পুতিনের সিংহাসনে বসতে চান প্লে-বয় মডেল by মোহাম্মদ আবুল হোসেন
কসেনিয়া সোবচাক। বিখ্যাত প্লে-বয় ম্যাগাজিনের মডেল। রিয়েলিটি শো তারকা। সাংবাদিক। সমাজ হিতৈষী। টিভি উপস্থাপিকা।
অভিনেত্রী। এতসব বিশেষণ যুক্ত হয়েছে ৩৬ বছর ৭ মাস বয়সী রাশিয়ান যুবতী কসেনিয়া সোবচাকের নামের আগে। তাকে বলা হয়, রাশিয়ার ‘প্যারিস হিল্টন’। এবার তিনি নতুন মিশন শুরু করেছেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিংহাসনে বসা। সাবেক কেজিবি বস পুতিন যেখানে বিশ্বজোড়া নেতাদের ঘোল খাওয়াচ্ছেন, সেখানে সোবচাক হালে পানি পাবেন তো! পুতিনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বার বার কারাবরণ করতে হচ্ছে বিরোধী রাজনীতিক অ্যালেক্সি আনাতোলিয়েভিচ নাভালনি’কে। সেখানে রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা সোবচাক। তিনি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নির্বাচিত প্রথম মেয়র আনাতোলি সোবচাক ও তার স্ত্রী লুদমিলা নারুসোভার দ্বিতীয় কন্যা। কাছ থেকে দেখেছেন পিতামাতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সেটাই তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। এটার সঙ্গে সাংবাদিক হিসেবে তার যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। কিন্তু পুতিনের মতো একজন ‘রিজিড বডি’কে সরানোর জন্য এই অভিজ্ঞতা কি যথেষ্ট! কসেনিয়া সোবচাক এরই মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সেন্ট পিটার্সবুর্গের এক র্যালিতে বক্তব্য রেখেছেন। পরে তিনি সিবিএস নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, কোনোভাবেই পুতিন তার ক্ষমতা কাউকে নিতে দেবেন না। এমন কি রাশিয়ার সমস্ত মানুষ যদি আমাকে ভোট দেন তাহলেও না। এর অর্থ হলো তিনি পুতিনের শক্তি, ক্ষমতা ও প্রজ্ঞার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন পুতিন কড়া হাতে দেশের মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপ আরোপ করে রেখেছেন। তা ছাড়া নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য রাশিয়ানরা ত্যক্ত-বিরক্ত। আছে দুর্নীতি। এসবই জানা রাশিয়ানদের। তাই তিনি এসবের প্রতিবাদে নির্বাচনের মাঠে নামছেন। তিনি সিবিএস নিউজকে বলেছেন, আমি চাই না জনগণ ব্যক্তি আমাকে ভোট দিক। আমি চাই তারা দেশের চলমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ভোট দিন। উল্লেখ্য, সোবচাকের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণকারী হলেন ওয়াশিংটন ভিত্তিক ভিটালি শখলিয়ারোভ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে প্রচারণায় কাজ করেছেন। শখলিয়ারোভ বলেছেন, তিনি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আছে সফটওয়্যার। এটা ব্যবহার করে পুরো নির্বাচনী প্রচারণাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সে যা-ই হোক। ফেরা যাক কসেনিয়া সোবচাকের দিকে। তিনি নানা দিক দিয়ে আলোচিত। একদিকে প্লে-বয় ম্যাগাজিনের মডেল। অন্যদিকে তিনি রিয়েলিটি টক শোয়ের উপস্থাপক। ২০০৮ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তিনি বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনামে আসেন। ওইদিন মস্কো থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির উদ্দেশ্যে আকাশে ওড়ে এরোফ্লোটের একটি বিমান। তাতে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন সোবচাকও। তিনি নিশ্চিত হন পাইলট মদ্যপ হয়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এরোফ্লোটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই পাইলটকে সরিয়ে দেয়া হয় ককপিট থেকে। তাকে রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি কাঙ্ক্ষিত একজন সিঙ্গেল নারীর তালিকায় স্থান দেয় ‘ট্যাটলার’ ম্যাগাজিন। একজন নারীর ধনসম্পদ ও তার সেলিব্রেটি মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা করা হয়। ২০০৪ সালে তিনি প্রথম খ্যাতির শিখরে আসেন। ওই সময় তিনি শুরু করেন রিয়েলিটি শো ‘ডোম-২’। এ ছাড়া অসংখ্য রিয়েলিটি শো করেছেন তিনি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের হিসাবে রাশিয়ার ১০ সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সেলিব্রেটি তিনি। বছরে মিডিয়া থেকে তিনি উপার্জন করেন ২১ লাখ ডলার। সেলিব্রেটি জগতে যার এত পরিচিতি, এত সুনাম, এত টাকা, তিনি কেন রাজনীতিতে আসছেন! এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তিনি নিজের এই খায়েশ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। এখানেই অনেক সমালোচনার জন্ম হয়েছে। সমালোচকরা তাকে দেখছেন পুতিনের একজন প্রক্সি বিরোধী