ট্রাম্পের জয় নিয়ে গভীর সংশয় দুই রিপাবলিকান নেতার
মার্কিন নির্বাচনে রণাঙ্গন হিসেবে খ্যাত ওহাইও এবং আরিজোনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প জিততে পারবেন কিনা- তা নিয়ে গভীর সংশয় প্রকাশ করেছেন রিপাবলিকান দলের দু’জন নির্বাচিত কর্মকর্তা। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। টিভিতে রোববার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ওহাইও গভর্নর জন কাসিচ এবং আরিজোনার সিনেটর জেফ ফ্লেক বলেন, তাদের রাজ্যে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে জিততে হলে ট্রাম্পকে প্রার্থী হিসেবে বদলে যেতে হবে। গত এক সপ্তাহে চরম বৈরী পরিবেশে থাকা ট্রাম্পের জন্য তাদের এ মন্তব্য আরেকটি আঘাত। গত এক সপ্তাহের কয়েকটি জরিপের ফলে দেখা যাচ্ছে সাবেক ফার্স্ট লেডির বিপরীতে ট্রাম্প ক্রমেই পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছেন। সিএনএনের ‘স্টেট অব দৗ ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে কাসিচ বলেন, ইলেক্টোরাল ভোটে সমৃদ্ধ তার রাজ্যে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। তিনি বলেন, ট্রাম্প এখানকার কিছু অংশে জয় পেলেও অন্য অংশে জয় কঠিন হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে সিবিএস টিভির ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ফ্লেক বলেন, তার রাজ্যেও জয় পাওয়া কঠিন হতে পারে ট্রাম্পের। তিনি বলেন, আরিজোনা রাজ্যটি রিপাবলিকান ঘেঁষা হলেও ট্রাম্পকে আরও দায়িত্বশীল অবস্থান নিতে হবে। এখানকার ক্রমবর্ধমান হিসপ্যানিক জনসংখ্যা ট্রাম্পের পরাজয়ের কারণ হতে পারে। গত দশটি নির্বাচনের মধ্যে এ রাজ্যে একবার মাত্র জয় পেয়েছিল ডেমোক্রেটরা- ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিনটন। ফ্লেক বলেন, এবার এখানে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এখানকার হিসপ্যানিক ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের নিয়ামক শক্তি হতে পারে। ফ্লেক ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা আগেও করেছেন, এবার সাক্ষাৎকারেও তার পুনরাবৃত্তি করেন। আর কাসিচ তো ট্রাম্পকে সমর্থনই দেননি। এমনকি রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলনেও যাননি তিনি। ট্রাম্পকে মার্কিন নাৎসি পার্টির সমর্থন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচিত করা দেশটির শেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের জন্য বড় ধরনের একটি সুযোগ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাৎসি পার্টির (এএনপি) নেতা। এরমধ্য দিয়ে দেশটিতে একটি মূলধারার রাজনীতি উপস্থাপনে বুদ্ধির সঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন মার্কিন এ নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের নাৎসি দলের চেয়ারম্যান রকি সুহাইদি আরও বলেন, এটা বেশ কঠিন কাজ এবং এ কারণে মানুষ আমাদের ‘ধর্মান্ধও’ বলতে পারে। তিনি আরও বলেন,
অন্যদিকে সিবিএস টিভির ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে ফ্লেক বলেন, তার রাজ্যেও জয় পাওয়া কঠিন হতে পারে ট্রাম্পের। তিনি বলেন, আরিজোনা রাজ্যটি রিপাবলিকান ঘেঁষা হলেও ট্রাম্পকে আরও দায়িত্বশীল অবস্থান নিতে হবে। এখানকার ক্রমবর্ধমান হিসপ্যানিক জনসংখ্যা ট্রাম্পের পরাজয়ের কারণ হতে পারে। গত দশটি নির্বাচনের মধ্যে এ রাজ্যে একবার মাত্র জয় পেয়েছিল ডেমোক্রেটরা- ১৯৯৬ সালে বিল ক্লিনটন। ফ্লেক বলেন, এবার এখানে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, এখানকার হিসপ্যানিক ভোটাররাই জয়-পরাজয়ের নিয়ামক শক্তি হতে পারে। ফ্লেক ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা আগেও করেছেন, এবার সাক্ষাৎকারেও তার পুনরাবৃত্তি করেন। আর কাসিচ তো ট্রাম্পকে সমর্থনই দেননি। এমনকি রিপাবলিকান জাতীয় সম্মেলনেও যাননি তিনি। ট্রাম্পকে মার্কিন নাৎসি পার্টির সমর্থন : মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচিত করা দেশটির শেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের জন্য বড় ধরনের একটি সুযোগ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাৎসি পার্টির (এএনপি) নেতা। এরমধ্য দিয়ে দেশটিতে একটি মূলধারার রাজনীতি উপস্থাপনে বুদ্ধির সঙ্গে কাজ করে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন মার্কিন এ নেতা। যুক্তরাষ্ট্রের নাৎসি দলের চেয়ারম্যান রকি সুহাইদি আরও বলেন, এটা বেশ কঠিন কাজ এবং এ কারণে মানুষ আমাদের ‘ধর্মান্ধও’ বলতে পারে। তিনি আরও বলেন,
শেতাঙ্গদের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মাসে রেডিওতে ধারণ করা মার্কিন নাৎসি পার্টির নেতার এসব কথা অনলাইনভিত্তিক মিডিয়া বাজফিড প্রথমে প্রকাশ করে বলে সোমবার গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। রেডিও বার্তায় সুহাইদি বলেন, এখন যদি ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয় লাভ করেন, তবে তা হবে দেশটির শেতাঙ্গদের জন্য সুখকর। এজন্য এখন থেকেই তার পক্ষ নিয়ে কাজ করে যাওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি। এজন্য অন্দোলনের ভাবধারা নিয়েও চিন্তা করা উচিত। হিলারি ক্লিনটনকে ট্রাম্প হারিয়ে দিতে পারে বলে ভবিতব্য করে সুহাইদি আরও বলেন, এতে প্রতিপক্ষে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি আরও বলেন, এর মানে এই নয় যে, হিলারির বিরোধিতা করতে হবে। তবে শেতাঙ্গ সমর্থিত প্রেসিডেন্টকেই বেছে নেয়া উচিত বলেও জানান তিনি। এএনপি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম রাজনৈতিক দল, যেটি ১৯৫৯ সালে জর্জ লিংকন রকওয়েল প্রতিষ্ঠিত করেন। ওয়াল্ড ইউনিয়ন অব ফ্রি এন্টারপ্রাইজ ন্যাশনাল সোসালিস্ট (ওইউএফইএনএস) নামে শুরু হওয়া এ রাজনৈতিক দলের নাম ১৯৬০ সালে ‘আমেরিকান নাৎসি পার্টি’ রাখা হয়।
No comments