আসছেন জুনাইদ
আজ পাকিস্তানের সোয়াবি শহরের সবাই উন্মুখ হয়ে তাকিয়ে থাকবে হাম্বানটোটায়। না, পাকিস্তান দল নয়, তাদের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকবে পাকিস্তানের একাদশ। জুনাইদ খান কি ঠাঁই পাবেন তাতে?
এই প্রশ্নটা আজ সোয়াবি শহরের সবার। জুনাইদ যে এই জেলার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছেন পাকিস্তান দলে। আজ কেনিয়ার বিপক্ষে খেললে সোয়াবির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকও হয়ে যাবে তাঁর।
জাতীয় দলের আশপাশে অনেক দিন থেকেই ঘুরঘুর করছেন। মোহাম্মদ আমির আর তাঁর উত্থান একই সময়ে। কিন্তু অনূর্ধ্ব ১৯ দল থেকে দ্রুতই জাতীয় দলে ঢুকে যান আমির, যশ-খ্যাতি কুড়িয়ে আবারও নির্বাসিতও হন; কিন্তু জুনাইদের অপেক্ষা বাড়তেই থাকে।
এই বিশ্বকাপে খেলবেন সেই সম্ভাবনাও ছিল না। মোহাম্মদ আমির, আসিফের নির্বাসনও দুয়ার খুলে দেয়নি। খুলেছে আসলে শেষ মুহূর্তে সোহেল তানভির পুরো ফিট হয়ে উঠতে না পারায়। তাঁর নিজের কি কোনো অবদান নেই? অবশ্যই আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই বাঁহাতি পেসার ছিলেন খুবই ধারাবাহিক। ৩৫ ম্যাচে ১৬৭ উইকেট নিয়েছেন ২১.৩২ গড়ে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে জুনাইদের এই নৈপুণ্য নজর কাড়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। ওয়াসিম আকরামের মতো সাবেক তারকার ক্যাম্পেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জুনাইদের ‘হিরো’ অবশ্য আকরাম নন, আরেক খান—ইমরান। ‘যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি, তত দিন ইমরান তো অবসর নিয়েছেন। আমি সরাসরি তাঁর কোনো খেলা দেখিনি। তবে ইউটিউবে তাঁর ভিডিও দেখেছি’—বলেছেন ২১ বছর বয়সী জুনাইদ।
আমির থাকলে হয়তো তাঁর খেলা হতো না। আমিরের না-থাকাটা শাপে বর তো অবশ্যই এই তরুণের জন্য। যদিও বন্ধু না থাকায় জুনাইদের মনটা যেন একটু খারাপও, ‘আমি তো অবশ্যই চাই, ও আর আমি যেন একসঙ্গে খেলতে পারি। কিন্তু সেটা তো এখন অন্তত সম্ভব হচ্ছে না।’
শোয়েব আখতারের ফিটনেস, আজ হাম্বানটোটার কন্ডিশন, তিন পেসার নিয়ে খেলা হবে কিনা—এসবের ওপর নির্ভর করছে জুনাইদের অভিষেক। বিশ্বকাপেই প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু করার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল জাভেদ মিয়াঁদাদ, আবদুল কাদিরেরও। জুনাইদের ক্যারিয়ারও তেমন বর্ণাঢ্য হবে কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে।
তবে আজ হাম্বানটোটায় অভিষেক হলে দলের বাকি খেলোয়াড়দের চেয়ে অন্তত এক জায়গায় এগিয়েই থাকবেন। শ্রীলঙ্কার এই নতুন ভেন্যুতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু তাঁরই! গত বছর পাকিস্তান ‘এ’ দলের হয়ে এখানে একটা বেসরকারি টেস্ট খেলেছিলেন। ওই ম্যাচে ৮৩ রানে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট।
সেই ম্যাচের স্মৃতি ভালোই মনে আছে জুনাইদের, ‘এটা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের একটা ভেন্যু। এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আজ সুযোগ পেলে আমি আবারও স্পেশাল কিছু করে দেখাব।’
এই প্রশ্নটা আজ সোয়াবি শহরের সবার। জুনাইদ যে এই জেলার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ঠাঁই করে নিয়েছেন পাকিস্তান দলে। আজ কেনিয়ার বিপক্ষে খেললে সোয়াবির প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেকও হয়ে যাবে তাঁর।
জাতীয় দলের আশপাশে অনেক দিন থেকেই ঘুরঘুর করছেন। মোহাম্মদ আমির আর তাঁর উত্থান একই সময়ে। কিন্তু অনূর্ধ্ব ১৯ দল থেকে দ্রুতই জাতীয় দলে ঢুকে যান আমির, যশ-খ্যাতি কুড়িয়ে আবারও নির্বাসিতও হন; কিন্তু জুনাইদের অপেক্ষা বাড়তেই থাকে।
এই বিশ্বকাপে খেলবেন সেই সম্ভাবনাও ছিল না। মোহাম্মদ আমির, আসিফের নির্বাসনও দুয়ার খুলে দেয়নি। খুলেছে আসলে শেষ মুহূর্তে সোহেল তানভির পুরো ফিট হয়ে উঠতে না পারায়। তাঁর নিজের কি কোনো অবদান নেই? অবশ্যই আছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে এই বাঁহাতি পেসার ছিলেন খুবই ধারাবাহিক। ৩৫ ম্যাচে ১৬৭ উইকেট নিয়েছেন ২১.৩২ গড়ে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে জুনাইদের এই নৈপুণ্য নজর কাড়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। ওয়াসিম আকরামের মতো সাবেক তারকার ক্যাম্পেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। জুনাইদের ‘হিরো’ অবশ্য আকরাম নন, আরেক খান—ইমরান। ‘যখন ক্রিকেট খেলা শুরু করি, তত দিন ইমরান তো অবসর নিয়েছেন। আমি সরাসরি তাঁর কোনো খেলা দেখিনি। তবে ইউটিউবে তাঁর ভিডিও দেখেছি’—বলেছেন ২১ বছর বয়সী জুনাইদ।
আমির থাকলে হয়তো তাঁর খেলা হতো না। আমিরের না-থাকাটা শাপে বর তো অবশ্যই এই তরুণের জন্য। যদিও বন্ধু না থাকায় জুনাইদের মনটা যেন একটু খারাপও, ‘আমি তো অবশ্যই চাই, ও আর আমি যেন একসঙ্গে খেলতে পারি। কিন্তু সেটা তো এখন অন্তত সম্ভব হচ্ছে না।’
শোয়েব আখতারের ফিটনেস, আজ হাম্বানটোটার কন্ডিশন, তিন পেসার নিয়ে খেলা হবে কিনা—এসবের ওপর নির্ভর করছে জুনাইদের অভিষেক। বিশ্বকাপেই প্রথম ম্যাচ দিয়ে শুরু করার অপেক্ষায়। বিশ্বকাপ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল জাভেদ মিয়াঁদাদ, আবদুল কাদিরেরও। জুনাইদের ক্যারিয়ারও তেমন বর্ণাঢ্য হবে কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে।
তবে আজ হাম্বানটোটায় অভিষেক হলে দলের বাকি খেলোয়াড়দের চেয়ে অন্তত এক জায়গায় এগিয়েই থাকবেন। শ্রীলঙ্কার এই নতুন ভেন্যুতে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শুধু তাঁরই! গত বছর পাকিস্তান ‘এ’ দলের হয়ে এখানে একটা বেসরকারি টেস্ট খেলেছিলেন। ওই ম্যাচে ৮৩ রানে নিয়েছিলেন ৯ উইকেট।
সেই ম্যাচের স্মৃতি ভালোই মনে আছে জুনাইদের, ‘এটা আমার জন্য খুবই সৌভাগ্যের একটা ভেন্যু। এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। আজ সুযোগ পেলে আমি আবারও স্পেশাল কিছু করে দেখাব।’
No comments