নেতা হিসেবে। তাকে সামনে এনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়ে দেখাতে চাইছেন তার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। তবে এগুলো শুধুই সমালোচনা। ২৯শে নভেম্বর বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে বিবিসি ১০০ এফএম। আগের মতোই তাতে সোবচাক তার মত তুলে ধরেন। তাকে প্রশ্নবাণে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। জবাবে সোবচাক বলেন, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ (পুতিনের ভালো নাম)-এর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক ভালো সম্পর্ক আছে। তাই আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার সিদ্ধান্তের কথা তাকে জানানো উচিত। তিনি বলেন, জবাবে পুতিন বলেছেন, প্রতিজন মানুষেরই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে এবং এর দায়ভার নেয়ার অধিকার আছে।
উল্লেখ্য, কসেনিয়া সোবচাক নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার আগেই এ বছর সেপ্টেম্বরে ৯ম ব্রিকস সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন সংবাদ সম্মেলনে সোবচাকের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের ইচ্ছার কথা জানান। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইন মেনে প্রতি মানুষের মনোনয়ন পাওয়ার অধিকার আছে। এক্ষেত্রে কসেনিয়া সোবচাক ব্যতিক্রম নন। আমি তার পিতা সাবেক মেয়র আনাতোলি সোবচাককে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি রাশিয়ার ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত বিনম্র। আমার গন্তব্য নির্ধারণে তার রয়েছে বড় ভূমিকা। তবে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইস্যু আসে তখন ব্যক্তিগত পরিচয় বড় কোনো ভূমিকা রাখে না। এটা নির্ভর করে সোবচাক কি কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি কিভাবে দেশ চালাতে চান এবং কিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।
ওদিকে সোবচাক বলেছেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে রেড স্কোয়ার থেকে সরিয়ে ফেলবেন ভ্লাদিমির লেনিনের মূর্তি। তার এ মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাশিয়া জুড়ে। এখন দেখার বিষয় তিনি কি সত্যি সত্যি পুতিনের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন কিনা। নাকি তিনি তারই হাতের এক রাজনীতির পুতুল হয়ে ওঠেন।
অভিনেত্রী। এতসব বিশেষণ যুক্ত হয়েছে ৩৬ বছর ৭ মাস বয়সী রাশিয়ান যুবতী কসেনিয়া সোবচাকের নামের আগে। তাকে বলা হয়, রাশিয়ার ‘প্যারিস হিল্টন’। এবার তিনি নতুন মিশন শুরু করেছেন। নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সিংহাসনে বসা। সাবেক কেজিবি বস পুতিন যেখানে বিশ্বজোড়া নেতাদের ঘোল খাওয়াচ্ছেন, সেখানে সোবচাক হালে পানি পাবেন তো! পুতিনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বার বার কারাবরণ করতে হচ্ছে বিরোধী রাজনীতিক অ্যালেক্সি আনাতোলিয়েভিচ নাভালনি’কে। সেখানে রাজনীতিতে একেবারে আনকোরা সোবচাক। তিনি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নির্বাচিত প্রথম মেয়র আনাতোলি সোবচাক ও তার স্ত্রী লুদমিলা নারুসোভার দ্বিতীয় কন্যা। কাছ থেকে দেখেছেন পিতামাতার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। সেটাই তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। এটার সঙ্গে সাংবাদিক হিসেবে তার যোগ হয়েছে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা। কিন্তু পুতিনের মতো একজন ‘রিজিড বডি’কে সরানোর জন্য এই অভিজ্ঞতা কি যথেষ্ট! কসেনিয়া সোবচাক এরই মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন। সেন্ট পিটার্সবুর্গের এক র্যালিতে বক্তব্য রেখেছেন। পরে তিনি সিবিএস নিউজ চ্যানেলকে বলেছেন, কোনোভাবেই পুতিন তার ক্ষমতা কাউকে নিতে দেবেন না। এমন কি রাশিয়ার সমস্ত মানুষ যদি আমাকে ভোট দেন তাহলেও না। এর অর্থ হলো তিনি পুতিনের শক্তি, ক্ষমতা ও প্রজ্ঞার বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন পুতিন কড়া হাতে দেশের মিডিয়ার ওপর সেন্সরশিপ আরোপ করে রেখেছেন। তা ছাড়া নির্বাচনে জালিয়াতির জন্য রাশিয়ানরা ত্যক্ত-বিরক্ত। আছে দুর্নীতি। এসবই জানা রাশিয়ানদের। তাই তিনি এসবের প্রতিবাদে নির্বাচনের মাঠে নামছেন। তিনি সিবিএস নিউজকে বলেছেন, আমি চাই না জনগণ ব্যক্তি আমাকে ভোট দিক। আমি চাই তারা দেশের চলমান ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ভোট দিন। উল্লেখ্য, সোবচাকের নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণকারী হলেন ওয়াশিংটন ভিত্তিক ভিটালি শখলিয়ারোভ। