উদ্ভাসিত জয়ে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ড
ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে কেভিন পিটারসেন বলেছিলেন, ‘আমাদের পারফরম্যান্সে আমরা নিজেরাই চমকে গেছি।’ শুধু কি নিজেরাই, পিটারসেনরা তো চমকে দিয়েছেন আসলে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই!
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে ইংল্যান্ডকে সিরিজ জিততে হতো দুই টেস্টের ব্যবধানে। এবারের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ দুই সিরিজে হারেনি ভারত, ড্র করেছিল ২০০২ সালে, ২০০৭ সালে তো সিরিজ জিতেই ফিরেছিল দেশে। এবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিল এক নম্বর দল হিসেবে। সিরিজ শুরুর আগে দুই টেস্টের ব্যবধানে ভারতকে হারানো মনে হচ্ছিল ভীষণ দুরূহ। সেই কঠিন কাজটি কী অনায়াসেই না করল ইংল্যান্ড! প্রথম তিন টেস্টে তো জয়ের ব্যবধান শুধু বেড়েছেই—লর্ডসে ১৯৬ রান, নটিংহামে ৩১৯ আর এজবাস্টনে ইনিংস ও ২৪২ রানে। ওভালে ইনিংস ও ৮ রানে জিতে পূর্ণতা পেয়েছে ইংল্যান্ডের শীর্ষে ওঠার উৎসব।
সিরিজ জয় ও এক নম্বরে ওঠা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের প্রতিক্রিয়ায় তাই ছিল ওভালের জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস, ‘অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টার ফসল এই জয়। উইকেটে সাহায্য না থাকার পরও বোলাররা ভালো করেছে। ওদের ফলোঅন করাতে পেরেছি বোলারদের সমন্বিত প্রচেষ্টায়। দ্বিতীয় ইনিংসে দল তাকিয়ে ছিল সোয়ানের দিকে এবং ও কী দারুণভাবেই না নিজেকে মেলে ধরল! তবে ইয়ান বেলের ইনিংসটার (২৩৫) কথা ভুলে গেলে চলবে না। ওকে এত ভালো খেলতে আর কখনো দেখিনি।’
ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হওয়া বেলের কণ্ঠে ছিল দলীয় সমঝোতার জয়গান, ‘দলে সুস্থ একটি প্রতিযোগিতা চলছে। একজন আরেকজনের চেয়ে ভালো করতে চায়। অসাধারণ একটি দল, অসাধারণ সব সতীর্থ। সবাই সব সময় আরও উন্নতি করতে চায়।’
সিরিজ শুরুর আগে দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল যাঁর, সেই স্টুয়ার্ট ব্রডই সিরিজ-সেরা। ১৩.৮৪ গড়ে ২৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৬০.৬৬ গড়ে করেছেন ১৮২ রান। বেলের মতো তাঁর কণ্ঠেও দলের জয়গান, ‘এই সিরিজটার জন্য অনেক কষ্ট করেছিলাম। তার সুফল পেয়েছি। বোলাররা পরিকল্পনা করেছিলাম একটু ফুলার লেংথে বোলিং করব, সঙ্গে থাকবে বাউন্সের মিশ্রণ। সবাই পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। এই জয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
জয়ের নেপথ্য নায়ক অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মনে পড়ে গেছে ২০০৯ অ্যাশেজ জয়ের কথা, ‘ওই সিরিজ জয়ের পরও এমন উৎসব হয়েছিল। অ্যাশেজ অবশ্যই বিশেষ কিছু, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মানুষের কাছে এর গুরুত্ব আলাদা। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে জয়টাও কম নয়।’
চার টেস্টেই বড় ব্যবধানে হেরেছে ভারত। ‘বিশ্বসেরা’ ব্যাটিং লাইনআপের দল সিরিজের ৮ ইনিংসে ৩০০ ছুঁতে পেরেছে মোটে একবার। ইংল্যান্ডের উইকেট-প্রতি রান যেখানে ৫৯.৭৬, ভারতের সেখানে ২৫.৫৫! অধিনায়ক ধোনি তবু একে আত্মসমর্পণ বলতে নারাজ, ‘ইংল্যান্ডকে প্রাপ্য কৃতিত্বটা আমাদের দেওয়া উচিত, চার টেস্টেই ওরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমি আত্মসমর্পণে বিশ্বাস করি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময়ে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ অনেকে আইপিএলের ক্লান্তিকেই এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলছেন। তবে এতে খুবই বিরক্ত ভারত অধিনায়ক, ‘এখানে আইপিএলের ব্যাপার নেই। সবকিছু আইপিএলের ওপর চাপাবেন না।’
ভারতের কোচ হিসেবে ডানকান ফ্লেচারের শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে কোনো রকমে পাওয়া জয় দিয়ে। এর পরই নিজের সাবেক দলের কাছে এই পরাজয়। ধোনি তবু ফ্লেচারের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না, ‘আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি, তাঁর নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে। তবে আমি ও ডানকান মিলে অবশ্যই ভারতের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সামনেই ওয়ানডে সিরিজ। এই সংস্করণের আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আশা করি, ভালো করব।’
এক নম্বর দল হিসেবে এসে ধবলধোলাই হওয়ার লজ্জা কি আর ওয়ানডে সিরিজের সাফল্য ঢাকতে পারবে!
