সেই রিকশাচালক এখন বিশপ
বিমানবন্দরে পোপকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রেসিডেন্ট |
দেশের
ঐতিহ্যবাহী রিকশায় চড়বেন পোপ ফ্রান্সিস। আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে
চালানো হবে এই রিকশাটি। বিশেষ এই রিকশাটি সাজিয়ে রাখা হয়েছে কাকরাইলের
আর্চবিশপ হাউজে। একইভাবে ১৯৮৬ সালের ১৯শে নভেম্বর রিকশায় চড়েছিলেন পোপ
দ্বিতীয় জন পল। সেবার আর্মি স্টেডিয়ামে সমবেত হয়েছিলেন অর্ধ লাখ ক্যাথলিক
ভক্ত। তখন অল্প সময়ের জন্য রিকশা চড়েছিলেন পোপ দ্বিতীয় জন পল।
রিকশাটি চালিয়েছিলেন শরৎ গোমেজ। ঢাকার নবাবগঞ্জের শরৎ গোমেজ তখন ছাত্র। দর্শন নিয়ে লেখাপড়া করছিলেন বনানীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সেইসঙ্গে ধর্ম চর্চা করছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের সমন্বয়ক ফাদার কমল কোড়াইয়া জানান, ওই সময়ে শরৎ গোমেজ দীক্ষা সম্পন্ন করেছেন প্রায়। যাজক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন শরৎ গোমেজকে বাছাই করা হয় রিকশা চালানোর জন্য। এতে শরৎ গোমেজ নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। পোপ দ্বিতীয় জন পলকে নিয়ে রিকশা চালানোর পর ওই বছরেই যাজক হিসেবে অভিষিক্ত করা হয় তাকে। পরবর্তীতে ঢাকার বিশপ হন তিনি। ২০১৬ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস তাকে ঢাকার বিশপ হিসেবে নিয়োগ দেন। তারপর ২২শে এপ্রিল ঢাকার আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, সিএসসি বিশপ পদে অভিষিক্ত করেন শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজকে।
আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও, সিএসসি সেদিন তার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর আপনাকে বেছে নিয়েছেন ঢাকার সহকারী বিশপ হিসেবে। আপনার দায়িত্ব খ্রিষ্টভক্তদের সেবা-যত্ন করা, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। তাদের প্রার্থনা করতে উৎসাহিত করা। বিশপ হওয়ার মধ্য দিয়ে আপনি কর্তৃপক্ষ হয়েছেন, কিন্তু কর্তৃত্ব করবেন না।’ ওই অনুষ্ঠানে বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজের মা ও দুই বোন উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে বাংলাদেশে ক্যাথলিক বিশপ হলেন নয় জন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই জন।
বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজ এখন প্রায় ৮০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তের আধ্যাত্মিক নেতা। তার প্রধান কাজ হচ্ছে খ্রিষ্টভক্তদের আধ্যাত্মিক যত্ন নেয়া, এই অঞ্চলের ক্যাথলিকদের নেতৃত্ব দেয়া ও খ্রিষ্ট ধর্মের মূল্যবোধ প্রচার করা। প্রথানুসারে ক্যাথলিক ফাদার, সিস্টার ও ব্রাদাররা বিয়ে করেন না। সংসার ত্যাগ করে মানুষের সেবা করেন। বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজ তাদের একজন। পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
পোপ দ্বিতীয় জন পলের মতোই এবার রিকশায় চড়বেন পোপ ফ্রান্সিস। আজ শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রার্থনা সভায় অংশ নিবেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে বিশেষভাবে তৈরি একটি গাড়িতে চড়বেন পোপ ফ্রান্সিস। টয়োটা পিকআপ গাড়ির পেছনের অংশে কাচঘেরা। তবে অনেকটা খোলামেলা। এতে একটি কেবিন রয়েছে। কেবিনে পোপের বসার জন্য একটি চেয়ার ও দাঁড়ানোর জন্য রয়েছে স্ট্যান্ড। গাড়িতে বসে ও দাঁড়িয়ে ভক্তদের দেখতে পারবেন তিনি। ভক্তরাও তাকে দেখতে পাবেন।
