বিচারিক আদেশের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন- র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানা র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা নিতে অস্বীকার করায় শাহীনুর আলমের পরিবার এখন উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর আগে তারা নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হলেও প্রতিকার পায়নি৷ র্যাবের বিরুদ্ধে একটি মামলা গ্রহণ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারিক হাকিম, মুখ্য বিচারিক হাকিম এবং জেলা ও দায়রা জজের তিনটি পৃথক আদেশের যথার্থতা নিয়ে যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।
পত্রিকান্তরে র্যাবের কতিপয় সদস্যের দ্বারা শাহীনুর আলমকে সাদাপোশাকে গ্রেপ্তার ও পরে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর বিবরণ ছাপা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, ৪৩ বছর বয়সী শাহীনুর অজাতশত্রু ছিলেন। তবে তাঁকে গ্রেপ্তার থেকে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের কতিপয় সদস্যের আচরণ অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। কিন্তু র্যাব নীরব। আর আদালতে প্রতিকারের সুযোগ সৃষ্টি না হতেই তা বাধার মুখে পড়ল। এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ল না।
শাহীনুরের ভাই বাদী হয়ে নবীনগর থানায় সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। অথচ মামলা নেওয়ার ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে যেমনটি অনুমান করা যায়, ঠিক তেমনটিও এ ক্ষেত্রে ঘটে থাকতে পারে। অর্থাৎ পুলিশ র্যাবের বিরুদ্ধে এজাহার নিতে চায়নি। আর সে কারণে শাহীনুরের সংক্ষুব্ধ পরিবার অধস্তন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল। আদালত-ব্যবস্থার কোনো স্তরের মধ্যেই বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রশ্নে কোনো ধরনের জ্যেষ্ঠতার নীতি নেই। তাই সকল পর্যায়ের বিচারক নিজ নিজ এখতিয়ারের মধ্যে স্বাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম নবীনগরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আলোচ্য মামলা গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এটা যথাযথ এবং আইনানুগ ছিল বলেই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু এই আদেশ আরও দুটি আদেশের জন্ম দিল। সেটাই দুঃখের বিষয়। কারণ এর দরকার ছিল না, একে যথাযথও বলা যাবে না।
বিচারিক হাকিম কথিতমতে ওই ‘হত্যাকাণ্ডের’ ঘটনায় নবীনগর থানাকে মামলা নিয়ে তদন্ত করতে ৪ জুন আদেশ দেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট হাকিমের আমলি ক্ষমতা প্রত্যাহার করার আদেশ দিয়েছেন মুখ্য বিচারিক হাকিম। এটা আইনের চোখে অসংগতিপূর্ণ ও এখতিয়ারবহির্ভূত। তদন্ত না করে কথিত হত্যা মামলার এজাহারই নেওয়া যাবে না, এমন আদেশ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়পরায়ণতার ধারণাকে পর্যুদস্ত করে। উপরন্তু র্যাব-১৪-এর পক্ষে ৫ জুন ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চাওয়ার পরে জেলা ও দায়রা জজ সেটা সংশোধন করে এই মামলার তৃতীয় আদেশটি দিয়েছেন। এতে এখন ‘তদন্ত সাপেক্ষেÿ র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের’ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত কতটা কী হবে, সে বিষয়ে জনমনে সংশয় দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়৷ এই প্রেক্ষাপটে বাদীপক্ষ যে প্রতিকারের আশায় উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই খবর আমাদের আশ্বস্ত করে৷ কেননা ন্যায়বিচারপ্রার্থী মানুষের উচ্চ আদালতই শেষ ভরসা৷
পত্রিকান্তরে র্যাবের কতিপয় সদস্যের দ্বারা শাহীনুর আলমকে সাদাপোশাকে গ্রেপ্তার ও পরে নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর বিবরণ ছাপা হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, ৪৩ বছর বয়সী শাহীনুর অজাতশত্রু ছিলেন। তবে তাঁকে গ্রেপ্তার থেকে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় র্যাবের কতিপয় সদস্যের আচরণ অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। কিন্তু র্যাব নীরব। আর আদালতে প্রতিকারের সুযোগ সৃষ্টি না হতেই তা বাধার মুখে পড়ল। এতে বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ল না।
শাহীনুরের ভাই বাদী হয়ে নবীনগর থানায় সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন, সেটাই স্বাভাবিক। অথচ মামলা নেওয়ার ব্যাপারে অনেক ক্ষেত্রে যেমনটি অনুমান করা যায়, ঠিক তেমনটিও এ ক্ষেত্রে ঘটে থাকতে পারে। অর্থাৎ পুলিশ র্যাবের বিরুদ্ধে এজাহার নিতে চায়নি। আর সে কারণে শাহীনুরের সংক্ষুব্ধ পরিবার অধস্তন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিল। আদালত-ব্যবস্থার কোনো স্তরের মধ্যেই বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রশ্নে কোনো ধরনের জ্যেষ্ঠতার নীতি নেই। তাই সকল পর্যায়ের বিচারক নিজ নিজ এখতিয়ারের মধ্যে স্বাধীন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমলি আদালতের বিচারিক হাকিম নবীনগরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আলোচ্য মামলা গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর এটা যথাযথ এবং আইনানুগ ছিল বলেই প্রতীয়মান হয়। কিন্তু এই আদেশ আরও দুটি আদেশের জন্ম দিল। সেটাই দুঃখের বিষয়। কারণ এর দরকার ছিল না, একে যথাযথও বলা যাবে না।
বিচারিক হাকিম কথিতমতে ওই ‘হত্যাকাণ্ডের’ ঘটনায় নবীনগর থানাকে মামলা নিয়ে তদন্ত করতে ৪ জুন আদেশ দেন। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট হাকিমের আমলি ক্ষমতা প্রত্যাহার করার আদেশ দিয়েছেন মুখ্য বিচারিক হাকিম। এটা আইনের চোখে অসংগতিপূর্ণ ও এখতিয়ারবহির্ভূত। তদন্ত না করে কথিত হত্যা মামলার এজাহারই নেওয়া যাবে না, এমন আদেশ বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ন্যায়পরায়ণতার ধারণাকে পর্যুদস্ত করে। উপরন্তু র্যাব-১৪-এর পক্ষে ৫ জুন ওই আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন চাওয়ার পরে জেলা ও দায়রা জজ সেটা সংশোধন করে এই মামলার তৃতীয় আদেশটি দিয়েছেন। এতে এখন ‘তদন্ত সাপেক্ষেÿ র্যাবের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের’ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত কতটা কী হবে, সে বিষয়ে জনমনে সংশয় দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়৷ এই প্রেক্ষাপটে বাদীপক্ষ যে প্রতিকারের আশায় উচ্চ আদালতে আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই খবর আমাদের আশ্বস্ত করে৷ কেননা ন্যায়বিচারপ্রার্থী মানুষের উচ্চ আদালতই শেষ ভরসা৷
No comments