আত্রাইয়ে বেড়িবাঁধে ভাঙন
গত বছর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের একাংশ ভেঙে যায়। এরপর ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করা হয়নি। গাফিলতির কারণে সরকারি অনেক কাজ যে হয় না, এ ঘটনা তারই একটি উদাহরণ। এখন বন্যার আশঙ্কার মধ্যে এই ভাঙা বেড়িবাঁধ জনগণের দুর্ভোগ বাড়াতে পারে। ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধটি আত্রাই এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলের অন্যতম মাধ্যম। বাঁধ মেরামতের জন্য এলাকাবাসী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ অনেকের কাছেই ধরনা দিয়েছেন। তাঁরা সবাই বাঁধ মেরামতের আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গত বছর আত্রাইয়ের ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের মির্জাপুর নামক স্থান ভেঙে আশপাশের এলাকা তলিয়ে যায়। তখন আত্রাই-রানীনগর উপজেলার প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আবার বর্ষা এসেছে। কিন্তু বাঁধের ভাঙা অংশ এখনো মেরামত করা হয়নি। এর ফলে উপজেলার রাইপুর, ডাঙ্গাপাড়া, ফুলবাড়ী, উদনপৈয়, মিরাপুরসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে নৌকায় করে রাস্তার ভাঙা অংশ পার হতে হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন ভবানীপুর-মির্জাপুর হাট বসে। যানবাহন চলাচল করতে না পারায় কৃষকেরা তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাটে নিতে পারছেন না। কিন্তু এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই। জনগণের দুর্ভোগে যেন তাদের কিছুই যায়-আসে না। কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি যেকোনো কাজ বা প্রকল্প বাস্তবায়নে গাফিলতি করাটা আমাদের দেশে একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেরামতের ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ, দ্রুত ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করুন। ওই এলাকার জনগণকে দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা করুন।
No comments