মেজবাহ-শিরিনের স্বপ্নযাত্রা অবশেষে
নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও ওয়াইল্ড কার্ড না আসায় ধরেই নেয়া হয়েছিল যে, অলিম্পিক-যাত্রা হচ্ছে না মেজবাহ ও শিরিনের। সোমবার রাতে হঠাৎ অনিশ্চতার মেঘ কেটে গেছে। অবশেষে দেশের দ্রুততম মানব-মানবী মেজবাহ আহম্মদ ও শিরিন আক্তারের রিও অলিম্পিকে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হল। নৌবাহিনীর এই দুই অ্যাথলেট এমন খবরে স্বাভাবতই মহাখুশি। কাল অ্যাথলেটিক্স অঙ্গনে স্বস্তি ও আনন্দ দুই-ই পরিলক্ষিত হল এই সুসংবাদে। অনিশ্চয়তা দূর হওয়ায় অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিসের বুক থেকে যেন নেমে গেল জগদ্দল পাথর। দু’দিন আগেও যিনি ছিলেন হতাশ। কাল তিনি বলেন, ‘১৪ জুলাই শেষ দিনেও যখন ওয়াইল্ড কার্ড আসেনি, তখন অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কোনো খবরও দিতে পারছিল না বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। শেষে শনিবার রাতে আমি সরাসরি আন্তর্জাতিক অ্যামেচার অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের (আইএএএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করি। সভাপতি সেবাস্তিয়ান গো’র কাছে চিঠি পাঠাই। যার ফল হিসেবে এই দুটি ওয়াইল্ড কার্ড পেলাম।’
হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ২০১৩ সাল থেকে টানা চারবারের দ্রুততম মানব (তিনটি জাতীয় ও একটি সামার মিট) মেজবাহ আহমেদ। তার প্রতিক্রিয়া, ‘১৪ জুলাই ওয়াইর্ল্ড কার্ড না আসায় অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এত কষ্ট করার পরও কী তাহলে অলিম্পিকে খেলতে পারব না? সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় দ্রুততম মানবী শিরিনের কাছ থেকে খবরটি পাই। যেন বুকের ওপর থেকে কষ্টের পাথর নেমে গেল।’ তিনি যোগ করেন, ‘খবরটা শোনার পর মা (শাহীনা বেগম) ও বাবাকে (মোকাম্মেল হোসেন) জানাই। উনারাও খুব খুশি।’ বাগেরহাটের চিতলমারীর এই অ্যাথলেট এখন ব্রাজিলের ট্র্যাকে দৌড়ানোর অপেক্ষায়। ব্রাজিল খুবই প্রিয় নাম দেশসেরা এই অ্যাথলেটের কাছে। মেজবাহ বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবলে আমি ব্রাজিলের সমর্থক। সেই ব্রাজিলের ট্র্যাকেই দৌড়াব। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে? এবার রিওতে আরেকটি স্বপ্ন থাকবে আমার। উসাইন বোল্টের সঙ্গে ছবি তোলা। আগে দু’বার শেলি আনফ্রেজের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দু’বারই ছবি তুলেছি। অলিম্পিকে অংশ নেয়াটা একটি স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
অলিম্পিকে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে মেজবাহ বলেন, ‘আমার সেরা টাইমিং ১০.৭২ সেকেন্ড। এবার যদি ১০.৭০ সেকেন্ডও করতে পারি, তাহলেই অনেক কিছু পেয়েছি বলে মনে করব।’ রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলের ট্র্যাকে দৌড়ানোর স্বপ্ন ছিল দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তারেরও। ফুটবলে তারও প্রিয় দল ব্রাজিল। তাই স্বপ্নের দেশে স্বপ্নের গেমসে ট্র্যাকে দৌড়ানোর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না তার জন্যও। শিরিনের কথা, ‘ব্রাজিলের ট্র্যাকে দৌড়ানোর সুপ্ত বাসনা অনেক আগে থেকেই ছিল আমার মনে। তাই এটাই আমার শেষ, এমনটা ভেবেই দৌড়াব। যদিও একসময় আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু সোমবার রাতে যখন ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনি স্যার (ইব্রাহিম চেঙ্গিস) আমাকে ফোন দিয়ে খবরটা জানান। একবার মনে হচ্ছিল আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি। নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলাম না সত্যি।’
