোন ছবিও মেলে না ঘরে। আবু তাহেরের ৫ মেয়ে ২ ছেলে। এক ছেলে ছোট। সবার বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা। দেখে না বাবা মা ভাই বোনকে। আর ২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনায় বুধবারই মৃত্যু হয় ৬ জনের। আর গতকাল মৃত্যু হয় নাহিদ নামে আরো এক শিশুর। এর আগে নিহত ৬ জন হলো- মিজানুর রহমান (৬), রুবেল (৭), রমজান (৮), নুপুর (৭), শাহীন (৯) ও ফারজানা (৬)। এছাড়াও জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি অন্যরা হলেন, বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ, জুয়েল (২৫), জান্নাত (২৫), জনি (১০), সিয়াম (১১) ও মোস্তাকিম (৯)। জুয়েল ও জান্নাতের হাত বিছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া লাইফ সার্পোটে রয়েছে মিজান।
বস্তির রাস্তা দিয়ে দুজন মানুষ ঠিক মতো হাঁটতে পারেন না। তাই বস্তির ছেলে মেয়েরা এই সড়কটিই বেছে নেন খেলা ধুলা থেকে শুরু করে সব কাজে। অধিক জনসংখ্যার এই সড়কটিতে হঠাৎ দেখা মেলে এক বেলুন ওয়ালার। ফলে ছোট শিশুদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন খুব সহজেই। অনেকেই বলেছেন তিনি ১৫/২০ দিন পরপর আসতেন। বেলুনওয়ালা আবু সাঈদ নিজেই সিলিন্ডার ও গ্যাস বানিয়ে বেলুনে ভরে বিক্রি করতেন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঘটনার দিন তার সিলিন্ডার থেকে ধুয়া বের হচ্ছিল। এই কারণে প্রথমে তিনি একটি মুদি দোকানের সামনে বসলেও উঠিয়ে দেয়া হয়। এই সময় অনেকের সঙ্গেই কথা হয় তার। কামাল মজুমদার স্কুলের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বায়েজীদ মীর শুভর সঙ্গেও কথা হয় তার। শুভ বলেন, আমি বেলুন ওয়ালাকে বলি, কাকা এটা তো ব্লাস্ট হবে। বেলুন বিক্রেতা বলেন, হবে না বাবা, আল্লাহ ভরসা। সিলিন্ডারটা গরম হয়ে গেছে এই জন্য ধুয়া বের হচ্ছে।
জানা যায়, আবু সাঈদ বেলুনের জন্য নিজেই সিলিন্ডার বানিয়েছেন। প্রথমে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের মুখ কাটেন। সিলিন্ডারে কাচের টুকরা, ইটের টুকরা, বালু ও ২ ধরণের রাসায়নিক পদার্থ দিতেন। এরপর একটি রড দিয়ে নাড়া দিতেন। এরপর সেখান থেকে বের হতো ধুয়া। তার নিজের তৈরি একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতেন। আর বেলুনে গ্যাস ভরতেন একটি নলের সাহায্যে। এই সময় সিলিন্ডার গরম হয়ে উঠতো।
স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম আক্তার। মিম ও ফারজানা ছিলো বান্ধবী। মিম বেলুন কেনার জন্য মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যান। তার মায়ের নাম কাজল। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। তার বাবার নাম মো. সাইফুদ্দিন। মিমের বাবা পঙ্গু। বাড়িতে বসে থাকেন। মিমের বড় বোনের নাম ট্রপি। পরিবারের অসহায়ত্বের কারণে ১৫ বছর বয়সেই মায়ের সঙ্গে সংসারের হাল ধরেছেন। অভাবের তাড়নায় গতবছর নেত্রকোণা থেকে রাজধানীতে এসেছেন।
মিম ও ফারজানা একসঙ্গে যান বেলুন কিনতে। মিম তার মায়ের কাছে দেয়া বর্ণনায় বলেন, সেখানে অনেক ভিড় ছিলো। তার গ্যাস সিলিন্ডার গরম হওয়ায় বেলুন দিতে দেরি হচ্ছিল। সেই কারণে ভিড় বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে যারা বেলুন কিনতে চায় তাদের কাছে টাকা নিয়ে রাখেন তিনি। এই টাকা নিয়ে রাখার কারণেই ভিড় বাড়তে থাকে। সেসময় তার গ্যাস সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ও ছাই বের হতে থাকে। এসময় বেলুন বিক্রেতা বলেন, তোমরা একটু পাশে গিয়ে দাঁড়াও আমি সিলিন্ডার ঠিক করছি। বেলুন বিক্রেতা গ্যাস বের হওয়া স্থানে কাপড় দিয়ে পেচিয়ে ধরেন।
মিম ফারজানাকে বলে চলো দুরে গিয়ে দাঁড়াই। কিন্তু ফারজানা সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। মিম সেই বেলুনের দোকান থেকে খানিকটা দুরে এসে দাঁড়ায়। গ্যাস বের হওয়ার পরপরই বিস্ফোরন হয়। ফারজানা সেখানেই মারা যায়। আর মিম পড়ে যায়। তার ডান পা পুড়ে যায়। বাম চোখে আঘাত পায়। মিমকে কেউ একজন নিয়ে যায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তার বাবা মা হাসপাতালে গিয়ে পায় মিমকে। এরপর গতকাল তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। তার বাবা বলেন, ৭ দিন পর আবার আসতে বলেছেন হাসপাতালে। তখন জানা যাবে চোখের কী অবস্থা।
ঠিক ঘটনাস্থলের তিন বাড়ি পড়ে থাকতেন সুরুতন বিবি। তিনি তার নাতিকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে বাইরে এসে দেখেন এই বিসৎসতা। কারো হাত নেই করো পা নেই। তার ভাষায় ‘রক্ত বন্যা’ হয়ে গেছে।
আকাশ রহমান নামে এক বাসিন্দা বলেন, সেই সময় কাকে রেখে কাকে ধরবো। সবাই চিৎকার করছে। অনেকেই ছবি তুলছে ভিডিও করছে। আমি আহত একজনকে ফাঁকা স্থানে নিয়ে রাখি। সেখানে এত লোক ছিলো যে আর ঢুকতে পারছিলাম না। আমি চিৎকার করেছি ধরেন ধরেন। নিয়ে যাই হাসপাতালে। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসে না। সবাই ভিডিও আর ছবি তুলতে ব্যস্ত।
এই বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেছে রূপনগর থানা পুলিশ। বুধবার দিবাগত রাতে এ মামলা করা হয়। গতকাল সকালে রূপনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, দুর্ঘটনায় সাঈদের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বুধবার রাতে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে আটক করা হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মিমের সঙ্গে থাকা ফারজানার মৃত্যু হয়েছে। আবার সেই সঙ্গে ফারজানার বোন মরিয়মের (৯) ডান হাত বিছিন্ন হয়ে গেছে বিস্ফোরনে। ফরাজানা ও মরিয়মের বাবার নাম আবু তাহের। তিনি পেশায় রিকশাচালক। বয়সের ভারে ক্লান্ত তাহের এক মেয়েকে হারিয়ে এবং আরেক মেয়ের হাত হারিয়ে এখন দিশেহারা।
গতকাল দুপুর বেলা আবু তাহেরের ঘরে গিয়ে দেখা যায় বিছানায় শুয়ে বিলাপ করছেন। কথা বলার শক্তি না থাকলেও মেয়ের ছবি দেখতে চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তড়িঘরি করে খুঁজতে থাকেন মৃত মেয়ের ছবি। কিন্তু হায় মেয়ের শেষ স্মৃতি হিসেবে কোন ছবিও মেলে না ঘরে। আবু তাহেরের ৫ মেয়ে ২ ছেলে। এক ছেলে ছোট। সবার বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা। দেখে না বাবা মা ভাই বোনকে। আর ২ মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনায় বুধবারই মৃত্যু হয় ৬ জনের। আর গতকাল মৃত্যু হয় নাহিদ নামে আরো এক শিশুর। এর আগে নিহত ৬ জন হলো- মিজানুর রহমান (৬), রুবেল (৭), রমজান (৮), নুপুর (৭), শাহীন (৯) ও ফারজানা (৬)। এছাড়াও জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি অন্যরা হলেন, বেলুন বিক্রেতা আবু সাঈদ, জুয়েল (২৫), জান্নাত (২৫), জনি (১০), সিয়াম (১১) ও মোস্তাকিম (৯)। জুয়েল ও জান্নাতের হাত বিছিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া লাইফ সার্পোটে রয়েছে মিজান।
No comments