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী বার্নি স্যান্ডার্সের পক্ষে প্রচারণায় কাজ করেছেন। শখলিয়ারোভ বলেছেন, তিনি স্যান্ডার্সের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আছে সফটওয়্যার। এটা ব্যবহার করে পুরো নির্বাচনী প্রচারণাকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সে যা-ই হোক। ফেরা যাক কসেনিয়া সোবচাকের দিকে। তিনি নানা দিক দিয়ে আলোচিত। একদিকে প্লে-বয় ম্যাগাজিনের মডেল। অন্যদিকে তিনি রিয়েলিটি টক শোয়ের উপস্থাপক। ২০০৮ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তিনি বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনামে আসেন। ওইদিন মস্কো থেকে নিউ ইয়র্ক সিটির উদ্দেশ্যে আকাশে ওড়ে এরোফ্লোটের একটি বিমান। তাতে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন সোবচাকও। তিনি নিশ্চিত হন পাইলট মদ্যপ হয়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এরোফ্লোটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই পাইলটকে সরিয়ে দেয়া হয় ককপিট থেকে। তাকে রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি কাঙ্ক্ষিত একজন সিঙ্গেল নারীর তালিকায় স্থান দেয় ‘ট্যাটলার’ ম্যাগাজিন। একজন নারীর ধনসম্পদ ও তার সেলিব্রেটি মর্যাদা বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা করা হয়। ২০০৪ সালে তিনি প্রথম খ্যাতির শিখরে আসেন। ওই সময় তিনি শুরু করেন রিয়েলিটি শো ‘ডোম-২’। এ ছাড়া অসংখ্য রিয়েলিটি শো করেছেন তিনি। ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের হিসাবে রাশিয়ার ১০ সর্বোচ্চ উপার্জনকারী সেলিব্রেটি তিনি। বছরে মিডিয়া থেকে তিনি উপার্জন করেন ২১ লাখ ডলার। সেলিব্রেটি জগতে যার এত পরিচিতি, এত সুনাম, এত টাকা, তিনি কেন রাজনীতিতে আসছেন! এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে তিনি নিজের এই খায়েশ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে। এখানেই অনেক সমালোচনার জন্ম হয়েছে। সমালোচকরা তাকে দেখছেন পুতিনের একজন প্রক্সি বিরোধী নেতা হিসেবে। তাকে সামনে এনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিয়ে দেখাতে চাইছেন তার নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়। তবে এগুলো শুধুই সমালোচনা। ২৯শে নভেম্বর বাংলাদেশের স্থানীয় সময় রাত নয়টার দিকে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে বিবিসি ১০০ এফএম। আগের মতোই তাতে সোবচাক তার মত তুলে ধরেন। তাকে প্রশ্নবাণে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক। জবাবে সোবচাক বলেন, ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ (পুতিনের ভালো নাম)-এর সঙ্গে আমাদের পারিবারিক ভালো সম্পর্ক আছে। তাই আমি মনে করি, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমার সিদ্ধান্তের কথা তাকে জানানো উচিত। তিনি বলেন, জবাবে পুতিন বলেছেন, প্রতিজন মানুষেরই তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে এবং এর দায়ভার নেয়ার অধিকার আছে।
উল্লেখ্য, কসেনিয়া সোবচাক নির্বাচনের ঘোষণা দেয়ার আগেই এ বছর সেপ্টেম্বরে ৯ম ব্রিকস সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট পুতিন সংবাদ সম্মেলনে সোবচাকের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনের ইচ্ছার কথা জানান। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আইন মেনে প্রতি মানুষের মনোনয়ন পাওয়ার অধিকার আছে। এক্ষেত্রে কসেনিয়া সোবচাক ব্যতিক্রম নন। আমি তার পিতা সাবেক মেয়র আনাতোলি সোবচাককে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি রাশিয়ার ইতিহাসে এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি অত্যন্ত বিনম্র। আমার গন্তব্য নির্ধারণে তার রয়েছে বড় ভূমিকা। তবে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইস্যু আসে তখন ব্যক্তিগত পরিচয় বড় কোনো ভূমিকা রাখে না। এটা নির্ভর করে সোবচাক কি কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি কিভাবে দেশ চালাতে চান এবং কিভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তার ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু।
ওদিকে সোবচাক বলেছেন, তিনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন তাহলে রেড স্কোয়ার থেকে সরিয়ে ফেলবেন ভ্লাদিমির লেনিনের মূর্তি। তার এ মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে রাশিয়া জুড়ে। এখন দেখার বিষয় তিনি কি সত্যি সত্যি পুতিনের প্রতিপক্ষ হয়ে উঠতে পারেন কিনা। নাকি তিনি তারই হাতের এক রাজনীতির পুতুল হয়ে ওঠেন।
No comments