বাটদের ভাগ্য ৫ ফেব্রুয়ারি
সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফের ভাগ্যে কী আছে, জানা যাবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি। ছয় দিনের শুনানি শেষে কাল রাতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আইসিসির গঠিত তিন সদস্যের স্বাধীন ট্রাইব্যুনাল। তত দিন পর্যন্ত সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধই থাকবেন অভিযুক্তত্রয়ী। গত জুলাই-আগস্টে পাকিস্তানের ইংল্যান্ড সফরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ সেপ্টেম্বর এই তিনজনকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
নতুন করে জানা গেছে, শুধু আলোচিত লর্ডস টেস্ট নয়, পাকিস্তানের জেতা ওভাল টেস্ট নিয়েও বাটের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর আগে আমিরের আইনজীবী শহীদ করিম ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেছিলেন রায় আরও কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিতে। পাকিস্তানের জিয়ো টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের আবেদনের পক্ষে করিমের যুক্তি ছিল, ‘আমরা মাননীয় বিচারকদের কাছে আবেদন করেছি রায় ঘোষণার আগে মামলার সব দিক খুব ভালোভাবে ও সতর্কতার সঙ্গে ভেবে দেখতে। তাঁরা মানবেন কি না, এটা তাঁদের ব্যাপার।’ এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ট্রাইব্যুনাল রায় পেছাল কি না, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে শুনানির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই আমিরের আইনজীবীর, ‘শুনানি খুব ভালো ও নিরপেক্ষ হয়েছে, আমি সন্তুষ্ট। আমার দিক থেকে বলতে পারি, আমি যথেষ্ট আশাবাদী। বাকিটা নির্ভর করছে বিচারকদের ওপর।’ নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদী আমিরও। হাসিমুখে শুনানি কক্ষ থেকে বেরিয়ে ১৮ বছর বয়সী পেসার বললেন, ‘পুরো জাতির দোয়া কারও সঙ্গে থাকলে ভয়ের কী আছে। আমি আশাবাদী। সবকিছু যেভাবে হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এখন স্রেফ ভালো খবরের অপেক্ষা করছি। গত কয়েকটা রাত আমি চোখ বন্ধ করতে পারিনি। আশা করি, ভালো খবর পেলে শান্তিমতো ঘুমাতে পারব।’
কাতারের দোহায় রুদ্ধদ্বার শুনানি শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। মাইকেল বেলোফ কিউসির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন আলবি সাচ ও শারদ রাও। অভিযুক্তত্রয়ী প্রতিদিনই শুনানিতে যাওয়া-আসা করেছেন আলাদাভাবে। ছয় দিনের শুনানিতে সবচেয়ে কঠিন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে সালমান বাটকে। প্রথম বিবৃতিতে আসিফ বলেছিলেন, বাট তাঁকে বলের গতি বাড়াতে বলায় অতিরিক্ত চেষ্টা করতে গিয়েই ‘নো বল’ হয়েছিল। এরপর আসিফের আইনজীবী আলেক্সান্ডার ক্যামেরন বাটকে জেরা করেন। পরে বাটের আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেলও আসিফকে পাল্টা জেরা করেন। তবে আমিরকে জেরা করেননি অন্য দুই ক্রিকেটারের আইনজীবীদের কেউ।
বাট ও আসিফের বক্তব্যে বড়সড় রকমের ভিন্নতা পাওয়ার পর শুনানি নাটকীয় মোড় নেয়। শুনানিতে উপস্থিত এক সূত্র জানায়, দুজনের বক্তব্যের ভিন্নতা ক্রিকেটারদের জন্য পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। সাবেক অধিনায়ক হিসেবে বেশি বিপদে আছেন বাটই। শাস্তি হলে তাঁরই সবচেয়ে বেশি হবে। তিন ক্রিকেটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে জেরা করা হয়েছে তাঁকেই এবং একজন সাক্ষীর বক্তব্য বিশেষ করে দারুণভাবে তাঁর বিপক্ষে গেছে। তবে আসিফ ও আমিরের বড় শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও বয়স কম বলে আমিরের কম শাস্তি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল সেসব বিবেচনায় নেবে কি না, তা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।
