কাশ্মিরে আত্মঘাতী হামলায় নিহত জওয়ানের সংখ্যা বেড়ে ৪০
ভারত
নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে দেশটির কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ)
গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো আত্মঘাতী হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০
জন। বৃহস্পতিবার কাশ্মিরের পুলওমা জেলার অবন্তিপুরে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিহতের সংখ্যা
নিশ্চিত করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার একটি গাড়ি বহর নিয়ে রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জম্মু থেকে কাশ্মির যাওয়ার পথে পুলওয়ামা জেলায় হামলার মুখে পড়ে। শ্রীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কের লেথপোরা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। কাশ্মির পুলিশ জানিয়েছে, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের পর পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলেও জানিয়েছে কাশ্মির পুলিশ।
আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে পুলওয়ামা জেলার কাকাপোরা এলাকার বাসিন্দা আদিল আহমাদকে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় পুলিশ। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জয়েশ-এ-মোহাম্মদে যোগ দেয় আদিল। পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-এ-মোহাম্মদ কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের অবসান চায়। আদর্শগতভাবে কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে অবস্থান তাদের।
গত কয়েক বছরের মধ্যে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। এর আগে কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। ওই সময় জম্মুর কাছে কালুচাক সেনাঘাঁটিতে হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের বেশিরভাগ ছিলেন বেসামরিক ও সেনাদের আত্মীয়। এছাড়া ২০১৬ সালে উরিতে একটি সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিরা হামলা চালালে ১৭ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। হামলাগুলোর জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। তবে পাকিস্তান এসব হামলায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে আসছে। বৃহস্পতিবারের হামলায় পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যকার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সিআরপিএফ মহাপরিচালক রাজিব রায় এএনআইকে জানান, হামলার শিকার গাড়ি বহরে নিরাপত্তাবাহিনীর ২৫০০ জন সদস্য ছিলেন।
জম্মু-কাশ্মিরের গভর্নরের মুখপাত্র কে বিজয় কুমার জানান, পুলওয়ামাতে হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই একটি মাহিন্দ্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার হওয়া বাসটিতে সিআরপিএফ-এর ৭৮ জন সদস্য ছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির উর্দু সংস্করণকে উচ্চ পদস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বহরের কতটি গাড়ি হামলার শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত না। একটি প্রাইভেট বহরকে অতিক্রম করে পুলিশের একটি বাসের সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়। বাসটিতে ৪৪ জন ছিলেন।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-এ-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সাহসী সেনাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মিমের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
বৃহস্পতিবার একটি গাড়ি বহর নিয়ে রিজার্ভ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জম্মু থেকে কাশ্মির যাওয়ার পথে পুলওয়ামা জেলায় হামলার মুখে পড়ে। শ্রীনগর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কের লেথপোরা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। কাশ্মির পুলিশ জানিয়েছে, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। বিস্ফোরণের পর পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলেও জানিয়েছে কাশ্মির পুলিশ।
আত্মঘাতী হামলাকারী হিসেবে পুলওয়ামা জেলার কাকাপোরা এলাকার বাসিন্দা আদিল আহমাদকে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় পুলিশ। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে, ২০১৮ সালে জয়েশ-এ-মোহাম্মদে যোগ দেয় আদিল। পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-এ-মোহাম্মদ কাশ্মিরে ভারতীয় শাসনের অবসান চায়। আদর্শগতভাবে কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে অবস্থান তাদের।
গত কয়েক বছরের মধ্যে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর ওপর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। এর আগে কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর ওপর বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০০২ সালে। ওই সময় জম্মুর কাছে কালুচাক সেনাঘাঁটিতে হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের বেশিরভাগ ছিলেন বেসামরিক ও সেনাদের আত্মীয়। এছাড়া ২০১৬ সালে উরিতে একটি সেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিরা হামলা চালালে ১৭ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। হামলাগুলোর জন্য ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। তবে পাকিস্তান এসব হামলায় নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে আসছে। বৃহস্পতিবারের হামলায় পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যকার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সিআরপিএফ মহাপরিচালক রাজিব রায় এএনআইকে জানান, হামলার শিকার গাড়ি বহরে নিরাপত্তাবাহিনীর ২৫০০ জন সদস্য ছিলেন।
জম্মু-কাশ্মিরের গভর্নরের মুখপাত্র কে বিজয় কুমার জানান, পুলওয়ামাতে হামলায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪০ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভারতের সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক বোঝাই একটি মাহিন্দ্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার শিকার হওয়া বাসটিতে সিআরপিএফ-এর ৭৮ জন সদস্য ছিলেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির উর্দু সংস্করণকে উচ্চ পদস্থ এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বহরের কতটি গাড়ি হামলার শিকার হয়েছে তা নিশ্চিত না। একটি প্রাইভেট বহরকে অতিক্রম করে পুলিশের একটি বাসের সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়। বাসটিতে ৪৪ জন ছিলেন।
পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-এ-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, সাহসী সেনাদের এই আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না। নিন্দা জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মিমের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।
No comments