বাংলাদেশের গর্ব পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার
পাহাড়পুর
বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে বাংলাদেশের একটি গর্ব। পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা
সোমপুর বিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। পালবংশের
দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই
বিহার তৈরি করেছিলেন। ১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার
করেন।
পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর এবং অপর শহর কোটিবর্ষ’র মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার। এর ধ্বংসাবশেষ বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়রা এটিকে ‘গোপাল চিতার পাহাড়’ আখ্যায়িত করতো। সেই থেকে এর নাম হয়েছে পাহাড়পুর, যদিও এর প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার।
বৌদ্ধ বিহারটির ভূমি-পরিকল্পনা চতুষ্কোনাকার। এর চারদিক চওড়া সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। সীমানা দেয়াল বরাবর অভ্যন্তর ভাগে সারিবদ্ধ ছোট ছোট কক্ষ ছিল। উত্তর দিকের বাহুতে ৪৫টি এবং অন্য তিন দিকের বাহুতে রয়েছে ৪৪টি করে কক্ষ। সবশেষ যুগে ৯২টি কক্ষে মেঝের ওপর বিভিন্ন আকারের বেদী নির্মাণ করা হয়। কক্ষগুলোর প্রতিটিতে দরজা আছে। এগুলো ভেতরের দিকে প্রশস্ত, কিন্তু বাইরের দিকে সরু হয়ে গেছে।
বিহারের উত্তর বাহুর মাঝ বরাবর রয়েছে প্রধান ফটক। প্রধান ফটক ও বিহারের উত্তর-পূর্ব কোণের মাঝামাঝি আরেকটি ছোট প্রবেশপথ ছিল। উত্তর বাহুর প্রবেশপথের সামনে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত একটি পুকুর ছিল। প্রথম নির্মাণ যুগের পরবর্তী আমলে এই পুকুর খনন করা হয়। পরে এটি ভরাট করে দেওয়া হয়।
পাহাড়পুরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার বলা যেতে পারে। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী পুন্ড্রনগর এবং অপর শহর কোটিবর্ষ’র মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত ছিল সোমপুর মহাবিহার। এর ধ্বংসাবশেষ বর্তমান বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজশাহীর অন্তর্গত নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামে অবস্থিত। স্থানীয়রা এটিকে ‘গোপাল চিতার পাহাড়’ আখ্যায়িত করতো। সেই থেকে এর নাম হয়েছে পাহাড়পুর, যদিও এর প্রকৃত নাম সোমপুর বিহার।
বৌদ্ধ বিহারটির ভূমি-পরিকল্পনা চতুষ্কোনাকার। এর চারদিক চওড়া সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। সীমানা দেয়াল বরাবর অভ্যন্তর ভাগে সারিবদ্ধ ছোট ছোট কক্ষ ছিল। উত্তর দিকের বাহুতে ৪৫টি এবং অন্য তিন দিকের বাহুতে রয়েছে ৪৪টি করে কক্ষ। সবশেষ যুগে ৯২টি কক্ষে মেঝের ওপর বিভিন্ন আকারের বেদী নির্মাণ করা হয়। কক্ষগুলোর প্রতিটিতে দরজা আছে। এগুলো ভেতরের দিকে প্রশস্ত, কিন্তু বাইরের দিকে সরু হয়ে গেছে।
বিহারের উত্তর বাহুর মাঝ বরাবর রয়েছে প্রধান ফটক। প্রধান ফটক ও বিহারের উত্তর-পূর্ব কোণের মাঝামাঝি আরেকটি ছোট প্রবেশপথ ছিল। উত্তর বাহুর প্রবেশপথের সামনে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত একটি পুকুর ছিল। প্রথম নির্মাণ যুগের পরবর্তী আমলে এই পুকুর খনন করা হয়। পরে এটি ভরাট করে দেওয়া হয়।
No comments