শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ইরাকি ফুয়াদ শারেফ
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে পেরেছেন ইরাকের ফুয়াদ শারেফ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। নানা বাধা-বিপত্তির কারণে যাত্রা শুরুর এক সপ্তাহের বেশি সময় পর তাঁরা টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ন্যাশভিল শহরে পৌঁছান। প্রথমে প্রায় এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার পর কায়রোতে আটকে দেওয়া হয় শারেফ ও তাঁর পরিবারকে। সাতটি মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের ৯০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারি করাই এর কারণ। ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের একজন বিচারক ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ দিলে শারেফের মনে নতুন আশার সঞ্চার হয়। এই সুযোগে আরও অনেকের মতো তিনিও দেরি না করে যুক্তরাষ্ট্র রওয়ানা হন। এবার কোনো ঝুটঝামেলা ছাড়াই ঢুকে পড়েন। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে গত রোববার নিউইয়র্কে অবতরণ করেন। মার্কিন আন্তর্জাতিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা ইউএসএআইডির সাবেক সাবকন্ট্রাক্টর শারেফের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘপ্রতীক্ষিত নতুন জীবন শুরুর চেষ্টা করছে।
ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি-অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা তারা। যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে শারেফ গত এক সপ্তাহের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমার জীবনে নাটকীয় পরিবর্তন ঘটেছে। শিখেছি যে অধিকার থাকলে কখনোই হাল ছাড়তে নেই।’ যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ভিসা পেতে শারেফ পরিবারের দুই বছর সময় লেগেছে। মার্কিন সামরিক বাহিনী ও ইরাকের সরকারি সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় অভিবাসন ভিসা দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর জন্য তিনি ঘরবাড়িসহ সব বিক্রি করে দিয়েছিলেন। সিরীয় শরণার্থী নায়েল জাইনো তুরস্কে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায় কাজ করতেন। জাইনো গত শনিবার বোস্টনে পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হতে পেরেছেন। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী সব শরণার্থী গ্রহণের ওপর ১২০ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। আর সিরীয় শরণার্থী হলে তা থাকবে অনির্দিষ্টকাল। জাইনো গত ২৭ জানুয়ারি ভিসা পান। সেদিনই ট্রাম্প ওই বিতর্কিত নির্বাহী আদেশে সই করেন।
No comments