দেশকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে নতুন উদ্যোগ by শফিকুল ইসলাম
দেশকে
ভিক্ষুকমুক্ত করতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এ পরিকল্পনার অংশ
হিসেবে তৃণমূলের ভিক্ষুক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করা, তাদের সঞ্চয়ে উৎসাহ দেওয়া,
সদস্য সঞ্চয়ের বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে সমপরিমাণ অর্থ বোনাস দেওয়া এবং
ভিক্ষুকদের নিয়ে গঠিত সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড
পরিচালনার জন্য পুঁজি গঠনে সহায়তা করা ও আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে
স্বাবলম্বী করাসহ বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা
গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রথমেই দেশের প্রতিটি এলাকায় যারা ভিক্ষাবৃত্তি করছে তাদের শনাক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ নিজ এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করবেন। এরপর তালিকা যাচাইবাছাই শেষে তাদের পুর্নবাসনের আওতায় আনা হবে। তাদের ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণ নিয়ে তারা কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসা করবেন, কেউ পশু পালন করবেন, কেউ শাকসবজি চাষ করবেন বা কেউ গরু ছাগল পালন করবেন।
সরকারের তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের এই পেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের বহুল প্রচারিত এবং প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের ১০ প্রকল্পের মধ্যে শীর্ষে থাকা ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পকে আরও প্রসারিত করা হবে। এমন তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০ লাখ পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প চলছে। সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর উদ্যোগ বাস্তবায়নে এ বছর এমনিতেই এসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তাই সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়বে। এ ছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেছে। তাই এমন একটি মর্যাদাসম্পন্ন দেশের নাগরিকদের কারো কারো ভিক্ষাবৃত্তি করার বিষয়টি অপমানজনক। তাই যেকোনও মূল্যে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে চায় সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাভিত্তিক তালিকা পাওয়া গেলে সেই তালিকা অনুযায়ী ভিক্ষুকদের ১০ থকে ১২ জনের গ্রুপে ভাগ করা হবে। তাদের নিয়ে গঠিত হবে পৃথক সমিতি। সেই সমিতি ধরে ধরেই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে তাদের।
জানতে চাইলে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের দারিদ্রতা নিরসনে এ উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও রাখবে। তাই এ প্রকল্পটিকে ঘিরে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ রয়েছে। তাই এ প্রকল্পের সম্প্রসারণ হতে পারে।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দেশে এখন আর কেউ অভাবের তাড়নায় ভিক্ষা করে না। দেশে এখন আর সেই অভাব নেই। এরপরও কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তি করছে। তারা মৌসুম ধরে ধরে দল বেঁধে ঢাকায় আসছে এবং ভিক্ষাবৃত্তি করছে। তাদের ঠেকাতে না পারলে সরকারের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করা খুবই জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক একটি মানুষও ঘরহীন বা আশ্রয়হীন থাকবে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারের নতুন উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০ উদ্যোগের ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পটির আওতা বাড়ানো। প্রকল্পটি সম্প্রসারিত হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জনা গেছে, এরই মধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা গেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দারিদ্রের আধিক্য অনুসারে বিশেষ করে দেশের নদীভাঙন এলাকা, পাহাড়ি এলাকা ও দেশের উত্তরাঞ্চলের ভিক্ষুকদের এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প’ হাতে নেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রকল্পটি ফের চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫টি উপজেলায় ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।
২৫ লাখ দরিদ্র পরিবার এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিয়ে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, প্রথমেই দেশের প্রতিটি এলাকায় যারা ভিক্ষাবৃত্তি করছে তাদের শনাক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজ নিজ এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িতদের তালিকা তৈরি করবেন। এরপর তালিকা যাচাইবাছাই শেষে তাদের পুর্নবাসনের আওতায় আনা হবে। তাদের ঋণ দেওয়া হবে। এই ঋণ নিয়ে তারা কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসা করবেন, কেউ পশু পালন করবেন, কেউ শাকসবজি চাষ করবেন বা কেউ গরু ছাগল পালন করবেন।
সরকারের তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের এই পেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের বহুল প্রচারিত এবং প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের ১০ প্রকল্পের মধ্যে শীর্ষে থাকা ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পকে আরও প্রসারিত করা হবে। এমন তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৬০ লাখ পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্প চলছে। সামাজিক নিরাপত্তা বলয় বাড়ানোর উদ্যোগ বাস্তবায়নে এ বছর এমনিতেই এসব খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তাই সুবিধাভোগীর সংখ্যাও বাড়বে। এ ছাড়াও স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেছে। তাই এমন একটি মর্যাদাসম্পন্ন দেশের নাগরিকদের কারো কারো ভিক্ষাবৃত্তি করার বিষয়টি অপমানজনক। তাই যেকোনও মূল্যে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করতে চায় সরকার।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাভিত্তিক তালিকা পাওয়া গেলে সেই তালিকা অনুযায়ী ভিক্ষুকদের ১০ থকে ১২ জনের গ্রুপে ভাগ করা হবে। তাদের নিয়ে গঠিত হবে পৃথক সমিতি। সেই সমিতি ধরে ধরেই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে তাদের।
জানতে চাইলে ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পের পরিচালক আকবর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের দারিদ্রতা নিরসনে এ উদ্যোগ বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও রাখবে। তাই এ প্রকল্পটিকে ঘিরে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ রয়েছে। তাই এ প্রকল্পের সম্প্রসারণ হতে পারে।’
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দেশে এখন আর কেউ অভাবের তাড়নায় ভিক্ষা করে না। দেশে এখন আর সেই অভাব নেই। এরপরও কিছু লোক ভিক্ষাবৃত্তি করছে। তারা মৌসুম ধরে ধরে দল বেঁধে ঢাকায় আসছে এবং ভিক্ষাবৃত্তি করছে। তাদের ঠেকাতে না পারলে সরকারের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি দূর করা খুবই জরুরি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক একটি মানুষও ঘরহীন বা আশ্রয়হীন থাকবে না বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, সরকারের নতুন উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০ উদ্যোগের ‘একটি বাড়ি, একটি খামার’ প্রকল্পটির আওতা বাড়ানো। প্রকল্পটি সম্প্রসারিত হবে। এর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ থাকবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জনা গেছে, এরই মধ্যে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা গেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দারিদ্রের আধিক্য অনুসারে বিশেষ করে দেশের নদীভাঙন এলাকা, পাহাড়ি এলাকা ও দেশের উত্তরাঞ্চলের ভিক্ষুকদের এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ‘একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প’ হাতে নেয়। পরে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে প্রকল্পটি ফের চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫টি উপজেলায় ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের ৪০ হাজার ৫২৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্পের কার্যক্রম চলছে।
২৫ লাখ দরিদ্র পরিবার এ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ প্রকল্পের আওতায় ঋণ দিয়ে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৩৫ লাখ ৫৮ হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করা হয়েছে। এরই মধ্যে প্রকল্পটি ২০২০ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
No comments