চীনের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ জাপান ও দ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে চীনের সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। গতকাল রোববার চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের অংশগ্রহণে সিউলে দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হয়। পরে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও তাঁর দেশের অবস্থান তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন জিয়াবাও বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব পক্ষের শান্ত থাকা উচিত। আমরা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের স্বার্থে এটা করতে হবে।’
তবে সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন জিয়াবাও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাব বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চীনের অবস্থান কী হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি। গত শুক্রবার সিউলে পৌঁছার পর জিয়াবাও বলেন, তাঁরা যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবেন। এর পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ঘটনায় জড়িতদের রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা চীনের নেই বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক গতকাল বলেন, ‘সিউল যুদ্ধকে ভয় পায় না। কিন্তু আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে সুপরামর্শ ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই।’
পিয়ংইয়ংয়ে সমাবেশ
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়াবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। এতে যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করা হয়। সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, পিয়ংইয়ংয়ের ‘কিম ইল সুং’ স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের মঞ্চ, বিভিন্ন পোস্টার ও স্লোগানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাকের নিন্দা করা হয়। তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
সমাবেশে নেতৃত্বদানকারী চো ইয়ং রিম তাঁর ভাষণে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এই অঞ্চলে যুদ্ধ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। চো ইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে যায়। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ২০ মে পাঁচ জাতির সমন্বয়ে গঠিত একটি তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাতে ওই যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনা ঘটে। উত্তর কোরিয়া অবশ্য বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন জিয়াবাও বলেন, ‘এই মুহূর্তে সব পক্ষের শান্ত থাকা উচিত। আমরা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের স্বার্থে এটা করতে হবে।’
তবে সংবাদ সম্মেলনে ওয়েন জিয়াবাও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাব বা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে চীনের অবস্থান কী হবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু বলেননি। গত শুক্রবার সিউলে পৌঁছার পর জিয়াবাও বলেন, তাঁরা যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবেন। এর পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এ ঘটনায় জড়িতদের রক্ষা করার কোনো পরিকল্পনা চীনের নেই বলেও জানান তিনি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাক গতকাল বলেন, ‘সিউল যুদ্ধকে ভয় পায় না। কিন্তু আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে সুপরামর্শ ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই।’
পিয়ংইয়ংয়ে সমাবেশ
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়াবিরোধী সমাবেশ হয়েছে। এতে যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে দায়ী করা হয়। সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষ অংশ নেয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়, পিয়ংইয়ংয়ের ‘কিম ইল সুং’ স্কয়ারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশের মঞ্চ, বিভিন্ন পোস্টার ও স্লোগানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি মিউং বাকের নিন্দা করা হয়। তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।
সমাবেশে নেতৃত্বদানকারী চো ইয়ং রিম তাঁর ভাষণে বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তার মদদদাতা যুক্তরাষ্ট্রের কারণে এই অঞ্চলে যুদ্ধ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ সময় সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলায় দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। চো ইয়ং দক্ষিণ কোরিয়ার জাহাজডুবির ঘটনায় উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
উল্লেখ্য, ২৬ মার্চ পীতসাগরে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে যায়। এতে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। ২০ মে পাঁচ জাতির সমন্বয়ে গঠিত একটি তদন্ত দলের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার টর্পেডোর আঘাতে ওই যুদ্ধজাহাজডুবির ঘটনা ঘটে। উত্তর কোরিয়া অবশ্য বারবার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
No comments