নতুন করে জানা গেছে, শুধু আলোচিত লর্ডস টেস্ট নয়, পাকিস্তানের জেতা ওভাল টেস্ট নিয়েও বাটের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এর আগে আমিরের আইনজীবী শহীদ করিম ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেছিলেন রায় আরও কিছুদিনের জন্য পিছিয়ে দিতে। পাকিস্তানের জিয়ো টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেদের আবেদনের পক্ষে করিমের যুক্তি ছিল, ‘আমরা মাননীয় বিচারকদের কাছে আবেদন করেছি রায় ঘোষণার আগে মামলার সব দিক খুব ভালোভাবে ও সতর্কতার সঙ্গে ভেবে দেখতে। তাঁরা মানবেন কি না, এটা তাঁদের ব্যাপার।’ এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ট্রাইব্যুনাল রায় পেছাল কি না, এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি।
তবে শুনানির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন নেই আমিরের আইনজীবীর, ‘শুনানি খুব ভালো ও নিরপেক্ষ হয়েছে, আমি সন্তুষ্ট। আমার দিক থেকে বলতে পারি, আমি যথেষ্ট আশাবাদী। বাকিটা নির্ভর করছে বিচারকদের ওপর।’ নির্দোষ প্রমাণিত হবেন বলে আশাবাদী আমিরও। হাসিমুখে শুনানি কক্ষ থেকে বেরিয়ে ১৮ বছর বয়সী পেসার বললেন, ‘পুরো জাতির দোয়া কারও সঙ্গে থাকলে ভয়ের কী আছে। আমি আশাবাদী। সবকিছু যেভাবে হয়েছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট। এখন স্রেফ ভালো খবরের অপেক্ষা করছি। গত কয়েকটা রাত আমি চোখ বন্ধ করতে পারিনি। আশা করি, ভালো খবর পেলে শান্তিমতো ঘুমাতে পারব।’
কাতারের দোহায় রুদ্ধদ্বার শুনানি শুরু হয় গত বৃহস্পতিবার। মাইকেল বেলোফ কিউসির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন আলবি সাচ ও শারদ রাও। অভিযুক্তত্রয়ী প্রতিদিনই শুনানিতে যাওয়া-আসা করেছেন আলাদাভাবে। ছয় দিনের শুনানিতে সবচেয়ে কঠিন জেরার মুখে পড়তে হয়েছে সালমান বাটকে। প্রথম বিবৃতিতে আসিফ বলেছিলেন, বাট তাঁকে বলের গতি বাড়াতে বলায় অতিরিক্ত চেষ্টা করতে গিয়েই ‘নো বল’ হয়েছিল। এরপর আসিফের আইনজীবী আলেক্সান্ডার ক্যামেরন বাটকে জেরা করেন। পরে বাটের আইনজীবী ইয়াসিন প্যাটেলও আসিফকে পাল্টা জেরা করেন। তবে আমিরকে জেরা করেননি অন্য দুই ক্রিকেটারের আইনজীবীদের কেউ।
বাট ও আসিফের বক্তব্যে বড়সড় রকমের ভিন্নতা পাওয়ার পর শুনানি নাটকীয় মোড় নেয়। শুনানিতে উপস্থিত এক সূত্র জানায়, দুজনের বক্তব্যের ভিন্নতা ক্রিকেটারদের জন্য পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে। সাবেক অধিনায়ক হিসেবে বেশি বিপদে আছেন বাটই। শাস্তি হলে তাঁরই সবচেয়ে বেশি হবে। তিন ক্রিকেটারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে জেরা করা হয়েছে তাঁকেই এবং একজন সাক্ষীর বক্তব্য বিশেষ করে দারুণভাবে তাঁর বিপক্ষে গেছে। তবে আসিফ ও আমিরের বড় শাস্তি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও বয়স কম বলে আমিরের কম শাস্তি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল সেসব বিবেচনায় নেবে কি না, তা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে।
No comments