আটক সাহায্যকর্মীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে ইসরায়েল
অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আটক সাহায্যকর্মীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার সকালে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরসংলগ্ন জর্ডান সীমান্ত দিয়ে ১২০ জনের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়। আরও প্রায় ৬০ জন তুর্কি সাহায্যকর্মীকে আকাশপথে ফেরত নিয়ে আসে তুরস্কের উড়োজাহাজ।
ওই নৌবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোদের হামলার ঘটনায় গতকাল তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে ওবামা হামলায় তুর্কি নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হাতে আটক নৌবহরের জাহাজ ও সাহায্যকর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি হামলার ঘটনার একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুর্কি প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ওবামাকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল তার একমাত্র বন্ধু তুরস্ককে হারানোর ঝুঁকি নিয়েছে। আসন্ন দিনগুলোতে ইসরায়েল কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তার ওপর নির্ভর করছে এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান কী হবে। নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
এর আগে তুরস্ক এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপের দাবি জানায়। গতকাল তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে চারজন তুর্কি।
গত সোমবার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় গাজার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণবাহী ছয়টি জাহাজের একটিতে হামলা করে ইসরায়েলি কমান্ডোরা। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টেন জানায়, ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১৯ জন সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে নয়জন। এ ঘটনায় তুরস্কসহ সারা বিশ্ব তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। হামলার পর ইসরায়েল ওই জাহাজ আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায় এবং জাহাজে থাকা ৪২টি দেশের ৬৮২ জন সাহায্যকর্মীকে আটক করে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকালে ১২০ জনের বেশি সাহায্যকর্মীকে জর্ডান সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ইন্দোনেশীয় ও আলজেরীয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সেনাদের ওপর সহিংস হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে তারা ৫০ জন সাহায্যকর্মীকে বিচারের জন্য আটকে রাখবে।
জর্ডানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা পেত্রা গতকাল সকালে জানায়, ১২৬ জন সাহায্যকর্মী সীমান্ত পার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন জর্ডানের নাগরিক। অন্যদের মধ্যে বাহরাইন, কুয়েত, পাকিস্তান, মরক্কো, সিরিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের নাগরিকও রয়েছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলে আটক ৪২ জন ব্রিটিশ সাহায্যকর্মীর সঙ্গে দেখা করেন সেখানকার ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ফেরত আসা ব্রিটিশ নাগরিক হাসান নোয়ারাহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সোমবার তুর্কি জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার সময় আমি শুধু গুলি আর চিৎকারের শব্দ শুনেছিলাম। আমি দেখি ডেকে অনেক ইসরায়েলি সেনা এবং নৌবাহিনীর জাহাজ ও ডুবোজাহাজ আমাদের জাহাজ ঘিরে ধরেছে।’ মুক্তি পাওয়া সাহায্যকর্মী কুয়েতি আইনপ্রণেতা ওয়ালিদ আল-তাবতাবাই বলেন, ‘ইসরায়েলিরা আমাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে। তারা আমাদের হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে গেছে। খাবার, পানি দেয়নি। শৌচাগারও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।’
ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু গতকাল মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হবে না। এটা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অনেক বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে ইসরায়েলের মিত্র মিসর মঙ্গলবার গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে। ২০০৭ সালে ইসরায়েলের সমর্থনে মিসরও গাজার ওপর অবরোধ কঠোর করে। এতে সেখানকার ১৫ লাখ বাসিন্দা বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার প্রতিবাদে প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মধ্য আমোরিকার দেশ নিকারাগুয়া। এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি মানবিক সহায়তা অভিযানে এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন। গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) এক জরুরি বৈঠকে এ ঘটনায় আবারও নিন্দা জানানো হয় এবং জাতিসংঘের অধীনে একটি নিরপেক্ষ তদন্তে আহ্বান জানানো হয়।
