হাত-পা এখনো বাঁধা: নির্বাচনের স্বার্থে যে কারো সঙ্গে জোট হতে পারে -হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
আসন্ন
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এখন আর সংশয় নেই দাবি করে জাতীয় পার্টির
চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, এক সময় আমার হাত-পা বাঁধা ছিল।
এখনো বাঁধা। তারপরও এগিয়ে যাচ্ছি। হাত-পা বাঁধা থাকলেও সংশয় নেই। এক সপ্তাহ
আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এরশাদ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে
সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। ওই প্রসঙ্গ টেনে গতকাল তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যে
সংশয় ছিল তা এখন নেই। যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছিল তারা ব্যর্থ
হয়েছে। এখন মাঠে শুধু আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি আর বিএনপি।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে’ জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ এসব কথা বলেন। গত ২০শে অক্টোবর জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের ‘মহাসমাবেশে’ এরশাদ বলেছিলেন, একটি দল ৭ দফা দিয়েছে, সরকার তা মানতে রাজি নয়। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মানা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলো স্বচ্ছ দিন হবে বলে মনে হয় না আমার। পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মনিরের সঞ্চালনায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ফয়সাল চিশতি, খালেদ আখতারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এরশাদ বলেন, তার দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত কী হবে- তা নির্ভর করছে বিএনপির ‘গতিবিধি’র ওপর। বিএনপি যদি ভোটে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আর যদি বিএনপি না আসে তাহলে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়া হবে। জাতীয় পার্টির এবারের নির্বাচনী প্রচারের স্লোগান ঠিক হয়েছে ‘পল্লীবন্ধুর হাত ধরে দেশ শাসনে আরেকবার’। এই প্রচারের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামলের সাফল্যের কথাও তুলে ধরা হবে। এরশাদ বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য অল্প দিনের মধ্যে মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হবে।
প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হবে। জাতীয় পার্টি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো রেজাল্ট করবে। ডিজিটাল প্রচারের কৌশল তুলে ধরে এরশাদ বলেন, প্রতিদিন সাড়ে চার কোটি মানুষের কাছে দলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। ইন্টারনেটে একটি প্ল্যাটফরম থাকবে যেখানে ক্লিক করলে জাতীয় পার্টির উন্নয়নের চিত্র ভেসে আসবে। এ সময় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে বিভিন্ন কনটেন্ট গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের তথ্য, প্রযুক্তি এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির। ৪০ জন আইটি বিশেষজ্ঞ প্রতিদিন ৩ শিফটে ভাগ হয়ে ২৪ ঘণ্টাই ডিজিটাল প্রচারণা চালাবেন।
শনিবার রাজধানীর বনানীতে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে’ জাতীয় পার্টির নির্বাচনী প্রচারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এরশাদ এসব কথা বলেন। গত ২০শে অক্টোবর জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের ‘মহাসমাবেশে’ এরশাদ বলেছিলেন, একটি দল ৭ দফা দিয়েছে, সরকার তা মানতে রাজি নয়। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মানা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় আগামী দিনগুলো স্বচ্ছ দিন হবে বলে মনে হয় না আমার। পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মনিরের সঞ্চালনায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ফয়সাল চিশতি, খালেদ আখতারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এরশাদ বলেন, তার দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির সিদ্ধান্ত কী হবে- তা নির্ভর করছে বিএনপির ‘গতিবিধি’র ওপর। বিএনপি যদি ভোটে আসে তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি। আর যদি বিএনপি না আসে তাহলে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী দেয়া হবে। জাতীয় পার্টির এবারের নির্বাচনী প্রচারের স্লোগান ঠিক হয়েছে ‘পল্লীবন্ধুর হাত ধরে দেশ শাসনে আরেকবার’। এই প্রচারের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির নয় বছরের শাসনামলের সাফল্যের কথাও তুলে ধরা হবে। এরশাদ বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী মনোনয়নের জন্য অল্প দিনের মধ্যে মনোনয়ন বোর্ড গঠন করা হবে।
