স্টেইনের টেন্ডুলকার প্রশস্তি
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কেপটাউনের সাদার্ন সান কালিনান হোটেলের একটি নির্দিষ্ট রুমের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন এক ফরাসি দম্পতি। ওই রুমের পাশের রুমটিতেই উঠেছেন ফ্রানকোইস ও হেস্টার দু টোয়েট। নিজেদের রুম ছেড়ে টোয়েট দম্পতির পাশের রুমটিকে লক্ষ্য বানিয়ে অপেক্ষার হেতু, ওই রুমটির বর্তমান বাসিন্দা শচীন টেন্ডুলকার। নিউল্যান্ডসে ক্যারিয়ারের ৫১তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি করে খানিক আগে যিনি ঢুকেছেন নিজের রুমে।
ফরাসি দম্পতি ক্রিকেট কতটা বোঝেন সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে শচীন টেন্ডুলকার যে এই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বড় তারকা, সে বিষয়ে তাঁদের সংশয় ছিল না। তাই টেন্ডুলকারের একটা অটোগ্রাফের জন্য ব্যাকুল ছিলেন। আশা মিটেছে তাঁদের। দরজায় কড়া নাড়তেই সানন্দে অটোগ্রাফপ্রার্থীর চাহিদা মিটিয়েছেন টেন্ডুলকার। দুনিয়ার এতবড় ক্রিকেটার এমন বিনয়ী, অভিভূত তাঁরা!
ফরাসি ওই দম্পতি টেন্ডুলকারের বিনয় দেখেছেন। কিন্তু তাঁরা কি জানেন ব্যাট হাতে নিয়ে তিনি কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, রুদ্রমূর্তি হয়ে ওঠেন? টোয়েট দম্পতি না জানুন, ডেল স্টেইন জানেন। স্টেইন জানলেন মঙ্গলবারও। টেস্ট শুরুর আগে থেকেই আলোচনা, দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের চেয়েও এটা বেশি করে শচীন-স্টেইনের দ্বৈরথ। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে বর্তমানের সেরা বোলারের লড়াই।
সিরিজে এখন পর্যন্ত দুটি সেঞ্চুরি করেছেন টেন্ডুলকার। স্টেইনও তাঁকে আউট করেছেন দুবার। কাজেই শচীন-স্টেইন দ্বৈরথ জমজমাট। মহাগুরুত্বপূর্ণ কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনটিতে তো শুধু শচীন-স্টেইন দ্বৈরথই হলো। আগুনের গোলা ছুড়ে সারাটা দিনই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জ্বালিয়ে মারলেন স্টেইন। কিন্তু টেন্ডুলকারের মুখোমুখি হয়ে উল্টো নিজেই পুড়েছেন হতাশায়!
বাউন্সারে, সুইংয়ে অন্যরা বিধ্বস্ত, কিন্তু এক প্রান্তে অবিচল দাঁড়িয়ে টেন্ডুলকারই স্টেইনকে দিয়ে গেছেন পাল্টা জবাব। ৫ উইকেট নিলেও স্টেইন টেন্ডুলকারকে আউট করতে পারেননি। ১৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলা টেন্ডুলকার মরকেলের শিকার।
মঙ্গলবারের লড়াইয়ে কে জয়ী সেটা স্কোরবোর্ডই বলছে। দিন শেষে স্টেইনের উপলব্ধি, টেন্ডুলকারকে আউট করার চেষ্টা না করাই ভালো। বাউন্সারে কাজ হয়নি, সুইংয়ে কাজ হয়নি। কাজ হয়নি স্লেজিংয়েও। স্টেইন তাই বলছেন, ‘শচীন অসাধারণ এক খেলোয়াড়। তাঁকে আউট করার চেষ্টা করে শক্তি অপচয়ের মানে হয় না। আপনার বরং অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানের দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
স্টেইনের কথা, টেন্ডুলকারকে খেপাতে গেলেই বিপদ! আর টেন্ডুলকার বলেছেন, ক্রিকেটকে কখনোই দুই ব্যক্তির লড়াই মনে করেন না তিনি। তাঁর কাছে ক্রিকেট দলীয় খেলা। লড়াইটাও তাই দলীয়।
ফরাসি দম্পতি ক্রিকেট কতটা বোঝেন সেটা তাঁরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে শচীন টেন্ডুলকার যে এই বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম বড় তারকা, সে বিষয়ে তাঁদের সংশয় ছিল না। তাই টেন্ডুলকারের একটা অটোগ্রাফের জন্য ব্যাকুল ছিলেন। আশা মিটেছে তাঁদের। দরজায় কড়া নাড়তেই সানন্দে অটোগ্রাফপ্রার্থীর চাহিদা মিটিয়েছেন টেন্ডুলকার। দুনিয়ার এতবড় ক্রিকেটার এমন বিনয়ী, অভিভূত তাঁরা!
ফরাসি ওই দম্পতি টেন্ডুলকারের বিনয় দেখেছেন। কিন্তু তাঁরা কি জানেন ব্যাট হাতে নিয়ে তিনি কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, রুদ্রমূর্তি হয়ে ওঠেন? টোয়েট দম্পতি না জানুন, ডেল স্টেইন জানেন। স্টেইন জানলেন মঙ্গলবারও। টেস্ট শুরুর আগে থেকেই আলোচনা, দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের চেয়েও এটা বেশি করে শচীন-স্টেইনের দ্বৈরথ। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের সঙ্গে বর্তমানের সেরা বোলারের লড়াই।
সিরিজে এখন পর্যন্ত দুটি সেঞ্চুরি করেছেন টেন্ডুলকার। স্টেইনও তাঁকে আউট করেছেন দুবার। কাজেই শচীন-স্টেইন দ্বৈরথ জমজমাট। মহাগুরুত্বপূর্ণ কেপটাউন টেস্টের তৃতীয় দিনটিতে তো শুধু শচীন-স্টেইন দ্বৈরথই হলো। আগুনের গোলা ছুড়ে সারাটা দিনই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জ্বালিয়ে মারলেন স্টেইন। কিন্তু টেন্ডুলকারের মুখোমুখি হয়ে উল্টো নিজেই পুড়েছেন হতাশায়!
বাউন্সারে, সুইংয়ে অন্যরা বিধ্বস্ত, কিন্তু এক প্রান্তে অবিচল দাঁড়িয়ে টেন্ডুলকারই স্টেইনকে দিয়ে গেছেন পাল্টা জবাব। ৫ উইকেট নিলেও স্টেইন টেন্ডুলকারকে আউট করতে পারেননি। ১৪৬ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলা টেন্ডুলকার মরকেলের শিকার।
মঙ্গলবারের লড়াইয়ে কে জয়ী সেটা স্কোরবোর্ডই বলছে। দিন শেষে স্টেইনের উপলব্ধি, টেন্ডুলকারকে আউট করার চেষ্টা না করাই ভালো। বাউন্সারে কাজ হয়নি, সুইংয়ে কাজ হয়নি। কাজ হয়নি স্লেজিংয়েও। স্টেইন তাই বলছেন, ‘শচীন অসাধারণ এক খেলোয়াড়। তাঁকে আউট করার চেষ্টা করে শক্তি অপচয়ের মানে হয় না। আপনার বরং অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানের দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
স্টেইনের কথা, টেন্ডুলকারকে খেপাতে গেলেই বিপদ! আর টেন্ডুলকার বলেছেন, ক্রিকেটকে কখনোই দুই ব্যক্তির লড়াই মনে করেন না তিনি। তাঁর কাছে ক্রিকেট দলীয় খেলা। লড়াইটাও তাই দলীয়।
No comments