এ ছাড়াও একটি রিকশায় চড়বেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশেষ ওই গাড়ি থেকে নেমে রিকশায় চড়বেন পোপ। ওই রিকশায় চড়ে সমবেত ভক্তদের কাছাকাছি যাবেন তিনি। সমন্বয়কারী ফাদার কমল কোড়াইয়া জানিয়েছেন, ঢাকায় আসার আগেই রিকশায় চড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তবে রিকশাটি এবার কে চালাবেন তা গতকাল পর্যন্ত প্রকাশ করেননি আয়োজকরা।
রিকশাটি চালিয়েছিলেন শরৎ গোমেজ। ঢাকার নবাবগঞ্জের শরৎ গোমেজ তখন ছাত্র। দর্শন নিয়ে লেখাপড়া করছিলেন বনানীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সেইসঙ্গে ধর্ম চর্চা করছিলেন। পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের সমন্বয়ক ফাদার কমল কোড়াইয়া জানান, ওই সময়ে শরৎ গোমেজ দীক্ষা সম্পন্ন করেছেন প্রায়। যাজক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন শরৎ গোমেজকে বাছাই করা হয় রিকশা চালানোর জন্য। এতে শরৎ গোমেজ নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। পোপ দ্বিতীয় জন পলকে নিয়ে রিকশা চালানোর পর ওই বছরেই যাজক হিসেবে অভিষিক্ত করা হয় তাকে। পরবর্তীতে ঢাকার বিশপ হন তিনি। ২০১৬ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস তাকে ঢাকার বিশপ হিসেবে নিয়োগ দেন। তারপর ২২শে এপ্রিল ঢাকার আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, সিএসসি বিশপ পদে অভিষিক্ত করেন শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজকে।
আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও, সিএসসি সেদিন তার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘ঈশ্বর আপনাকে বেছে নিয়েছেন ঢাকার সহকারী বিশপ হিসেবে। আপনার দায়িত্ব খ্রিষ্টভক্তদের সেবা-যত্ন করা, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। তাদের প্রার্থনা করতে উৎসাহিত করা। বিশপ হওয়ার মধ্য দিয়ে আপনি কর্তৃপক্ষ হয়েছেন, কিন্তু কর্তৃত্ব করবেন না।’ ওই অনুষ্ঠানে বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজের মা ও দুই বোন উপস্থিত ছিলেন। তাকে নিয়ে বাংলাদেশে ক্যাথলিক বিশপ হলেন নয় জন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই জন।
বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজ এখন প্রায় ৮০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তের আধ্যাত্মিক নেতা। তার প্রধান কাজ হচ্ছে খ্রিষ্টভক্তদের আধ্যাত্মিক যত্ন নেয়া, এই অঞ্চলের ক্যাথলিকদের নেতৃত্ব দেয়া ও খ্রিষ্ট ধর্মের মূল্যবোধ প্রচার করা। প্রথানুসারে ক্যাথলিক ফাদার, সিস্টার ও ব্রাদাররা বিয়ে করেন না। সংসার ত্যাগ করে মানুষের সেবা করেন। বিশপ শরৎ ফ্রান্সিস গোমেজ তাদের একজন। পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ সফরের প্রধান সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
পোপ দ্বিতীয় জন পলের মতোই এবার রিকশায় চড়বেন পোপ ফ্রান্সিস। আজ শুক্রবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রার্থনা সভায় অংশ নিবেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানে বিশেষভাবে তৈরি একটি গাড়িতে চড়বেন পোপ ফ্রান্সিস। টয়োটা পিকআপ গাড়ির পেছনের অংশে কাচঘেরা। তবে অনেকটা খোলামেলা। এতে একটি কেবিন রয়েছে। কেবিনে পোপের বসার জন্য একটি চেয়ার ও দাঁড়ানোর জন্য রয়েছে স্ট্যান্ড। গাড়িতে বসে ও দাঁড়িয়ে ভক্তদের দেখতে পারবেন তিনি। ভক্তরাও তাকে দেখতে পাবেন।
এ ছাড়াও একটি রিকশায় চড়বেন তিনি। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিশেষ ওই গাড়ি থেকে নেমে রিকশায় চড়বেন পোপ। ওই রিকশায় চড়ে সমবেত ভক্তদের কাছাকাছি যাবেন তিনি। সমন্বয়কারী ফাদার কমল কোড়াইয়া জানিয়েছেন, ঢাকায় আসার আগেই রিকশায় চড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। তবে রিকশাটি এবার কে চালাবেন তা গতকাল পর্যন্ত প্রকাশ করেননি আয়োজকরা।
No comments