হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে অভিশংসন
চলছে শেষ মুহূর্তের জোরদার প্রচারণা। গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্য নর্থ ক্যারোলাইনার রালিতে বৃহস্পতিবার প্রচার চালান হিলারি ক্লিনটন (বাঁয়ে)। একই অঙ্গরাজ্যের সেলমায় একই দিন প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প। রয়টার্স |
হিলারি ক্লিনটন এখনো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হননি, কিন্তু সে সম্ভাবনা মাথায় রেখে কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই হিলারির বিরুদ্ধে অভিশংসনের কথা ঘোষণা করেছেন। কংগ্রেসের ওভারসাইট বা নজরদারি কমিটির চেয়ারম্যান জ্যাসন শাফেটজ বলেছেন, রিপাবলিকানদের কাছে প্রেসিডেন্ট হিলারির দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিনের আগেই তাঁর বিষয়ে তদন্তের কমপক্ষে দুই বছরের কাগজপত্র তাঁদের কাছে রয়েছে। কংগ্রেসম্যান মাইকেল ম্যাককাউল বলেন, হিলারির ই-মেইল প্রশ্নে তাঁরা কেবল তদন্তই চালিয়ে যাবেন না, তাঁর অভিশংসনের ব্যবস্থাও করবেন।
নির্বাচিত হওয়ার আগেই হিলারির হাতকে বেঁধে ফেলার এই হুমকি রিপাবলিকান দলের একাধিক প্রভাবশালী সিনেটরের কাছ থেকেও এসেছে। সিনেটর টেড ক্রুজ ও জন ম্যাককেইন বলেন, তাঁরা কিছুতেই সুপ্রিম কোর্টের জন্য হিলারির প্রস্তাবিত কোনো বিচারকের নিয়োগ-প্রশ্ন বিবেচনায় আনবেন না। নর্থ ক্যারোলাইনায় পুনর্নির্বাচনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন সিনেটর রিচার্ড বারও একই হুমকি দিয়েছেন। সিএনএনের কাছে ফাঁস করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, রিচার্ড বার তাঁর স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য কোনো মনোনয়ন পাঠালে তা আটকে রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর। রিপাবলিকান দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কথা বলে চলেছেন। চলতি সপ্তাহে মায়ামিতে এক ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেন, হিলারি নির্বাচিত হলে দেশে শাসনতান্ত্রিক সংকটের সূচনা হবে। এক নতুন ভিডিও বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প হিলারির ‘বেআইনি’ কার্যকলাপের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাঁকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজনৈতিক রণকৌশল হিসেবেই ট্রাম্প শাসনতান্ত্রিক সংকটের এই ছবিটি মার্কিন ভোটারদের মনে গেঁথে দিতে চাইছেন। উল্লেখ্য, লিবিয়ার বেনগাজিতে সন্ত্রাসী হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য হিলারিকে দায়ী করে কংগ্রেসের রিপবালিকান নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে টানা দুই বছর শুনানি চালু রাখে। আর এ কাজে কমপক্ষে সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। নির্বাচিত হওয়ার আগেই হিলারিকে অভিশংসনের হুমকির তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ওবামা অভিযোগ করেন—রিপাবলিকান নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন ট্রাম্প নয়,
নির্বাচিত হওয়ার আগেই হিলারির হাতকে বেঁধে ফেলার এই হুমকি রিপাবলিকান দলের একাধিক প্রভাবশালী সিনেটরের কাছ থেকেও এসেছে। সিনেটর টেড ক্রুজ ও জন ম্যাককেইন বলেন, তাঁরা কিছুতেই সুপ্রিম কোর্টের জন্য হিলারির প্রস্তাবিত কোনো বিচারকের নিয়োগ-প্রশ্ন বিবেচনায় আনবেন না। নর্থ ক্যারোলাইনায় পুনর্নির্বাচনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন সিনেটর রিচার্ড বারও একই হুমকি দিয়েছেন। সিএনএনের কাছে ফাঁস করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, রিচার্ড বার তাঁর স্বেচ্ছাসেবকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের জন্য কোনো মনোনয়ন পাঠালে তা আটকে রাখতে তিনি বদ্ধপরিকর। রিপাবলিকান দলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পও একই কথা বলে চলেছেন। চলতি সপ্তাহে মায়ামিতে এক ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেন, হিলারি নির্বাচিত হলে দেশে শাসনতান্ত্রিক সংকটের সূচনা হবে। এক নতুন ভিডিও বিজ্ঞাপনে ট্রাম্প হিলারির ‘বেআইনি’ কার্যকলাপের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাঁকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজনৈতিক রণকৌশল হিসেবেই ট্রাম্প শাসনতান্ত্রিক সংকটের এই ছবিটি মার্কিন ভোটারদের মনে গেঁথে দিতে চাইছেন। উল্লেখ্য, লিবিয়ার বেনগাজিতে সন্ত্রাসী হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিহত হওয়ার ঘটনার জন্য হিলারিকে দায়ী করে কংগ্রেসের রিপবালিকান নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে টানা দুই বছর শুনানি চালু রাখে। আর এ কাজে কমপক্ষে সাত মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। নির্বাচিত হওয়ার আগেই হিলারিকে অভিশংসনের হুমকির তীব্র সমালোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে নর্থ ক্যারোলাইনায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে ওবামা অভিযোগ করেন—রিপাবলিকান নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন ট্রাম্প নয়,
হিলারিই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। সাধারণ ভোটারদের মনে ভীতি জাগাতেই তাঁরা এখন অভিশংসনের এ হুমকি দিচ্ছেন। দেশের একাধিক প্রভাবশালী পত্রিকাও ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান সমর্থকদের হুমকির কঠোর সমালোচনা করেছে। বৃহস্পতিবার এক সম্পাদকীয়তে নিউইয়র্ক টাইমস এই পাঁয়তারাকে গণতন্ত্রের জন্য সরাসরি হুমকি বলে উল্লেখ করেছে। পত্রিকাটি লিখেছে, শাসনতান্ত্রিক সংকটের যে কথা ট্রাম্প বলেছেন, তার অর্থ হচ্ছে—একের পর এক তদন্তের জালে আটকে পড়ে হিলারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবেন না; অতএব ভোটটা হিলারিকে নয়, তাঁকেই দেওয়া হোক। তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতৃত্ব যুক্ত হওয়ার দুঃখ প্রকাশ করে পত্রিকাটি আরও লিখেছে, এটি গণতন্ত্রের প্রতি স্পষ্ট অবমাননা। পুনর্নির্বাচিত হলে এই কাজ তাঁরা করবেন; আর সে কারণেই মার্কিন ভোটারদের উচিত হবে নির্বাচনে পরাস্ত করে এই বিভক্তির রাজনীতি প্রত্যাখান করা। কংগ্রেসের উভয় কক্ষে রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণ থাকায় প্রেসিডেন্ট ওবামার ক্ষমতা খর্ব করার কাজে রিপাবলিকান দল কংগ্রেস গত ছয় বছর নানা উপায়ে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করে।
No comments