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠতে ইংল্যান্ডকে সিরিজ জিততে হতো দুই টেস্টের ব্যবধানে। এবারের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ দুই সিরিজে হারেনি ভারত, ড্র করেছিল ২০০২ সালে, ২০০৭ সালে তো সিরিজ জিতেই ফিরেছিল দেশে। এবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিল এক নম্বর দল হিসেবে। সিরিজ শুরুর আগে দুই টেস্টের ব্যবধানে ভারতকে হারানো মনে হচ্ছিল ভীষণ দুরূহ। সেই কঠিন কাজটি কী অনায়াসেই না করল ইংল্যান্ড! প্রথম তিন টেস্টে তো জয়ের ব্যবধান শুধু বেড়েছেই—লর্ডসে ১৯৬ রান, নটিংহামে ৩১৯ আর এজবাস্টনে ইনিংস ও ২৪২ রানে। ওভালে ইনিংস ও ৮ রানে জিতে পূর্ণতা পেয়েছে ইংল্যান্ডের শীর্ষে ওঠার উৎসব।
সিরিজ জয় ও এক নম্বরে ওঠা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসের প্রতিক্রিয়ায় তাই ছিল ওভালের জয় নিয়ে উচ্ছ্বাস, ‘অসাধারণ দলীয় প্রচেষ্টার ফসল এই জয়। উইকেটে সাহায্য না থাকার পরও বোলাররা ভালো করেছে। ওদের ফলোঅন করাতে পেরেছি বোলারদের সমন্বিত প্রচেষ্টায়। দ্বিতীয় ইনিংসে দল তাকিয়ে ছিল সোয়ানের দিকে এবং ও কী দারুণভাবেই না নিজেকে মেলে ধরল! তবে ইয়ান বেলের ইনিংসটার (২৩৫) কথা ভুলে গেলে চলবে না। ওকে এত ভালো খেলতে আর কখনো দেখিনি।’
ক্যারিয়ার-সেরা ইনিংস খেলে ম্যাচ-সেরা হওয়া বেলের কণ্ঠে ছিল দলীয় সমঝোতার জয়গান, ‘দলে সুস্থ একটি প্রতিযোগিতা চলছে। একজন আরেকজনের চেয়ে ভালো করতে চায়। অসাধারণ একটি দল, অসাধারণ সব সতীর্থ। সবাই সব সময় আরও উন্নতি করতে চায়।’
সিরিজ শুরুর আগে দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল যাঁর, সেই স্টুয়ার্ট ব্রডই সিরিজ-সেরা। ১৩.৮৪ গড়ে ২৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৬০.৬৬ গড়ে করেছেন ১৮২ রান। বেলের মতো তাঁর কণ্ঠেও দলের জয়গান, ‘এই সিরিজটার জন্য অনেক কষ্ট করেছিলাম। তার সুফল পেয়েছি। বোলাররা পরিকল্পনা করেছিলাম একটু ফুলার লেংথে বোলিং করব, সঙ্গে থাকবে বাউন্সের মিশ্রণ। সবাই পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েছে। এই জয়ে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
জয়ের নেপথ্য নায়ক অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের মনে পড়ে গেছে ২০০৯ অ্যাশেজ জয়ের কথা, ‘ওই সিরিজ জয়ের পরও এমন উৎসব হয়েছিল। অ্যাশেজ অবশ্যই বিশেষ কিছু, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মানুষের কাছে এর গুরুত্ব আলাদা। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে জয়টাও কম নয়।’
চার টেস্টেই বড় ব্যবধানে হেরেছে ভারত। ‘বিশ্বসেরা’ ব্যাটিং লাইনআপের দল সিরিজের ৮ ইনিংসে ৩০০ ছুঁতে পেরেছে মোটে একবার। ইংল্যান্ডের উইকেট-প্রতি রান যেখানে ৫৯.৭৬, ভারতের সেখানে ২৫.৫৫! অধিনায়ক ধোনি তবু একে আত্মসমর্পণ বলতে নারাজ, ‘ইংল্যান্ডকে প্রাপ্য কৃতিত্বটা আমাদের দেওয়া উচিত, চার টেস্টেই ওরা দুর্দান্ত খেলেছে। আমি আত্মসমর্পণে বিশ্বাস করি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময়ে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ অনেকে আইপিএলের ক্লান্তিকেই এই পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলছেন। তবে এতে খুবই বিরক্ত ভারত অধিনায়ক, ‘এখানে আইপিএলের ব্যাপার নেই। সবকিছু আইপিএলের ওপর চাপাবেন না।’
ভারতের কোচ হিসেবে ডানকান ফ্লেচারের শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে কোনো রকমে পাওয়া জয় দিয়ে। এর পরই নিজের সাবেক দলের কাছে এই পরাজয়। ধোনি তবু ফ্লেচারের ওপর আস্থা হারাচ্ছেন না, ‘আমরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি, তাঁর নিশ্চয়ই খারাপ লাগছে। তবে আমি ও ডানকান মিলে অবশ্যই ভারতের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সামনেই ওয়ানডে সিরিজ। এই সংস্করণের আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আশা করি, ভালো করব।’
এক নম্বর দল হিসেবে এসে ধবলধোলাই হওয়ার লজ্জা কি আর ওয়ানডে সিরিজের সাফল্য ঢাকতে পারবে!
No comments