গুগল-ফেসবুকের লড়াইয়ে কে জিতবে?
গুগলের
ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ফেসবুক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুগলকে টক্কর দেওয়া শুরু
করেছে ফেসবুক। গুগল কী ছাড় দেবে? এই দুই বড় প্রতিষ্ঠানের লড়াইয়ে জয় হবে
কার? বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেটরে শক্তিশালী এই দুটি প্রতিষ্ঠানের
লড়াইয়ে উভয়ই লাভবান হবে।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫৯ কোটি। ২০০৪ সালে যে ফেসবুকের জন্ম, তা এখন কৈশরে পা দিয়েছে। ফেসবুক দিন দিন এমন এক অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেটের সবচেয়ে শক্তিশালী কোম্পানি গুগলকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে।
২৭ জানুয়ারি গত বছরের শেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর—এই তিন মাসের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত প্রান্তিকে আয়ের ধারায় যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখিয়েছে ফেসবুক, এতে গুগলকে টপকে যেতে আর বেশি দেরি নেই।
ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো ফেসবুকের প্রান্তিক আয় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। তিন মাসে ফেসবুকের যে আয়, তা ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহুর এক বছরের আয়ের চেয়েও বেশি। ভারচুয়াল রিয়েলিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মোবাইল অ্যাড নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছানোর মতো বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরও ফেসবুকের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে।
অর্থ আয়ের দিক থেকে এখনো ফেসবুকের চেয়ে তিনগুণ এগিয়ে গুগল। তবে এই পার্থক্য ধীরে ধীরে ঘুচিয়ে ফেলছে ফেসবুক। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, ভিডিও লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করে গুগলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ফেসবুক।
২০১৪ সালে ভারচুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট নির্মাতা অকুলাস রিয়েলিটিকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে অধিগ্রহণ করে ফেসবুক। এটি ফেসবুকের জন্য আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারটি গুগলও ধরতে পেরেছে। গুগলও এখন ভারচুয়াল রিয়েলিটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে ফেসবুকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
অবশ্য ফেসবুকের মূল বিষয়টি এখনো সামাজিক যোগাযোগের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত বছরের শেষ তিন মাসে চার কোটি ৬০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে, যা ফেসবুকের জন্য ইতিবাচক লক্ষণ।
বুধবার বিশ্লেষকেদের সামনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে চলা, ভবিষ্যতের জন্য দারুন কিছু তৈরি করার বিষয় নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
এদিকে গুগল এখন আর বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে নেই। মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটি। বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন, ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সফটওয়্যারসহ গুগলের সেবা ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটি। এখন আয়ের দিক বিবেচনায় ধরলে ফেসবুক গুগলকে যেকোনো সময় টপকে যেতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫৯ কোটি। ২০০৪ সালে যে ফেসবুকের জন্ম, তা এখন কৈশরে পা দিয়েছে। ফেসবুক দিন দিন এমন এক অবস্থায় পৌঁছে যাচ্ছে, যেখানে ইন্টারনেটের সবচেয়ে শক্তিশালী কোম্পানি গুগলকে টেক্কা দিতে সক্ষম হবে।
২৭ জানুয়ারি গত বছরের শেষ প্রান্তিক, অর্থাৎ, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর—এই তিন মাসের আয়ের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গত প্রান্তিকে আয়ের ধারায় যে ইতিবাচক প্রবণতা দেখিয়েছে ফেসবুক, এতে গুগলকে টপকে যেতে আর বেশি দেরি নেই।
ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, প্রথমবারের মতো ফেসবুকের প্রান্তিক আয় ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। তিন মাসে ফেসবুকের যে আয়, তা ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইয়াহুর এক বছরের আয়ের চেয়েও বেশি। ভারচুয়াল রিয়েলিটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মোবাইল অ্যাড নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছানোর মতো বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগের পরও ফেসবুকের আয় দ্বিগুণ বেড়েছে।
