আদালতে নিদাল হাসান
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক ঘাঁটিতে ১৩ জন সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে আটক মার্কিন সেনা কর্মকর্তা নিদাল মালিক হাসানকে গতকাল বুধবার প্রথমবারের মতো আদালতে হাজির করা হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত ৪ অক্টোবর পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত করেছেন।
মেজর পদাধিকারী নিদাল হাসান মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন মনোরোগ চিকিৎসক হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। সেনা কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, গত বছরের ৫ নভেম্বর টেক্সাসের ফোর্টহুড সামরিককেন্দ্রে তিনি সহকর্মীদের ওপর হঠাৎ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এ সময় তাঁর ছোড়া গুলিতে ১৩ জন কর্মকর্তা নিহত হন। এ ছাড়া তিনি আরও ৩২ জন সেনাসদস্যকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। উন্মাদের মতো গুলি চালানোর সময় পায়ে গুলি করে তাঁকে আটক করার পর তাঁর দুটো পা-ই অবশ হয়ে যায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিদালকে আদালতকক্ষে আনার পর তিনি শান্ত ও নিস্পৃহ ছিলেন। এ সময় তাঁর গায়ে সামরিক পোশাক পরানো ছিল। বিচারকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একবার শুধু ‘ইয়েস স্যার!’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন, আর কোনো কথা বলেননি।
আসামিপক্ষের কৌঁসুলি জন গ্যালিগান আদালতকে বলেন, নিদাল হাসানের বিরুদ্ধে এফবিআই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্লেষণ করতে তাঁদের সময় দরকার। তাই তাঁরা সময় প্রার্থনা করেন। আদালত তাঁর সে আবেদন মঞ্জুর করেন এবং শুনানি চার মাস পিছিয়ে দেন। গ্যালিগান জেলখানায় না রেখে নিদাল হাসানকে চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিতে আদালতকে অনুরোধ জানান। তবে আদালত এই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, গোলাগুলির ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক পর সেন্ট অ্যান্টনিওস ব্রুক আর্মি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিদালকে প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে নিদালের ফাঁসি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মেজর পদাধিকারী নিদাল হাসান মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন মনোরোগ চিকিৎসক হিসেবে কর্তব্যরত ছিলেন। সেনা কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, গত বছরের ৫ নভেম্বর টেক্সাসের ফোর্টহুড সামরিককেন্দ্রে তিনি সহকর্মীদের ওপর হঠাৎ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করেন। এ সময় তাঁর ছোড়া গুলিতে ১৩ জন কর্মকর্তা নিহত হন। এ ছাড়া তিনি আরও ৩২ জন সেনাসদস্যকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। উন্মাদের মতো গুলি চালানোর সময় পায়ে গুলি করে তাঁকে আটক করার পর তাঁর দুটো পা-ই অবশ হয়ে যায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গতকাল হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিদালকে আদালতকক্ষে আনার পর তিনি শান্ত ও নিস্পৃহ ছিলেন। এ সময় তাঁর গায়ে সামরিক পোশাক পরানো ছিল। বিচারকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একবার শুধু ‘ইয়েস স্যার!’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন, আর কোনো কথা বলেননি।
আসামিপক্ষের কৌঁসুলি জন গ্যালিগান আদালতকে বলেন, নিদাল হাসানের বিরুদ্ধে এফবিআই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার যে অভিযোগ এনেছে, তা বিশ্লেষণ করতে তাঁদের সময় দরকার। তাই তাঁরা সময় প্রার্থনা করেন। আদালত তাঁর সে আবেদন মঞ্জুর করেন এবং শুনানি চার মাস পিছিয়ে দেন। গ্যালিগান জেলখানায় না রেখে নিদাল হাসানকে চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দিতে আদালতকে অনুরোধ জানান। তবে আদালত এই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
কর্মকর্তারা বলেছেন, গোলাগুলির ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক পর সেন্ট অ্যান্টনিওস ব্রুক আর্মি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিদালকে প্রথমবারের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে নিদালের ফাঁসি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments