শ্রীমঙ্গলের ‘শান্তিবাড়ি’ -ইকোনমিস্ট’র রিপোর্ট by এম ইদ্রিস আলী
বৃটেনের
প্রভাবশালী সাময়িকী দি ইকোনমিস্ট’র গত ৬ই মে, ২০১৯ সংখ্যায় ব্যতিক্রমী
পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে শ্রীমঙ্গলের শান্তিবাড়ি ইকো রিসোর্ট’র ওপর একটি
সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বাঁশ দিয়ে তৈরি এবং টিভি-এসির মতো আধুনিক
উপকরণ না থাকা সত্ত্বেও এই পর্যটন কেন্দ্রটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মনোযোগ
কাড়তে সক্ষম হয়েছে বলে রিপোর্টে প্রশংসা করা হয়।
শ্রীমঙ্গল। বাংলাদেশের পাহাড়ি চা-চাষ অঞ্চলের একটি শহর। তানভীর আরেফিন লিংকন যখন এখানে ইকো রিসোর্ট স্থাপন করেছিলেন, তখন সেখানে প্রধানত বিদেশি পর্যটকরাই ভিড় করতেন। স্থানীয় লোকেরা হাসাহাসি করতেন। কারণ কত বেশি সুবিধাসম্পন্ন হোটেল-মোটেলের পাশে এত কম আধুনিক সুবিধার রিসোর্ট করে লাভ কী। এতে কারা থাকতে আসবেন? অতিথিরা এসে প্রশ্ন করবেন, টিভি কোথায়? এসি কোথায়? আমরা কিসের জন্য টাকা দেব?
জনাব লিংকন জবাব দিতেন: ‘আপনি চাঁদ এবং তারকারাজি দেখার জন্য অর্থ প্রদান করছেন।
আপনি একটি বিলাসবহুল পরিবেশের জন্য অর্থ প্রদান করছেন, বিলাসবহুল রুমের জন্য নয়।’
সেটা ছিল পাঁচ বছর আগের কথা। এখন তার বেশিরভাগ অতিথি বাংলাদেশি। ২০০০ সালে মাত্র ৩ লাখ বাংলাদেশি তাদের দেশে ছুটি কাটিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সেটা বেড়ে ৭০ লাখ হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান ভুবন বিশ্বাস বলেছেন, গত বছরে এবং এবারে এই সংখ্যা আরো উচ্চতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার কথায়, ‘পর্যটন ব্যবসা রমরমা।’
রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের কারণে সামপ্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক পর্যটন ব্যাপকভাবে অচল হয়ে পড়েছিল। ২০১৬ সালে বিশেষ করে বিদেশিদের ওপর মারাত্মক আক্রমণ ঘটে। রাজধানী ঢাকায় বিদেশি অভিবাসীরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হন। তাই বিদেশিরা ভয় পেলেন, কিন্তু স্থানীয়রা তাদের জায়গা করে নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ রশিদুল হাসান বলেন, গত দশ বছরে মানুষের আয় তিন বা চারগুণ বেড়েছে। প্রথমত, পরিবারগুলো গোড়াতে আধুনিক জীবনযাপনের অনুষঙ্গ, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের উপর অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে থাকে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, পরে তাদের আয় ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকায় তারা ছুটি কাটানোর মতো পরিসেবাগুলোর দিকে নজর দেন।
অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের অধিকাংশ প্রচারণা পছন্দ করেন। শান্তিবাড়ি থেকে খুব কাছেই গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গল্ফ এবং দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট আছে। তাদের সুইমিং পুল, মার্বেল-খোদাই ঝকঝকে কমপ্লেক্স। আছে গেমস উপকরণ। উচ্চবিত্তের হোটেলগুলো অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আছে কক্সবাজারে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হলো কক্সবাজার শহর। কিন্তু শান্তিরবাড়ি দেখিয়েছে, পরিবেশ ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটনেও বাংলাদেশিদের আগ্রহ বাড়ছে।
প্রথমেই আসে স্থানীয়দের পর্যটনের ভাবনা। তারপর বিদেশিদের প্রশ্ন। অথবা বলা চলে তেমনটিই সরকার আশা করে। তবে কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করছে। মি. বিশ্বাস বলেন, বিদেশিদের জন্য এমন একটি জায়গা প্রদান করা দরকার যেখানে তারা নিরাপদে এমনভাবে আচরণ করতে পারেন, যা দেশের অন্যান্য রক্ষণশীল অংশে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।্থ তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের প্রস্তাব করার জন্য বাংলাদেশের কাছে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু বাংলাদেশিরা সম্ভবত বিকিনির জন্য প্রস্তুত নয়’।
ইকোনমিস্টের রিপোর্ট ছাপা হওয়া নিয়ে তানভীর আরেফিন লিংকন বললেন, ‘আসলেই খুব ভালো লাগছে। এটা একটা স্বীকৃতি।’
শ্রীমঙ্গল। বাংলাদেশের পাহাড়ি চা-চাষ অঞ্চলের একটি শহর। তানভীর আরেফিন লিংকন যখন এখানে ইকো রিসোর্ট স্থাপন করেছিলেন, তখন সেখানে প্রধানত বিদেশি পর্যটকরাই ভিড় করতেন। স্থানীয় লোকেরা হাসাহাসি করতেন। কারণ কত বেশি সুবিধাসম্পন্ন হোটেল-মোটেলের পাশে এত কম আধুনিক সুবিধার রিসোর্ট করে লাভ কী। এতে কারা থাকতে আসবেন? অতিথিরা এসে প্রশ্ন করবেন, টিভি কোথায়? এসি কোথায়? আমরা কিসের জন্য টাকা দেব?
জনাব লিংকন জবাব দিতেন: ‘আপনি চাঁদ এবং তারকারাজি দেখার জন্য অর্থ প্রদান করছেন।
আপনি একটি বিলাসবহুল পরিবেশের জন্য অর্থ প্রদান করছেন, বিলাসবহুল রুমের জন্য নয়।’
সেটা ছিল পাঁচ বছর আগের কথা। এখন তার বেশিরভাগ অতিথি বাংলাদেশি। ২০০০ সালে মাত্র ৩ লাখ বাংলাদেশি তাদের দেশে ছুটি কাটিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সেটা বেড়ে ৭০ লাখ হয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডের প্রধান ভুবন বিশ্বাস বলেছেন, গত বছরে এবং এবারে এই সংখ্যা আরো উচ্চতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার কথায়, ‘পর্যটন ব্যবসা রমরমা।’
রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের কারণে সামপ্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক পর্যটন ব্যাপকভাবে অচল হয়ে পড়েছিল। ২০১৬ সালে বিশেষ করে বিদেশিদের ওপর মারাত্মক আক্রমণ ঘটে। রাজধানী ঢাকায় বিদেশি অভিবাসীরা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হন। তাই বিদেশিরা ভয় পেলেন, কিন্তু স্থানীয়রা তাদের জায়গা করে নিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ রশিদুল হাসান বলেন, গত দশ বছরে মানুষের আয় তিন বা চারগুণ বেড়েছে। প্রথমত, পরিবারগুলো গোড়াতে আধুনিক জীবনযাপনের অনুষঙ্গ, যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের উপর অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে থাকে। তিনি ব্যাখ্যা করেন, পরে তাদের আয় ক্রমাগতভাবে বাড়তে থাকায় তারা ছুটি কাটানোর মতো পরিসেবাগুলোর দিকে নজর দেন।
অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের অধিকাংশ প্রচারণা পছন্দ করেন। শান্তিবাড়ি থেকে খুব কাছেই গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গল্ফ এবং দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট আছে। তাদের সুইমিং পুল, মার্বেল-খোদাই ঝকঝকে কমপ্লেক্স। আছে গেমস উপকরণ। উচ্চবিত্তের হোটেলগুলো অন্যত্রও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আছে কক্সবাজারে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হলো কক্সবাজার শহর। কিন্তু শান্তিরবাড়ি দেখিয়েছে, পরিবেশ ও অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটনেও বাংলাদেশিদের আগ্রহ বাড়ছে।
প্রথমেই আসে স্থানীয়দের পর্যটনের ভাবনা। তারপর বিদেশিদের প্রশ্ন। অথবা বলা চলে তেমনটিই সরকার আশা করে। তবে কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করছে। মি. বিশ্বাস বলেন, বিদেশিদের জন্য এমন একটি জায়গা প্রদান করা দরকার যেখানে তারা নিরাপদে এমনভাবে আচরণ করতে পারেন, যা দেশের অন্যান্য রক্ষণশীল অংশে সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে।্থ তিনি আরো বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের প্রস্তাব করার জন্য বাংলাদেশের কাছে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু বাংলাদেশিরা সম্ভবত বিকিনির জন্য প্রস্তুত নয়’।
ইকোনমিস্টের রিপোর্ট ছাপা হওয়া নিয়ে তানভীর আরেফিন লিংকন বললেন, ‘আসলেই খুব ভালো লাগছে। এটা একটা স্বীকৃতি।’
No comments