আলো কাড়লেন ডয়েসকেট
ক্রিকেটেও জাত-বিভেদ আছে। সেই বিভেদে রায়ান টেন ডয়েসকেট আর তাঁর হল্যান্ড সাধারণ প্রজার দলে। আর ইংল্যান্ড রাজা। তবে পরশু শাসকের ওপর ছড়ি ঘোড়ালেন সামান্য (পড়ুন অসামান্য) এক প্রজা! ১১০ বলে ১১৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শাসককেই শোষণ করলেন ডয়েসকেট।
ডয়েসকেটের বীরত্বগাথা অবশ্য নতুন নয়। এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ ৮টি ওয়ানডেতে দুটি অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৬* ও ১০৯*) এবং নব্বইয়ের ঘরের দুটি ইনিংস (৯৮* ও ৯০) খেলার তৃপ্তি নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছেন হল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান। কালকের ম্যাচটি খেলতে নামার আগেই ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ গড়ের (৬৮-এর ওপরে) ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিল তাঁর নাম।
ক্রিকেটে পরিসংখ্যানই সব। তবে এতে কি আর রাজারা প্রজার শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। হয়তো ভ্রু কুঁচকে মনে মনে বলেছে—খেলেছিস তো বড় কেনিয়া, বারমুডা, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে! প্রজার ওপরে প্রজা ছড়ি ঘুরিয়েছে, এ আর এমন কী! যিনি পারেন, তিনি যে সবার বিপক্ষেই পারেন—এটা প্রমাণের জন্যই বড় মঞ্চে বড় দলের বিপক্ষে কিছু একটা করে দেখানোর প্রয়োজন ছিল ডয়েসকেটের। নাগপুরে সেটা করলেন খোদ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিজের গড়টাও নিয়ে গেলেন অবিশ্বাস্য ৭১.২১-তে।
ক্রিকেটের ‘ছোট ভাই’ বলে বিবেচিত দেশগুলোর বিপক্ষে যেমন খেলেন, ডয়েসকেটের ব্যাট কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল ঠিক তেমন চওড়া। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯টি চার ও ৩টি বিশাল ছয় দিয়ে। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের কল্যাণেই হল্যান্ডের স্কোর হয় ৬ উইকেটে ২৯২। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা ডয়েসকেটকে ৪৯তম ওভারে ফিরিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। আর না হলে হয়তো তিন শ রানই পেরিয়ে যেতে পারত হল্যান্ড।
আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী বিশ্বকাপ থেকে সহযোগী দেশগুলোকে বাদ দেওয়া হবে। ছোট দলগুলো এই নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার। তবে বিশ্বকাপের শুরুর দিকেই নিউজিল্যান্ডের কাছে কেনিয়া এবং শ্রীলঙ্কার কাছে কানাডা উড়ে গিয়ে কিছু বলার অধিকারটা হারিয়ে ফেলার উপক্রম করেছিল। এমন সময়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডয়েসকেটের এই সেঞ্চুরি দুর্বলের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরও বটে।
ক্রিকেটে ‘ছোট ভাই’ থেকে ‘মেজো ভাই’-এ উত্তীর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য ডয়েসকেটের এই সেঞ্চুরি চিন্তার কারণই হওয়ার কথা। আগামী ১৪ মার্চ চট্টগ্রামে এই হল্যান্ডই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ‘বড় ভাই’ ইংল্যান্ডকে ভয় পাইয়ে হল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভালো কিছু করতে চাইবে। ডয়েসকেটই থাকবেন অগ্রসেনানী। সাবধান, বাংলাদেশ!
ডয়েসকেটের বীরত্বগাথা অবশ্য নতুন নয়। এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ ৮টি ওয়ানডেতে দুটি অপরাজিত সেঞ্চুরি (১০৬* ও ১০৯*) এবং নব্বইয়ের ঘরের দুটি ইনিংস (৯৮* ও ৯০) খেলার তৃপ্তি নিয়ে বিশ্বকাপে এসেছেন হল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান। কালকের ম্যাচটি খেলতে নামার আগেই ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ গড়ের (৬৮-এর ওপরে) ব্যাটসম্যান হিসেবে ছিল তাঁর নাম।
ক্রিকেটে পরিসংখ্যানই সব। তবে এতে কি আর রাজারা প্রজার শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নেয়। হয়তো ভ্রু কুঁচকে মনে মনে বলেছে—খেলেছিস তো বড় কেনিয়া, বারমুডা, আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে! প্রজার ওপরে প্রজা ছড়ি ঘুরিয়েছে, এ আর এমন কী! যিনি পারেন, তিনি যে সবার বিপক্ষেই পারেন—এটা প্রমাণের জন্যই বড় মঞ্চে বড় দলের বিপক্ষে কিছু একটা করে দেখানোর প্রয়োজন ছিল ডয়েসকেটের। নাগপুরে সেটা করলেন খোদ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিজের গড়টাও নিয়ে গেলেন অবিশ্বাস্য ৭১.২১-তে।
ক্রিকেটের ‘ছোট ভাই’ বলে বিবেচিত দেশগুলোর বিপক্ষে যেমন খেলেন, ডয়েসকেটের ব্যাট কাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছিল ঠিক তেমন চওড়া। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৯টি চার ও ৩টি বিশাল ছয় দিয়ে। তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের কল্যাণেই হল্যান্ডের স্কোর হয় ৬ উইকেটে ২৯২। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা ডয়েসকেটকে ৪৯তম ওভারে ফিরিয়েছেন স্টুয়ার্ট ব্রড। আর না হলে হয়তো তিন শ রানই পেরিয়ে যেতে পারত হল্যান্ড।
আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী বিশ্বকাপ থেকে সহযোগী দেশগুলোকে বাদ দেওয়া হবে। ছোট দলগুলো এই নিয়ে প্রতিবাদে সোচ্চার। তবে বিশ্বকাপের শুরুর দিকেই নিউজিল্যান্ডের কাছে কেনিয়া এবং শ্রীলঙ্কার কাছে কানাডা উড়ে গিয়ে কিছু বলার অধিকারটা হারিয়ে ফেলার উপক্রম করেছিল। এমন সময়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ডয়েসকেটের এই সেঞ্চুরি দুর্বলের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরও বটে।
ক্রিকেটে ‘ছোট ভাই’ থেকে ‘মেজো ভাই’-এ উত্তীর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য ডয়েসকেটের এই সেঞ্চুরি চিন্তার কারণই হওয়ার কথা। আগামী ১৪ মার্চ চট্টগ্রামে এই হল্যান্ডই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। ‘বড় ভাই’ ইংল্যান্ডকে ভয় পাইয়ে হল্যান্ড বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভালো কিছু করতে চাইবে। ডয়েসকেটই থাকবেন অগ্রসেনানী। সাবধান, বাংলাদেশ!
No comments