কী ঘটছে টিলারসনের ভাগ্যে!
মার্কিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনা করছেন
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন ট্রাম্পের বিশ্বস্ত
সহযোগী ও সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও। এমনকি ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক
উপদেষ্টা গ্যারি কোহেন ও তার জামাতা জারেড কুশনারকেও সরিয়ে দেয়া হতে পারে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এসব কথা বলেন। এ খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে টিলারসনের
সাম্প্রতিক নমনীয় মনোভাব ও সাম্প্রতিক কিছু বিষয়ে মতপার্থক্যের কারণে
ট্রাম্প ও টিলারসনের সম্পর্কে টানাপড়েন দেখা দেয়।
এর প্রেক্ষিতেই টিলারসনকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। তার জায়গায় বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে কট্টর মনোভাব সম্পন্ন সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও’কে নিয়োগ দেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, কংগ্রেসে ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক রিপাবলিকান সিনেটর টম কটনকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। তিনি পম্পেও এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তবে এই পরিবর্তনের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছেন কিনা সেই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সব পরিকল্পনা এক জায়গায় রাখতে বলেছেন। এদিকে, অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘গাধা’ বলে সম্বোধন করেছেন। তার বরখাস্ত হওয়ার পেছনে এটা একটি কারণ। এছাড়া টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করার মাধ্যমে টিলারসন নিজের সময় অপচয় করছেন। মূলত প্রেসিডেন্টের এই বার্তাতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মূলত তাকে ‘গাধা’ সম্বোধন, উত্তর কোরিয়ার প্রতি নমনীয় মনোভাব ও কাতারের বিষয়ে মতভিন্নতার কারণে টিলারসনের ওপর চটেছেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, টিলারসনকে বরখাস্তের বিষয়ে কৌশল ঠিক করতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলিকে বলেছেন। এই বিষয়টি পরে অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা নতুন বছরের শুরুতেই এই রদবদল ঘটতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টিলারসনকে তার দায়িত্বে রাখা হবে কি না এই বিষয়ে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিনি এখানে রয়েছেন, রেক্স এখানে আছেন।’ এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নর্ট বলেছেন, টিলারসন বরখাস্ত হতে পারেন এই খবর সত্য নয়। তিনি বলেন, টিলারসনের কর্মকাণ্ডে প্রেসিডেন্ট সন্তুষ্ট। এছাড়া হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স টিলারসনের বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখনো তার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন প্রেসিডেন্ট কারো ওপর থেকে বিশ্বাস হারান, তারা আর এখানে কাজ করতে পারে না।’ টিলারসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই ট্রাম্পের একতরফা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে আরো নমনীয় করার চেষ্টা করেছেন। তবে এক্ষেত্রে তার সফলতা সামান্যই। এমনকি অনেক সময় তার নেয়া কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতি প্রকাশ্যেই অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টিলারসনের নীতি সম্পর্কে ভালো জানাশোনা আছে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখনই তার পরিকল্পনা ছিল ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। এখন যদি তাকে বহিষ্কার করা হয়, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসনের বরখাস্ত ও পদত্যাগকারী কর্মকর্তাদের তালিকায় নতুন নাম যোগ হবে।
আর জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের বিশ্বস্ততা অর্জন করার কারণে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও। মনে করা হচ্ছে তাকে টিলারসনের স্থলাভিষিক্ত করবেন ট্রাম্প। মাইক পম্পেও বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে কট্টর মনোভাব সম্পন্ন। বিশেষ করে তিনি ইরানের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। পাশাপাশি কিভাবে সিআইএ’কে আরো আগ্রাসী করা যায় এবং দেশের বাইরে আরো সিআইএ কমকর্তা নিযুক্ত করার ওপর মনোনিবেশ করেন তিনি। ট্রাম্প মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করার পরও তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই সময়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টিলারসনের কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। গত মাসে বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে দেয়া নৈশভোজে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, টিলারসন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে না নেয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া রাশিয়ার বিষয়ে টিলারসন ট্রাম্পের থেকেও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কাতারের ওপর চার আরব দেশের অবরোধ আরোপের বিষয়ে তিনি মধ্যস্থতা করতে চেয়েছেন। কয়েক মাস আগে চীনের বেইজিংয়ে টিলারসন বলেন, আলোচনার বিষয়ে ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। পরের দিন টিলারসনের ওই বক্তব্য নাকচ করে দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, টিলারসন সময়ের অপচয় করছেন। এছাড়া, কর্মী ছাঁটাই ও বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় টিলারসন ও প্রবীণ কূটনীতিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এটিও টিলারসনকে সরিয়ে দেয়ার পিছনে অন্যতম কারণ।
