মিনা ট্রাজেডিতে সৌদি-ইরান বাকযুদ্ধ
পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মিনায় পদদলিত হয়ে ৭৬৯ জন হাজী নিহতের ঘটনায় মুখোমুখি বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে সৌদি আরব ও ইরান। মিনা ট্রাজেডিতে ১৩৬ জন ইরানি নাগরিক নিহত ও তিন শতাধিক নিখোঁজ রয়েছে। এতে রিয়াদের অব্যবস্থপনা ও অবহেলাকে দায়ী করছে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তেহরান। এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সৌদি আরব বলেছে, ইরান হজ নিয়ে রাজনীতি করছে। সিরীয় ও ইয়েমেন সংকটকে কেন্দ্র করে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চলা উত্তেজনার মধ্যে দু’দেশের মধ্যে নতুন করে এ বিতর্ক দেখা দিল
সৌদির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব : ইরান
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে কয়েকশ’ হাজী নিহতের ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। রিয়াদের অব্যবস্থাপনায় ১৩৬ জন ইরানিসহ ৭৬৯ জন হাজী নিহত হয়েছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে। ইরানি বার্তা সংস্থা ইসনা নিউজ এজেন্সির বরাতে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানায়, দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘হাজীদের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, তার জন্য সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা আন্তর্জাতিক আদালত ও সমমনাদের প্রতি আহ্বান জানাব।’ ইব্রাহিম রাইসি দাবি করেন ‘এটা অপরাধ’। তিনি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিনা থেকে জামারার দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে যাওয়া মুসল্লিদের রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সৌদি যুবরাজের বহরকে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন। তবে সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সৌদির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব : ইরান
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে কয়েকশ’ হাজী নিহতের ঘটনায় দেশটির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। রিয়াদের অব্যবস্থাপনায় ১৩৬ জন ইরানিসহ ৭৬৯ জন হাজী নিহত হয়েছে দাবি করে এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে। ইরানি বার্তা সংস্থা ইসনা নিউজ এজেন্সির বরাতে লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস জানায়, দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘হাজীদের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে, তার জন্য সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা আন্তর্জাতিক আদালত ও সমমনাদের প্রতি আহ্বান জানাব।’ ইব্রাহিম রাইসি দাবি করেন ‘এটা অপরাধ’। তিনি সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মিনা থেকে জামারার দিকে পাথর নিক্ষেপ করতে যাওয়া মুসল্লিদের রাস্তা বন্ধ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সৌদি যুবরাজের বহরকে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন। তবে সৌদি আরব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সৌদিকে ক্ষমা চাইতে হবে-সর্বোচ্চ নেতা : ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনি বলেছেন, পবিত্র হজের সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার জন্য সৌদি শাসকদের অবশ্যই ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, সৌদি সরকারের দায় এড়ানোর প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। খামেনি বলেন, ‘এ ঘটনা পবিত্র ঈদুল আজহাকে মুসলিম উম্মার কাছে শোকের অনুষ্ঠানে পরিণত করেছে।’ হজের সময়কার দুর্ঘটনার কথা মুসলিম বিশ্বের কেউ ভুলে যাবে না বলেও উল্লেখ করেন সর্বোচ্চ নেতা।
তদন্তের দাবি রুহানির : মিনায় পদদলিত হয়ে কয়েকশ’ হাজীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। মিনার ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। শনিবার জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে রুহানি এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। নিহত হাজীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
ইরান হজ নিয়ে রাজনীতি করছে : সৌদি
পবিত্র হজ নিয়ে ইরান রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবেরি বলেন, ‘বেদনাদায়ক এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেয়ে ইরানিদের জানা উচিত হজপ্রত্যাশীদের পবিত্র হজ সম্পাদন সফল করতে সৌদি আরব কি পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করে। এ বিষয়ে সৌদি আরবের রয়েছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যময় ইতিহাস।’ সৌদি পররোষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটি নিয়ে রাজনীতি চলে না। আমি আশা করি ইরানি নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ও চিন্তাশীল হবেন। তদন্তের ফলাফল না জানা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
