রপ্তানিমুখী খাতে প্রণোদনা দেয়া হবে -সালমান এফ রহমান
দেশের
রপ্তানিমুখী সকল খাতকে তৈরি পোশাক খাতের মতো আগামী বাজেটে প্রণোদনা দেয়া
হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা
সালমান এফ রহমান । গতকাল রাজধানীর বনানীতে গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ
ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) কনফারেন্স সেন্টারে- ’প্রতিবেশী
দেশগুলোতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া, কনসালটেন্ট প্রিয়া মাথুর ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়ার (এনইআই) মধ্যে সংযোগ উন্নত করা, ভোক্তাকল্যাণ উন্নতির জন্য আঞ্চলিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও সুদৃঢ় করা এবং ট্রানজিট-অবকাঠামোর সেবা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সালমান এফ রহমান বলেন, এ বছরই ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬ থেকে ১২৫ এ উন্নীত হবে। এই অবস্থান আগামী বছর দুই অঙ্কের ঘরে আসবে বলেও আশা করেন তিনি। বলেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাই বিদেশিরাও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে সব প্রতিষ্ঠানেরই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
এ সময় তিনি রপ্তানি বহুমুখীকরণে সরকারের সুযোগ-সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল- এই চার জাতির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বিবিআইএন উদ্যোগ অনেক দূর এগিয়েছে। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেছেন যে খাত নির্ভর প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। এ কারণে সরকার সেই দিকে নজর দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেবে। আর এই সুযোগ গ্রহণ করবে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। দেশের উন্নয়নে তারাই মূল ভূমিকা পালন করবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মন্ত্রী বানিয়েছেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। প্রবৃদ্ধি ৮থেকে ১০ শতাংশে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো অজর্ন করতে হলে বেসরকারি খাত ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার বেসরকারি টেলিভিশন, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বিদ্যুৎ ও মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সব খাতে সমান সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত আসবে এবারের বাজেটে। পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি করতে এবং রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে সরকার কাজ করছে।
পিআরআই আয়োজিত সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতে সক্ষমতার অর্ধেক পণ্যও রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও নিজেদের মধ্যে সক্ষমতার দুই তৃতীয়াংশ বাণিজ্য করতে পারছে না। আর এতে ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নতি। ২০১৫ সালে ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, বাধা না থাকলে এর পরিমাণ হতো ১৯ বিলিয়ন ডলার। গবেষণায় নানা রকম বাধার উদাহরণও তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক।
খরচ বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে বাংলাদেশকে খরচ করতে হয়েছে একশ ৫৯ ভাগ, সেখানে নেপালে খরচ করতে হয়েছে প্রায় আড়াইশ ভাগ। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই নিজেদের মধ্যে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে এমন বাধায় পড়ে। আর তাই সক্ষমতার ৩৩ ভাগ বাণিজ্য হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। যা মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ ভাগ। অথচ ইউরোপীয় দেশগুলো বাণিজ্যের ৬০ ভাগই করে নিজেদের মধ্যে, আসিয়ানে হয় ২৬ ভাগ।
পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া, কনসালটেন্ট প্রিয়া মাথুর ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়ার (এনইআই) মধ্যে সংযোগ উন্নত করা, ভোক্তাকল্যাণ উন্নতির জন্য আঞ্চলিক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও সুদৃঢ় করা এবং ট্রানজিট-অবকাঠামোর সেবা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সালমান এফ রহমান বলেন, এ বছরই ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৬ থেকে ১২৫ এ উন্নীত হবে। এই অবস্থান আগামী বছর দুই অঙ্কের ঘরে আসবে বলেও আশা করেন তিনি। বলেন, দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাই বিদেশিরাও বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে। রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে সব প্রতিষ্ঠানেরই পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
এ সময় তিনি রপ্তানি বহুমুখীকরণে সরকারের সুযোগ-সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল- এই চার জাতির মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে বিবিআইএন উদ্যোগ অনেক দূর এগিয়েছে। দেশের প্রবৃদ্ধি বাড়ার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বাণিজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেটা নিয়ে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেছেন যে খাত নির্ভর প্রবৃদ্ধি প্রয়োজন। এ কারণে সরকার সেই দিকে নজর দিয়েছে বলে জানান তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেবে। আর এই সুযোগ গ্রহণ করবে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। দেশের উন্নয়নে তারাই মূল ভূমিকা পালন করবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মন্ত্রী বানিয়েছেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। প্রবৃদ্ধি ৮থেকে ১০ শতাংশে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো অজর্ন করতে হলে বেসরকারি খাত ছাড়া সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার বেসরকারি টেলিভিশন, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, বিদ্যুৎ ও মোবাইল অপারেটরদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার বেকার ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, রপ্তানির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সব খাতে সমান সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত আসবে এবারের বাজেটে। পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি করতে এবং রপ্তানিতে বৈচিত্র্য আনতে সরকার কাজ করছে।
পিআরআই আয়োজিত সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোতে সক্ষমতার অর্ধেক পণ্যও রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও নিজেদের মধ্যে সক্ষমতার দুই তৃতীয়াংশ বাণিজ্য করতে পারছে না। আর এতে ব্যাহত হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নতি। ২০১৫ সালে ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে প্রায় সাড়ে ৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা বলছে, বাধা না থাকলে এর পরিমাণ হতো ১৯ বিলিয়ন ডলার। গবেষণায় নানা রকম বাধার উদাহরণও তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক।
খরচ বিশ্লেষণ করে বিশ্বব্যাংক বলছে, আফ্রিকা ও ব্রাজিলে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে বাংলাদেশকে খরচ করতে হয়েছে একশ ৫৯ ভাগ, সেখানে নেপালে খরচ করতে হয়েছে প্রায় আড়াইশ ভাগ। এই সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়। দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশই নিজেদের মধ্যে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে এমন বাধায় পড়ে। আর তাই সক্ষমতার ৩৩ ভাগ বাণিজ্য হচ্ছে নিজেদের মধ্যে। যা মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ ভাগ। অথচ ইউরোপীয় দেশগুলো বাণিজ্যের ৬০ ভাগই করে নিজেদের মধ্যে, আসিয়ানে হয় ২৬ ভাগ।
No comments