একেই বলে গণতন্ত্র by সাজেদুল হক
খুব
খারাপ একটা সময় কাটাচ্ছে পৃথিবী। রক্তপাতের খবর ছাড়া বের হচ্ছে না
পত্রিকা। মৃত্যু যেন এখন একমাত্র সত্য। বেঁচে থাকাটাই বিস্ময়।
ইরাক-সিরিয়া-লিবিয়া কোথায় নেই যুদ্ধ? অরল্যান্ডোতে রক্তের দাগ এখনও
শুকায়নি। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও রক্তপাতের বাইরে নেই। এরমধ্যে
বৃটেনে গুলি করে হত্যা করা হলো লেবার পার্টির এমপি জো কক্সকে।
জো কক্সের হত্যাকা- বৃটেনের রাজনীতিতে এক বিস্ময়কর ঘটনা। গত ২৫ বছরে এ প্রথম বৃটেনে কোন এমপিকে গুলি করে হত্যা করা হলো। তার মৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বৃটেন। শোকে স্তব্ধ পুরো জাতি। দলমত নির্বিশেষে শোকের মিছিলে শামিল হয়েছেন সবাই। এমনিতে বৃটেন সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় দেশ। লন্ডনের কথাই চিন্তা করুন না কেন। পৃথিবীর কত জাতি আর ধর্মের মানুষ বাস করে এ একটি শহরের। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর অন্যের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মেনে নিলে বৈচিত্র্যময় জীবন যে অসম্ভব নয় তার একটি প্রমাণ এ শহর।
জো কক্সের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বৃটেনের গণতন্ত্র পৃথিবীর সামনে আরও একবার উদাহরণ হিসেবে হাজির হয়েছে। দুটি ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে দেশটিতে এমনিতে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২৩শে জুন এ নিয়ে ভোটাভুটির কথা রয়েছে। এমপি জো কক্স ইইউ গণভোট নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এবং বৃটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য তার নির্বাচনী এলাকা ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। জো কক্সকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে টমি মেয়ার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির সঙ্গে কট্টর ডানপন্থি মতাদর্শের দলের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
খেয়াল করে থাকবেন হয়তো, এ হত্যাকা- নিয়ে বৃটেনের রাজনৈতিক দলগুলো কোন দোষারোপের খেলা খেলছে না। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী প্রধান দুজনই নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজ করছে। কেউ তাদের ওপর কোন হস্তক্ষেপ করছে না। আর বৃটেনের রাজনৈতিক দলগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দুটি সিদ্ধান্ত নেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে গণভোটের প্রচারণা স্থগিত করা হয়। আর জো কক্সের নির্বাচনী আসনে প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কনজারভেটিব পার্টিসহ অন্য দলগুলো। এই দুটি সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র আর মানবতার বিজয়ই ঘোষণা করছে। গভীরভাবে খেয়াল করলে বুঝা যায়, জো কক্সের হত্যাকা-ের রাজনৈতিক সুবিধাও কোন পক্ষ নিতে চায়নি। যে কারণে তারা ভোটের প্রচারণাই স্থগিত করেছে। আর জো কক্সের আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর প্রার্থী না দেয়ার ঘোষণা গভীর রাজনৈতিক মানবতারই প্রমাণ দেয়।
জো কক্সের হত্যাকা- বৃটেনের রাজনীতিতে এক বিস্ময়কর ঘটনা। গত ২৫ বছরে এ প্রথম বৃটেনে কোন এমপিকে গুলি করে হত্যা করা হলো। তার মৃত্যুর ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বৃটেন। শোকে স্তব্ধ পুরো জাতি। দলমত নির্বিশেষে শোকের মিছিলে শামিল হয়েছেন সবাই। এমনিতে বৃটেন সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় দেশ। লন্ডনের কথাই চিন্তা করুন না কেন। পৃথিবীর কত জাতি আর ধর্মের মানুষ বাস করে এ একটি শহরের। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর অন্যের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মেনে নিলে বৈচিত্র্যময় জীবন যে অসম্ভব নয় তার একটি প্রমাণ এ শহর।
জো কক্সের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বৃটেনের গণতন্ত্র পৃথিবীর সামনে আরও একবার উদাহরণ হিসেবে হাজির হয়েছে। দুটি ঘটনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বৃটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে দেশটিতে এমনিতে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২৩শে জুন এ নিয়ে ভোটাভুটির কথা রয়েছে। এমপি জো কক্স ইইউ গণভোট নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন এবং বৃটেনের ইইউতে থাকার পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য তার নির্বাচনী এলাকা ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। জো কক্সকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে টমি মেয়ার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির সঙ্গে কট্টর ডানপন্থি মতাদর্শের দলের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
খেয়াল করে থাকবেন হয়তো, এ হত্যাকা- নিয়ে বৃটেনের রাজনৈতিক দলগুলো কোন দোষারোপের খেলা খেলছে না। প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী প্রধান দুজনই নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের কাজ করছে। কেউ তাদের ওপর কোন হস্তক্ষেপ করছে না। আর বৃটেনের রাজনৈতিক দলগুলো তাৎক্ষণিকভাবে দুটি সিদ্ধান্ত নেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকা নিয়ে গণভোটের প্রচারণা স্থগিত করা হয়। আর জো কক্সের নির্বাচনী আসনে প্রার্থী না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কনজারভেটিব পার্টিসহ অন্য দলগুলো। এই দুটি সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র আর মানবতার বিজয়ই ঘোষণা করছে। গভীরভাবে খেয়াল করলে বুঝা যায়, জো কক্সের হত্যাকা-ের রাজনৈতিক সুবিধাও কোন পক্ষ নিতে চায়নি। যে কারণে তারা ভোটের প্রচারণাই স্থগিত করেছে। আর জো কক্সের আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর প্রার্থী না দেয়ার ঘোষণা গভীর রাজনৈতিক মানবতারই প্রমাণ দেয়।
No comments