জীবনে একবারই মাত্র ‘দেরি’ করেছেন বোল্ট
উসাইন বোল্ট জীবনে দেরি করেছেন মাত্র একবার। যে সময়ে জন্ম নেয়ার কথা ছিল এই কিংবদন্তি দৌড়বিদের, তার ১০ দিন পর ভূমিষ্ঠ হয়েছিলেন। তার মা জেনিফার বলছেন, ‘উসাইনের বয়স যখন তিন সপ্তাহ, তখন থেকেই তিনি টের পেতে শুরু করেছিলেন যে বড় কিছু একটা করার জন্যই তার ছেলের জন্ম হয়েছে।’ তবে উইলিয়াম নিব হাইস্কুলে পড়ার সময় বোল্টের আকর্ষণ ছিল ক্রিকেটের প্রতি। সেসময় তিনি ক্রিকেট ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারতেন না। স্কুলের পিটি শিক্ষক লর্না থর্পই প্রথম উসাইনকে অ্যাথলেটিক্সে আসার জন্য উপদেশ দেন। ‘আমি তাকে বলেছিলাম, ভালো করে ট্রেনিং শুরু করো। তোমার লম্বা পায়ের ভেতর সোনার খনি লুকানো আছে’, বলছিলেন মিসেস থর্প। উসাইন বোল্টের জীবনের ওপর এই শিক্ষকের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে।
উসাইন সেটি অস্বীকার করেন না। ‘তিনি ছিলেন মায়ের মতো। স্কুলে পড়ার সময় তিনি সব সময় আমার খোঁজখবর রাখতেন। স্কুল ও স্কুলের বাইরে। সব সময় চাইতেন আমি যেন আমার মনোযোগ ধরে রাখি। আমার জীবনে তার বড় ভূমিকা রয়েছে’, বলেছেন বোল্ট। উসাইন বোল্টের জীবনে প্রথমবারের মতো খ্যাতি আসে যখন তার বয়স মাত্র ১৫। ২০০২ সালে জ্যামাইকায় বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে এ কিশোর স্বর্ণপদক জয় করে সবার দৃষ্টি কেড়ে নেন। সে সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা সবাই ছিল তার চেয়ে অন্তত চার বছর বড়। সেই ইভেন্টের পর থেকে উসাইন বোল্টকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাবা ওয়েলৈস্লি বোল্ট জানাচ্ছেন, উসাইন হারতে চাইতেন না। ছেলেবেলায় তিনি যখন জ্যামাইকার ট্রলনিতে পাড়ার মাঠে দৌড়াতেন, তখন অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় হেরে গেলে তিনি কান্নাকাটি করতেন। জেনিফার বলেন, ‘পাঁচ বছর বয়স থেকে উসাইন স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে রেস করত। প্রতিবারই জিতত।’ ভাই সাদিকি এবং বোন শেরিন বলছেন, ‘ছোটবেলা থেকেই উসাইন হাসিখুশি এক ছেলে।’
No comments