ইরানিদের নিয়ম লংঘনেই মিনায় পদদলন : প্রায় ৩০০ ইরানি হাজীদের একটি দল নিয়ম লংঘন করে উল্টো পথে হাঁটা শুরু করায় মিনায় পদদলনের ঘটনা ঘটেছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে মিনায় অন্তত ৭৬৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলার মধ্যেই ইরানি হজ মিশনের এক কর্মকর্তা এ কথা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০০ ইরানির একটি দল নিয়ম লংঘন করে মুজদালিফা থেকে জামারাতের দিকে হাঁটা শুরু করলে দুর্ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। তারা নিয়মানুযায়ী নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে ২০৩নং স্ট্রিটে উল্টো দিকে হাঁটতে থাকে।’
এ দুর্ঘটনা ‘মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে’-গ্র্যান্ড মুফতি : সৌদি আরবের প্রধান ধর্মীয় নেতা বলেছেন যে মক্কার মিনায় পদদলিত হয়ে ৭৬৯ হজযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ‘মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ ছিল। হজের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে সৌদির আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। শুক্রবার মিনায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের সঙ্গে এক বৈঠকে গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ বলেন, ‘যা ঘটেছে তাতে আপনারা (সৌদি সরকার) দায়ী নয়। যেসব ঘটনা মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তার জন্য আপনাদের দোষারোপ করা যায় না।’
তদন্তের দাবি রুহানির : মিনায় পদদলিত হয়ে কয়েকশ’ হাজীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। মিনার ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। শনিবার জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে রুহানি এ প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। নিহত হাজীদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
ইরান হজ নিয়ে রাজনীতি করছে : সৌদি
পবিত্র হজ নিয়ে ইরান রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছে সৌদি আরব। নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের উদ্দেশে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেল আল-জুবেরি বলেন, ‘বেদনাদায়ক এ ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার চেয়ে ইরানিদের জানা উচিত হজপ্রত্যাশীদের পবিত্র হজ সম্পাদন সফল করতে সৌদি আরব কি পরিমাণ সম্পদ ব্যয় করে। এ বিষয়ে সৌদি আরবের রয়েছে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যময় ইতিহাস।’ সৌদি পররোষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এটি নিয়ে রাজনীতি চলে না। আমি আশা করি ইরানি নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে আরও দায়িত্বশীল ও চিন্তাশীল হবেন। তদন্তের ফলাফল না জানা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে হবে।
ইরানিদের নিয়ম লংঘনেই মিনায় পদদলন : প্রায় ৩০০ ইরানি হাজীদের একটি দল নিয়ম লংঘন করে উল্টো পথে হাঁটা শুরু করায় মিনায় পদদলনের ঘটনা ঘটেছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে মিনায় অন্তত ৭৬৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলার মধ্যেই ইরানি হজ মিশনের এক কর্মকর্তা এ কথা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০০ ইরানির একটি দল নিয়ম লংঘন করে মুজদালিফা থেকে জামারাতের দিকে হাঁটা শুরু করলে দুর্ঘটনাটির সূত্রপাত হয়। তারা নিয়মানুযায়ী নিজেদের ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে ২০৩নং স্ট্রিটে উল্টো দিকে হাঁটতে থাকে।’
এ দুর্ঘটনা ‘মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে’-গ্র্যান্ড মুফতি : সৌদি আরবের প্রধান ধর্মীয় নেতা বলেছেন যে মক্কার মিনায় পদদলিত হয়ে ৭৬৯ হজযাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ‘মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ ছিল। হজের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে সৌদির আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। শুক্রবার মিনায় সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফের সঙ্গে এক বৈঠকে গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ বলেন, ‘যা ঘটেছে তাতে আপনারা (সৌদি সরকার) দায়ী নয়। যেসব ঘটনা মানুষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তার জন্য আপনাদের দোষারোপ করা যায় না।’
No comments