ক্ষমতা সুসংহত করা শুরু করেছে কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার
কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার কাজ শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিয়েভের ছোট ভাইকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাঁর শীর্ষস্থানীয় সহযোগীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদিকে প্রচণ্ড গণরোষের মুখে প্রতিবেশী কাজাখস্তানে পালিয়ে যান বাকিয়েভ। সেখানে যাওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন।
সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের কবল থেকে কিরগিজস্তানকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও কাজাখস্তান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে শনিবার বাকিয়েভ ক্ষমতা ছেড়ে দেন। কাজাখস্তান থেকে তিনি শেষ পর্যন্ত কোথায় গেছেন, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তিনি বেলারুশ বা তুরস্কে যেতে পারেন। বেলারুশ ইতিমধ্যে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি যেখানেই যান না কেন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে। এএফপি, রয়টার্স।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আজিমবেক বেকনাজারভ বলেছেন, বাকিয়েভের বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তাঁর ছোট ভাই ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সাবেক প্রধান জানিবেকও রয়েছেন। তাঁকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বাকিয়েভের নিজ গ্রামে লুকিয়ে আছেন। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গ্রামের ওপর গতকাল একটি সামরিক হেলিকপ্টারকে চক্কর দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। তবে আজিমবেক বলেছেন, জানিবেককে ধরতে কোনো শক্তি প্রয়োগ করা হবে না। অনেকে অবশ্য ধারণা করছেন, জানিবেককে হেলিকপ্টারে করে ওই গ্রাম থেকে তুলে আনা হয়েছে।
গতকাল রাশিয়ার ইংরেজি ভাষার একটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাকতিচেক বেলিয়েভকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের ছোট ছেলে ম্যাক্সিজেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছ। তাঁর বিরুদ্ধে তিন কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিয়েভের সময় সংগঠিত কমপক্ষে ২০০ অভিযোগের তদন্ত শরু হয়েছে। নতুন সরকার মনে করছে, বাকিয়েভ ও তাঁর ভাই সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ সাধারণ নাগরিক হত্যা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করেছেন। ৭ এপ্রিল বিক্ষোভ সমাবেশে গুলির নির্দেশও দেন তাঁরা দুজন। ওই সহিংসতায় ৮৪ জন প্রাণ হারান।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের সমর্থকেরা দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা জালালাবাদের একটি টেলিভিশন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিরগিজস্তানের মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও স্টেশন রেডিও আজাত্তিক গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের কবল থেকে কিরগিজস্তানকে রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও কাজাখস্তান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলে শনিবার বাকিয়েভ ক্ষমতা ছেড়ে দেন। কাজাখস্তান থেকে তিনি শেষ পর্যন্ত কোথায় গেছেন, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তিনি বেলারুশ বা তুরস্কে যেতে পারেন। বেলারুশ ইতিমধ্যে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। তবে কিরগিজস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি যেখানেই যান না কেন বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য তাঁকে ফিরিয়ে আনা হবে। এএফপি, রয়টার্স।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপপ্রধানমন্ত্রী আজিমবেক বেকনাজারভ বলেছেন, বাকিয়েভের বেশ কয়েকজন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে তাঁর ছোট ভাই ও প্রেসিডেন্ট গার্ডের সাবেক প্রধান জানিবেকও রয়েছেন। তাঁকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি বাকিয়েভের নিজ গ্রামে লুকিয়ে আছেন। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে তুলে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। গ্রামের ওপর গতকাল একটি সামরিক হেলিকপ্টারকে চক্কর দিতে দেখা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। তবে আজিমবেক বলেছেন, জানিবেককে ধরতে কোনো শক্তি প্রয়োগ করা হবে না। অনেকে অবশ্য ধারণা করছেন, জানিবেককে হেলিকপ্টারে করে ওই গ্রাম থেকে তুলে আনা হয়েছে।
গতকাল রাশিয়ার ইংরেজি ভাষার একটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাকতিচেক বেলিয়েভকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের ছোট ছেলে ম্যাক্সিজেমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছ। তাঁর বিরুদ্ধে তিন কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া বাকিয়েভের সময় সংগঠিত কমপক্ষে ২০০ অভিযোগের তদন্ত শরু হয়েছে। নতুন সরকার মনে করছে, বাকিয়েভ ও তাঁর ভাই সাংবাদিক, রাজনীতিকসহ সাধারণ নাগরিক হত্যা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধ করেছেন। ৭ এপ্রিল বিক্ষোভ সমাবেশে গুলির নির্দেশও দেন তাঁরা দুজন। ওই সহিংসতায় ৮৪ জন প্রাণ হারান।
এদিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের সমর্থকেরা দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকা জালালাবাদের একটি টেলিভিশন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিরগিজস্তানের মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত রেডিও স্টেশন রেডিও আজাত্তিক গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
No comments