কুক আর বেলে ভাজা অস্ট্রেলিয়া
গ্রায়েম সোয়ানের কাঁধে এখন মস্ত বড় দায়িত্ব। মেলবোর্নে সিরিজ ধরে রাখার উৎসব ইংল্যান্ড করে ফেলেছে ‘স্প্রিঙ্কলার ডান্স’ দিয়ে সোয়ানের নেতৃত্বে। সিরিজ জয়ের উৎসব তো আরও জাঁকালো হওয়া চাই। দুই যুগ পর অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জয়ের আনন্দ-উৎসব স্মরণীয় করে রাখতে হবে না! দেখা যাক, ‘জোকার’ সোয়ান এবার কী বের করেন ঝুলি থেকে।
সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দল সোয়ানকে উৎসবের আগাম পরিকল্পনার দায়িত্ব দিয়ে রাখতেই পারে। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড ২০৮ রানের লিড পেয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে কত দূর যাবে, সেটি আপনিই অনুমান করে নিন।
ম্যাচ, একই সঙ্গে সিরিজটা এভাবে ইংল্যান্ডের দিকে ঝুলে থাকার মূলে অবশ্যই অ্যালিস্টার কুক। আগের দিন ৬১ রানে অপরাজিত কুক তুলে নিয়েছেন সিরিজে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। একসময় মনে হচ্ছিল, ওয়ালি হ্যামন্ডের পর দ্বিতীয় ইংলিশ হিসেবে এক অ্যাশেজে দুটো ডাবল সেঞ্চুরিও পেয়ে যাবেন। কিন্তু রেকর্ডের পাতায় হ্যামন্ডকে নিঃসঙ্গ রেখে মাত্র ১১ রানের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি থেকে।
কুকের সঙ্গে ইয়ান বেলও অ্যাশেজে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটা করেছেন একদম ঠিক সময়ে। বেলের ১১৫ রানের ইনিংসটা কিছু বিতর্কের রসদও দিয়ে গেলেও এটা প্রশ্নাতীত, ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি ইংল্যান্ডের হাতে।
কুক আর বেলের দুটো সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যাচ্ছে কাল লাঞ্চের আগে ইংল্যান্ড দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলায়। আগের দিনের নৈশপ্রহরী জেমস অ্যান্ডারসন সাত রানের বেশি করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে মাইকেল বিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেট হয়ে বিদায় নিয়ে পল কলিংউড হয়তো টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের আরও কাছে পৌঁছে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থেকে ৫৪ রানে পিছিয়ে থাকতেই ইংল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট।
এর পরই ষষ্ঠ উইকেটে কুক-বেলের ১৫৪ রানের জুটি। বেল অবশ্য ৬৭ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রেফারেল নেন বেল। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও সেটি মীমাংসিত ছিল না। পরে স্নিকোতে দেখা যায়, বেলের ব্যাটে ছোঁয়া লেগেছিল বলের। ৮৪ রানেও একবার স্মিথকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে অবশ্য বেশ সাবলীল ছিলেন। স্মিথের বলে ২ রান নিয়ে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি।
এর আগে নব্বইয়ের ঘরে কুককে বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে। তাঁর ৯৯ রানে নাটকও হয়েছে। বিয়ারের বলে শর্ট লেগে ফ্লিক করার পর ক্যাচের আবেদন করে উদ্যাপন শুরু করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। বিয়ারের হতাশা দ্বিগুণ হয়ে যায় টিভি রিপ্লেতে। দেখা যায়, বল ফিলিপ হিউজের তালুবন্দী হওয়ার আগে মাটি ছুঁয়ে গেছে। এই বিয়ারের বলেই আগের দিন আউট হয়েও নো বলের কল্যাণে বেঁচে গিয়েছিলেন কুক।
বিয়ারের পরের ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সেই কুক অবশেষে আউট হন শেন ওয়াটসনের বলে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেল প্রিয়রকে নিয়ে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার মাত্র এক ওভার আগে বেল ফিরে গেলেও ততক্ষণে ৪৮৮ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। ক্লার্কের দুশ্চিন্তার কাঁটা হয়ে প্রিয়র অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে।
সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে দল সোয়ানকে উৎসবের আগাম পরিকল্পনার দায়িত্ব দিয়ে রাখতেই পারে। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ড ২০৮ রানের লিড পেয়ে গেছে। প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে গুটিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে কত দূর যাবে, সেটি আপনিই অনুমান করে নিন।
ম্যাচ, একই সঙ্গে সিরিজটা এভাবে ইংল্যান্ডের দিকে ঝুলে থাকার মূলে অবশ্যই অ্যালিস্টার কুক। আগের দিন ৬১ রানে অপরাজিত কুক তুলে নিয়েছেন সিরিজে তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি। একসময় মনে হচ্ছিল, ওয়ালি হ্যামন্ডের পর দ্বিতীয় ইংলিশ হিসেবে এক অ্যাশেজে দুটো ডাবল সেঞ্চুরিও পেয়ে যাবেন। কিন্তু রেকর্ডের পাতায় হ্যামন্ডকে নিঃসঙ্গ রেখে মাত্র ১১ রানের জন্য বঞ্চিত হয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি থেকে।
কুকের সঙ্গে ইয়ান বেলও অ্যাশেজে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটা করেছেন একদম ঠিক সময়ে। বেলের ১১৫ রানের ইনিংসটা কিছু বিতর্কের রসদও দিয়ে গেলেও এটা প্রশ্নাতীত, ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি ইংল্যান্ডের হাতে।
কুক আর বেলের দুটো সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য আরও বেড়ে যাচ্ছে কাল লাঞ্চের আগে ইংল্যান্ড দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলায়। আগের দিনের নৈশপ্রহরী জেমস অ্যান্ডারসন সাত রানের বেশি করতে পারেননি। মাত্র ১৩ রানে মাইকেল বিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেট হয়ে বিদায় নিয়ে পল কলিংউড হয়তো টেস্ট থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের আরও কাছে পৌঁছে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস থেকে ৫৪ রানে পিছিয়ে থাকতেই ইংল্যান্ড হারায় ৫ উইকেট।
এর পরই ষষ্ঠ উইকেটে কুক-বেলের ১৫৪ রানের জুটি। বেল অবশ্য ৬৭ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রেফারেল নেন বেল। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও সেটি মীমাংসিত ছিল না। পরে স্নিকোতে দেখা যায়, বেলের ব্যাটে ছোঁয়া লেগেছিল বলের। ৮৪ রানেও একবার স্মিথকে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেছেন। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে অবশ্য বেশ সাবলীল ছিলেন। স্মিথের বলে ২ রান নিয়ে পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি।
এর আগে নব্বইয়ের ঘরে কুককে বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে। তাঁর ৯৯ রানে নাটকও হয়েছে। বিয়ারের বলে শর্ট লেগে ফ্লিক করার পর ক্যাচের আবেদন করে উদ্যাপন শুরু করে দেয় অস্ট্রেলিয়া। বিয়ারের হতাশা দ্বিগুণ হয়ে যায় টিভি রিপ্লেতে। দেখা যায়, বল ফিলিপ হিউজের তালুবন্দী হওয়ার আগে মাটি ছুঁয়ে গেছে। এই বিয়ারের বলেই আগের দিন আউট হয়েও নো বলের কল্যাণে বেঁচে গিয়েছিলেন কুক।
বিয়ারের পরের ওভারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সেই কুক অবশেষে আউট হন শেন ওয়াটসনের বলে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বেল প্রিয়রকে নিয়ে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। আলোকস্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার মাত্র এক ওভার আগে বেল ফিরে গেলেও ততক্ষণে ৪৮৮ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। ক্লার্কের দুশ্চিন্তার কাঁটা হয়ে প্রিয়র অপরাজিত আছেন ৫৪ রানে।
No comments