প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হবে। জাতীয় পার্টি আগের থেকে অনেক শক্তিশালী। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো রেজাল্ট করবে। ডিজিটাল প্রচারের কৌশল তুলে ধরে এরশাদ বলেন, প্রতিদিন সাড়ে চার কোটি মানুষের কাছে দলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে। ইন্টারনেটে একটি প্ল্যাটফরম থাকবে যেখানে ক্লিক করলে জাতীয় পার্টির উন্নয়নের চিত্র ভেসে আসবে। এ সময় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে বিভিন্ন কনটেন্ট গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের তথ্য, প্রযুক্তি এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টা পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির। ৪০ জন আইটি বিশেষজ্ঞ প্রতিদিন ৩ শিফটে ভাগ হয়ে ২৪ ঘণ্টাই ডিজিটাল প্রচারণা চালাবেন।
নির্বাচনের স্বার্থে যে কারো সঙ্গে জোট হতে পারে -এরশাদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া| ২৮ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার
অবাধ,
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যে কোন জোটের হয়ে নির্বাচন করতে
পারে জাতীয় পার্টি (জাপা)। এটা আওয়ামী লীগ কিংবা অন্য যে কেউয়ের সঙ্গে হতে
পারে বলে জানিয়েছেন জাপার নেতারা ।
আজ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পাইলট স্কুলমাঠে সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। জাপার সমাবেশে নেতারা বর্তমান সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করেছেন আবার ক্ষমতার বাহিরে থেকেও নির্বাচন করেছেন । আপনাদের বিবেক আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে আপনারা দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তার উপর বিভিন্ন সময়ের অত্যাচারের কথা তুলে ধরে বলেন, আমি শান্তিতে নেই। আমার মত লাঞ্চিত, বঞ্চিত নিপীড়িত এবং নির্যাতিত আর কোন নেতা নেই। কে নির্বাচনে আসলো আর কে আসলো না আমরা তা দেখবো না।
নির্বাচনে না আসলে সরকারকে সরানো যায় না।
সমাবেশে সকাল থেকেই আশেপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেন। বেলা ১১টার সময় নবীনগর কলেজ মাঠে এরশাদকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এরপরে উপজেলা ডাকবাংলায় বিশ্রাম নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় জাপা চেয়ারম্যান মঞ্চে আসেন। এছাড়া মঞ্চে ছিলেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তিনি যখন মঞ্চে আসেন তখন মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তারা করতালির মাধ্যমে এরশাদকে অভিবাধন জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেন, আমি সত্য কথা বলি। আমি মুসলমান। একটা উপজেলায় এতলোক আমি কখনো দেখিনি। এটির কারণ মানুষ
পরিবর্তন চায়, বেঁচে থাকতে চায়। এরশাদ বর্তমান সময়ের দেশের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমাদের সময় কোন ব্যাংক লুটপাট ছিল না, রাস্তায় লাশ পড়ে থাকত না। আর এখন রাস্তায় লাশ পড়ে থাকে এ কারণেই মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি চাই সব দল নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনে কারচুপি হউক সেটা আমি চাই না। আমাদের বার বার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাকে জেলে দেয়া হয়েছে তবুও আমি হারিনি। আমার সময়ে পয়সা ছিল না তারপরে যে উন্নয়ন করেছি সেটা মানুষ মনে রেখেছে।
এরশাদ বলেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর আমি একটা দিনও শান্তিতে থাকতে পারিনি। এখনো শান্তিতে নেই। যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে শান্তি ফিরে আসবে, সমস্ত ব্যথা-বেদনা দূর হবে। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই আমি।
আগামী নির্বাচনে নবীনগর আসনের জাপা প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদকে নেতাকর্মীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, আমি আমার পুরনো আসন ফিরে পেতে চাই। মামুনকে আপনাদের কাছে রেখে গেলাম। আপনারা আগামী নির্বাচনে মামুনকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন।
জাপার কো-চেয়ানরম্যান জিএম কাদের বলেন, এরশাদ যে সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই ক্ষমতার পালা ঝুলে পড়ে। আমরা আগে যে উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতাম তা এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখন সরকার এবং সরকার বিরোধীরা স্ব-বিরোধী কথা বলে যাচ্ছে। একদল বিভিন্ন দাবি দিচ্ছে আরেকদল তা মানবে না।
কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা যে কোন এক জোটের হয়ে নির্বাচন করব।
সেটা মহাজোটের সঙ্গে হতে পারে। আবার অন্য কোন দলের সঙ্গে হতে পারে। অনেকে বলেন, আপনারা একেক সময় একেক ধরণের কথা বলেন এটা আদর্শের বিরুদ্ধে যায় না? আমরা আছি সুশাসনের পক্ষে। আমরা মানুষকে সুশাসন দিয়েছিলাম।
এরপরে যারা সরকারে ছিল তারা দেশটাকে মাদকে ভরে ফেলছে, এটা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায় ।
মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আগামী দিনে জোট হতে পারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবার একাও নির্বাচন হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা কোন ধ্বংসে বিশ্বাস করি না। আমরা উন্নয়নে বিশ্বাস করি। আমরা ১৯৮১ সালে যখন জেলে ছিলাম তখনও এই আসনে আমাদের প্রার্থী জয়ী হয়ে ছিলো। মানুষ আমাদের উন্নয়নের কথা ভুলেনি। আজকের সমাবেশে এত লোক তারই প্রমাণ ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব. খালেদ আখতার,এসএম ফয়সাল হোসেন চিশতী, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা জাপার সদস্য সচিব মোসলেম উদ্দিন মৃধা প্রমুখ ।
আজ রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পাইলট স্কুলমাঠে সকাল ১০টায় সমাবেশ শুরু হয়। জাপার সমাবেশে নেতারা বর্তমান সরকারকে ইঙ্গিত করে বলেন, আপনারা ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন করেছেন আবার ক্ষমতার বাহিরে থেকেও নির্বাচন করেছেন । আপনাদের বিবেক আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে আপনারা দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ তার উপর বিভিন্ন সময়ের অত্যাচারের কথা তুলে ধরে বলেন, আমি শান্তিতে নেই। আমার মত লাঞ্চিত, বঞ্চিত নিপীড়িত এবং নির্যাতিত আর কোন নেতা নেই। কে নির্বাচনে আসলো আর কে আসলো না আমরা তা দেখবো না।
নির্বাচনে না আসলে সরকারকে সরানো যায় না।
সমাবেশে সকাল থেকেই আশেপাশের এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেন। বেলা ১১টার সময় নবীনগর কলেজ মাঠে এরশাদকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করে। এরপরে উপজেলা ডাকবাংলায় বিশ্রাম নিয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় জাপা চেয়ারম্যান মঞ্চে আসেন। এছাড়া মঞ্চে ছিলেন দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। তিনি যখন মঞ্চে আসেন তখন মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তারা করতালির মাধ্যমে এরশাদকে অভিবাধন জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ বলেন, আমি সত্য কথা বলি। আমি মুসলমান। একটা উপজেলায় এতলোক আমি কখনো দেখিনি। এটির কারণ মানুষ
পরিবর্তন চায়, বেঁচে থাকতে চায়। এরশাদ বর্তমান সময়ের দেশের অবস্থা তুলে ধরে বলেন, আমাদের সময় কোন ব্যাংক লুটপাট ছিল না, রাস্তায় লাশ পড়ে থাকত না। আর এখন রাস্তায় লাশ পড়ে থাকে এ কারণেই মানুষ পরিবর্তন চায়। আমি চাই সব দল নির্বাচনে আসুক। নির্বাচনে কারচুপি হউক সেটা আমি চাই না। আমাদের বার বার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে, আমাকে জেলে দেয়া হয়েছে তবুও আমি হারিনি। আমার সময়ে পয়সা ছিল না তারপরে যে উন্নয়ন করেছি সেটা মানুষ মনে রেখেছে।
এরশাদ বলেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর আমি একটা দিনও শান্তিতে থাকতে পারিনি। এখনো শান্তিতে নেই। যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে শান্তি ফিরে আসবে, সমস্ত ব্যথা-বেদনা দূর হবে। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই আমি।
আগামী নির্বাচনে নবীনগর আসনের জাপা প্রার্থী কাজী মামুনুর রশীদকে নেতাকর্মীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, আমি আমার পুরনো আসন ফিরে পেতে চাই। মামুনকে আপনাদের কাছে রেখে গেলাম। আপনারা আগামী নির্বাচনে মামুনকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন।
জাপার কো-চেয়ানরম্যান জিএম কাদের বলেন, এরশাদ যে সিদ্ধান্ত নেন সেদিকেই ক্ষমতার পালা ঝুলে পড়ে। আমরা আগে যে উৎসবমুখর নির্বাচন দেখতাম তা এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এখন সরকার এবং সরকার বিরোধীরা স্ব-বিরোধী কথা বলে যাচ্ছে। একদল বিভিন্ন দাবি দিচ্ছে আরেকদল তা মানবে না।
কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা যে কোন এক জোটের হয়ে নির্বাচন করব।
সেটা মহাজোটের সঙ্গে হতে পারে। আবার অন্য কোন দলের সঙ্গে হতে পারে। অনেকে বলেন, আপনারা একেক সময় একেক ধরণের কথা বলেন এটা আদর্শের বিরুদ্ধে যায় না? আমরা আছি সুশাসনের পক্ষে। আমরা মানুষকে সুশাসন দিয়েছিলাম।
এরপরে যারা সরকারে ছিল তারা দেশটাকে মাদকে ভরে ফেলছে, এটা থেকে মানুষ পরিত্রাণ চায় ।
মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আগামী দিনে জোট হতে পারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আবার একাও নির্বাচন হতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা কোন ধ্বংসে বিশ্বাস করি না। আমরা উন্নয়নে বিশ্বাস করি। আমরা ১৯৮১ সালে যখন জেলে ছিলাম তখনও এই আসনে আমাদের প্রার্থী জয়ী হয়ে ছিলো। মানুষ আমাদের উন্নয়নের কথা ভুলেনি। আজকের সমাবেশে এত লোক তারই প্রমাণ ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জাপা প্রেসিডিয়াম সদস্য, সুনীল শুভ রায়, মেজর (অব. খালেদ আখতার,এসএম ফয়সাল হোসেন চিশতী, জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা জাপার সদস্য সচিব মোসলেম উদ্দিন মৃধা প্রমুখ ।
No comments