ওই নৌবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোদের হামলার ঘটনায় গতকাল তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী তাইপ এরদোগানের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এক ঘণ্টার এই কথোপকথনে ওবামা হামলায় তুর্কি নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হাতে আটক নৌবহরের জাহাজ ও সাহায্যকর্মীদের মুক্তির ব্যাপারে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি হামলার ঘটনার একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুর্কি প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী ওবামাকে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল তার একমাত্র বন্ধু তুরস্ককে হারানোর ঝুঁকি নিয়েছে। আসন্ন দিনগুলোতে ইসরায়েল কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তার ওপর নির্ভর করছে এ অঞ্চলে তাদের অবস্থান কী হবে। নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও বেআইনি কর্মকাণ্ড’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
এর আগে তুরস্ক এ ঘটনায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপের দাবি জানায়। গতকাল তুরস্কের কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে কমপক্ষে চারজন তুর্কি।
গত সোমবার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় গাজার বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণবাহী ছয়টি জাহাজের একটিতে হামলা করে ইসরায়েলি কমান্ডোরা। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টেন জানায়, ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ১৯ জন সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছেন। তবে পরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে নয়জন। এ ঘটনায় তুরস্কসহ সারা বিশ্ব তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। হামলার পর ইসরায়েল ওই জাহাজ আশদোদ বন্দরে নিয়ে যায় এবং জাহাজে থাকা ৪২টি দেশের ৬৮২ জন সাহায্যকর্মীকে আটক করে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, গতকাল সকালে ১২০ জনের বেশি সাহায্যকর্মীকে জর্ডান সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই ইন্দোনেশীয় ও আলজেরীয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার সেনাদের ওপর সহিংস হামলায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে তারা ৫০ জন সাহায্যকর্মীকে বিচারের জন্য আটকে রাখবে।
জর্ডানের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা পেত্রা গতকাল সকালে জানায়, ১২৬ জন সাহায্যকর্মী সীমান্ত পার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন জর্ডানের নাগরিক। অন্যদের মধ্যে বাহরাইন, কুয়েত, পাকিস্তান, মরক্কো, সিরিয়া, মালয়েশিয়া ইত্যাদি দেশের নাগরিকও রয়েছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলে আটক ৪২ জন ব্রিটিশ সাহায্যকর্মীর সঙ্গে দেখা করেন সেখানকার ব্রিটিশ দূতাবাসের কর্মী। তাঁদের মধ্যে মাত্র একজনকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ফেরত আসা ব্রিটিশ নাগরিক হাসান নোয়ারাহ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘সোমবার তুর্কি জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার সময় আমি শুধু গুলি আর চিৎকারের শব্দ শুনেছিলাম। আমি দেখি ডেকে অনেক ইসরায়েলি সেনা এবং নৌবাহিনীর জাহাজ ও ডুবোজাহাজ আমাদের জাহাজ ঘিরে ধরেছে।’ মুক্তি পাওয়া সাহায্যকর্মী কুয়েতি আইনপ্রণেতা ওয়ালিদ আল-তাবতাবাই বলেন, ‘ইসরায়েলিরা আমাদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে। তারা আমাদের হাতকড়া পরিয়ে কারাগারে নিয়ে গেছে। খাবার, পানি দেয়নি। শৌচাগারও ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি।’
ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ারও দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। কিন্তু গতকাল মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজার ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হবে না। এটা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অনেক বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। তবে ইসরায়েলের মিত্র মিসর মঙ্গলবার গাজা থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে। ২০০৭ সালে ইসরায়েলের সমর্থনে মিসরও গাজার ওপর অবরোধ কঠোর করে। এতে সেখানকার ১৫ লাখ বাসিন্দা বহির্বিশ্ব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে ত্রাণবাহী নৌবহরে হামলার প্রতিবাদে প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মধ্য আমোরিকার দেশ নিকারাগুয়া। এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি মানবিক সহায়তা অভিযানে এ ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার আইনের পরিষ্কার লঙ্ঘন। গতকাল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) এক জরুরি বৈঠকে এ ঘটনায় আবারও নিন্দা জানানো হয় এবং জাতিসংঘের অধীনে একটি নিরপেক্ষ তদন্তে আহ্বান জানানো হয়।
No comments