স্বপ্নের অলিম্পিকে সুযোগ পেয়ে নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটাতে চান শিরিন। তার কথায়, ‘গৌহাটি এসএ গেমসে আমার স্কোর ছিল ১১.৯৯ সেকেন্ড। সেটা অলিম্পিকে যদি ১১.৩৫ করতে পারি, তাহলেই ভাববো কিছু একটা অর্জন করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব ওয়াইল্ড কার্ড নয়, আমরা যেন সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ‘যখন ওয়াইল্ড কার্ড পাইনি তখন আমার বান্ধবী এবং তিন বোন বলেছিল, এটা কোনো ব্যাপার নয়। এর থেকেও ভালো কিছু হবে হয়তো। পরে সবাই যখন জানতে পারল তখন তারা আমার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে।’ নিজের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা জানালেন নৌবাহিনীর অ্যাথলেট শিরিন, ‘গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে দ্রুততম মানবী শেলি অ্যানফ্রেজের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাদের দু’জনের উচ্চতা এক। উনাকে দেখেও আমি অনুপ্রাণিত হই। উনি যদি বিশ্বসেরা হন, তাহলে আমার উচিত পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে অন্তত উনার কাছাকাছি থাকা।’
হতাশ হয়ে পড়েছিলেন ২০১৩ সাল থেকে টানা চারবারের দ্রুততম মানব (তিনটি জাতীয় ও একটি সামার মিট) মেজবাহ আহমেদ। তার প্রতিক্রিয়া, ‘১৪ জুলাই ওয়াইর্ল্ড কার্ড না আসায় অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। এত কষ্ট করার পরও কী তাহলে অলিম্পিকে খেলতে পারব না? সোমবার রাত সাড়ে ১২টায় দ্রুততম মানবী শিরিনের কাছ থেকে খবরটি পাই। যেন বুকের ওপর থেকে কষ্টের পাথর নেমে গেল।’ তিনি যোগ করেন, ‘খবরটা শোনার পর মা (শাহীনা বেগম) ও বাবাকে (মোকাম্মেল হোসেন) জানাই। উনারাও খুব খুশি।’ বাগেরহাটের চিতলমারীর এই অ্যাথলেট এখন ব্রাজিলের ট্র্যাকে দৌড়ানোর অপেক্ষায়। ব্রাজিল খুবই প্রিয় নাম দেশসেরা এই অ্যাথলেটের কাছে। মেজবাহ বলেন, ‘বিশ্বকাপ ফুটবলে আমি ব্রাজিলের সমর্থক। সেই ব্রাজিলের ট্র্যাকেই দৌড়াব। এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে? এবার রিওতে আরেকটি স্বপ্ন থাকবে আমার। উসাইন বোল্টের সঙ্গে ছবি তোলা। আগে দু’বার শেলি আনফ্রেজের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দু’বারই ছবি তুলেছি। অলিম্পিকে অংশ নেয়াটা একটি স্বপ্নের মতো। সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে।’
অলিম্পিকে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে মেজবাহ বলেন, ‘আমার সেরা টাইমিং ১০.৭২ সেকেন্ড। এবার যদি ১০.৭০ সেকেন্ডও করতে পারি, তাহলেই অনেক কিছু পেয়েছি বলে মনে করব।’ রিও অলিম্পিকে ব্রাজিলের ট্র্যাকে দৌড়ানোর স্বপ্ন ছিল দেশের দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তারেরও। ফুটবলে তারও প্রিয় দল ব্রাজিল। তাই স্বপ্নের দেশে স্বপ্নের গেমসে ট্র্যাকে দৌড়ানোর চেয়ে বড় পাওয়া আর কিছু হতে পারে না তার জন্যও। শিরিনের কথা, ‘ব্রাজিলের ট্র্যাকে দৌড়ানোর সুপ্ত বাসনা অনেক আগে থেকেই ছিল আমার মনে। তাই এটাই আমার শেষ, এমনটা ভেবেই দৌড়াব। যদিও একসময় আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু সোমবার রাতে যখন ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, ঠিক তখনি স্যার (ইব্রাহিম চেঙ্গিস) আমাকে ফোন দিয়ে খবরটা জানান। একবার মনে হচ্ছিল আমি ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি। নিজের হাতে চিমটি কেটে দেখলাম না সত্যি।’
স্বপ্নের অলিম্পিকে সুযোগ পেয়ে নিজের পারফরম্যান্সে উন্নতি ঘটাতে চান শিরিন। তার কথায়, ‘গৌহাটি এসএ গেমসে আমার স্কোর ছিল ১১.৯৯ সেকেন্ড। সেটা অলিম্পিকে যদি ১১.৩৫ করতে পারি, তাহলেই ভাববো কিছু একটা অর্জন করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব ওয়াইল্ড কার্ড নয়, আমরা যেন সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করতে পারি।’ তিনি যোগ করেন, ‘যখন ওয়াইল্ড কার্ড পাইনি তখন আমার বান্ধবী এবং তিন বোন বলেছিল, এটা কোনো ব্যাপার নয়। এর থেকেও ভালো কিছু হবে হয়তো। পরে সবাই যখন জানতে পারল তখন তারা আমার চেয়ে বেশি খুশি হয়েছে।’ নিজের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যের কথা জানালেন নৌবাহিনীর অ্যাথলেট শিরিন, ‘গ্লাসগো কমনওয়েলথ গেমসে দ্রুততম মানবী শেলি অ্যানফ্রেজের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমাদের দু’জনের উচ্চতা এক। উনাকে দেখেও আমি অনুপ্রাণিত হই। উনি যদি বিশ্বসেরা হন, তাহলে আমার উচিত পারফরম্যান্সের দিক দিয়ে অন্তত উনার কাছাকাছি থাকা।’
No comments