এর প্রেক্ষিতেই টিলারসনকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প। তার জায়গায় বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে কট্টর মনোভাব সম্পন্ন সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও’কে নিয়োগ দেয়া হবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা আরো জানান, কংগ্রেসে ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক রিপাবলিকান সিনেটর টম কটনকে সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। তিনি পম্পেও এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। তবে এই পরিবর্তনের বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছেন কিনা সেই বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অপর এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সব পরিকল্পনা এক জায়গায় রাখতে বলেছেন। এদিকে, অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ‘গাধা’ বলে সম্বোধন করেছেন। তার বরখাস্ত হওয়ার পেছনে এটা একটি কারণ। এছাড়া টুইটারে দেয়া এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করার মাধ্যমে টিলারসন নিজের সময় অপচয় করছেন। মূলত প্রেসিডেন্টের এই বার্তাতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিক্ত সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ট্রাম্প মূলত তাকে ‘গাধা’ সম্বোধন, উত্তর কোরিয়ার প্রতি নমনীয় মনোভাব ও কাতারের বিষয়ে মতভিন্নতার কারণে টিলারসনের ওপর চটেছেন। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, টিলারসনকে বরখাস্তের বিষয়ে কৌশল ঠিক করতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলিকে বলেছেন। এই বিষয়টি পরে অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই পরিকল্পনার বিষয়টি প্রথম প্রকাশিত হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের শেষের দিকে অথবা নতুন বছরের শুরুতেই এই রদবদল ঘটতে পারে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, টিলারসনকে তার দায়িত্বে রাখা হবে কি না এই বিষয়ে ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি তা এড়িয়ে যান। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তিনি এখানে রয়েছেন, রেক্স এখানে আছেন।’ এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নর্ট বলেছেন, টিলারসন বরখাস্ত হতে পারেন এই খবর সত্য নয়। তিনি বলেন, টিলারসনের কর্মকাণ্ডে প্রেসিডেন্ট সন্তুষ্ট। এছাড়া হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স টিলারসনের বরখাস্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখনো তার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যখন প্রেসিডেন্ট কারো ওপর থেকে বিশ্বাস হারান, তারা আর এখানে কাজ করতে পারে না।’ টিলারসন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বেশিরভাগ সময়ই ট্রাম্পের একতরফা ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে আরো নমনীয় করার চেষ্টা করেছেন। তবে এক্ষেত্রে তার সফলতা সামান্যই। এমনকি অনেক সময় তার নেয়া কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রতি প্রকাশ্যেই অবজ্ঞা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টিলারসনের নীতি সম্পর্কে ভালো জানাশোনা আছে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখনই তার পরিকল্পনা ছিল ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। এখন যদি তাকে বহিষ্কার করা হয়, তাহলে ট্রাম্প প্রশাসনের বরখাস্ত ও পদত্যাগকারী কর্মকর্তাদের তালিকায় নতুন নাম যোগ হবে।
আর জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্পের বিশ্বস্ততা অর্জন করার কারণে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন সিআইএ প্রধান মাইক পম্পেও। মনে করা হচ্ছে তাকে টিলারসনের স্থলাভিষিক্ত করবেন ট্রাম্প। মাইক পম্পেও বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে কট্টর মনোভাব সম্পন্ন। বিশেষ করে তিনি ইরানের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন। পাশাপাশি কিভাবে সিআইএ’কে আরো আগ্রাসী করা যায় এবং দেশের বাইরে আরো সিআইএ কমকর্তা নিযুক্ত করার ওপর মনোনিবেশ করেন তিনি। ট্রাম্প মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমালোচনা করার পরও তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এই সময়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টিলারসনের কিছুটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়। গত মাসে বিদেশি কূটনীতিকদের সম্মানে দেয়া নৈশভোজে হোয়াইট হাউসের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, টিলারসন প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে না নেয়ার বিষয়ে ট্রাম্পের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া রাশিয়ার বিষয়ে টিলারসন ট্রাম্পের থেকেও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি কাতারের ওপর চার আরব দেশের অবরোধ আরোপের বিষয়ে তিনি মধ্যস্থতা করতে চেয়েছেন। কয়েক মাস আগে চীনের বেইজিংয়ে টিলারসন বলেন, আলোচনার বিষয়ে ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। পরের দিন টিলারসনের ওই বক্তব্য নাকচ করে দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, টিলারসন সময়ের অপচয় করছেন। এছাড়া, কর্মী ছাঁটাই ও বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় টিলারসন ও প্রবীণ কূটনীতিকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এটিও টিলারসনকে সরিয়ে দেয়ার পিছনে অন্যতম কারণ।
No comments