অর্থ আয়ের দিক থেকে এখনো ফেসবুকের চেয়ে তিনগুণ এগিয়ে গুগল। তবে এই পার্থক্য ধীরে ধীরে ঘুচিয়ে ফেলছে ফেসবুক। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, ভিডিও লাইব্রেরি সমৃদ্ধ করে গুগলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত ফেসবুক।
২০১৪ সালে ভারচুয়াল রিয়েলিটি হেডসেট নির্মাতা অকুলাস রিয়েলিটিকে ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে অধিগ্রহণ করে ফেসবুক। এটি ফেসবুকের জন্য আকর্ষণীয় বাজার হয়ে উঠবে। এ ব্যাপারটি গুগলও ধরতে পেরেছে। গুগলও এখন ভারচুয়াল রিয়েলিটি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিয়ে ফেসবুকের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
অবশ্য ফেসবুকের মূল বিষয়টি এখনো সামাজিক যোগাযোগের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত বছরের শেষ তিন মাসে চার কোটি ৬০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে, যা ফেসবুকের জন্য ইতিবাচক লক্ষণ।
বুধবার বিশ্লেষকেদের সামনে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে চলা, ভবিষ্যতের জন্য দারুন কিছু তৈরি করার বিষয় নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’
এদিকে গুগল এখন আর বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে নেই। মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটি। বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন, ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সফটওয়্যারসহ গুগলের সেবা ব্যবহারকারী সংখ্যা ১০০ কোটি। এখন আয়ের দিক বিবেচনায় ধরলে ফেসবুক গুগলকে যেকোনো সময় টপকে যেতে পারে।
বিশ্বের
সবচেয়ে শক্তিশালী সার্চ ইঞ্জিন গুগল ডিজিটাল বিজ্ঞাপন দেখিয়ে সবচেয়ে বেশি
আয় করছে। গুগল তাদের চতুর্থ প্রান্তিকে এক হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার
আয়ের ঘোষণা দিতে পারে। বিজ্ঞাপন কমিশন খরচ বাদ দিয়ে প্রান্তিক হিসেবে
অ্যালফাবেটের যা আয় দাঁড়াবে, তা অবশ্য ফেসবুকের চেয়ে তিনগুণ বেশি হবে।
বাজার বিশ্লেষকেরা গুগল ও ফেসবুকের আয়ের হার তুলনা করে দেখেছেন ফেসবুক গুগলের চেয়ে এগিয়ে। গত প্রান্তিকে ফেসবুকের আয় বেড়েছে ৫২ শতাংশ আর গুগলের ২৫ শতাংশ। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও গুগলকে পেছনে ফেলেছে ফেসবুক।
বাজার বিশ্লেষকেরা গুগল ও ফেসবুকের আয়ের হার তুলনা করে দেখেছেন ফেসবুক গুগলের চেয়ে এগিয়ে। গত প্রান্তিকে ফেসবুকের আয় বেড়েছে ৫২ শতাংশ আর গুগলের ২৫ শতাংশ। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রেও গুগলকে পেছনে ফেলেছে ফেসবুক।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ |
বাজার
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে ডিজিটাল
বিজ্ঞাপনের বাজার যেখানে ছিল আট শতাংশ। ২০১৫ সালে তা বেড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে।
এক্ষেত্রে গুগলের বাজার দখল ৩২ শতাংশ থেকে কমে ৩০ শতাংশে এসেছে।
ইমার্কেটারের বিশ্লেষক ডেব্র আহো উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমি ফেসবুককে খাটো করে দেখছি না। একাধিক ব্যবসার ক্ষেত্রে ফেসবুক নাড়া দিয়েছে। মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রটিতে পরিবর্তন এনেছে।’
গুগল ও ফেসবুকের এই প্রতিযোগিতার কথা ছেড়ে একটু পেছনে ফেরা যাক। ২০০৪ সালে ইয়াহুর চেয়েও ছোট একটি প্রতিষ্ঠান ছিল গুগল। ইয়াহুকে টপকে যেতে গুগলের বেশি সময় লাগেনি। এর কারণ হচ্ছে ইয়াহু তাদের মূল ব্যবসা বাদ দিয়ে অন্য দিকে নজর দিয়েছিল। গুগল অনুসন্ধান বিজ্ঞাপনে নজর দিয়েছিল। ফেসবুকের চ্যালেঞ্জটি তাই গুগল ভালো করে বোঝে। মুল সার্চ ব্যবসাকে ঠিক রেখেই গুগল ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড, জিমেইল, ক্রোম ব্রাউজারের মতো সেবা তৈরি করেছে। এখন বিনিয়োগকারীরা গুগল ও ফেসবুক দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়েই বাজি ধরতে রাজি। গত বছরে ফেসবুকের শেয়ারের দাম ৩৪ শতাংশ বেড়েছে আর অ্যালফাবেটের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রোজেনব্লান্ট সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক মার্টিন পিকোনেন বলেন, ‘কিছু মানুষ ভাবছেন, ফেসবুক জিতলে কি গুগল হারবে? আমার মতে, গুগল ও ফেসবুক দুজনেরই জয় হবে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ফেসবুক আর গুগল দুটি প্রতিষ্ঠানই এখন বড় দুটি গরিলা।’ বিবিসি, রয়টার্স, আইবিএনলাইভ অবলম্বনে
ইমার্কেটারের বিশ্লেষক ডেব্র আহো উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমি ফেসবুককে খাটো করে দেখছি না। একাধিক ব্যবসার ক্ষেত্রে ফেসবুক নাড়া দিয়েছে। মানুষের যোগাযোগের ক্ষেত্রটিতে পরিবর্তন এনেছে।’
গুগল ও ফেসবুকের এই প্রতিযোগিতার কথা ছেড়ে একটু পেছনে ফেরা যাক। ২০০৪ সালে ইয়াহুর চেয়েও ছোট একটি প্রতিষ্ঠান ছিল গুগল। ইয়াহুকে টপকে যেতে গুগলের বেশি সময় লাগেনি। এর কারণ হচ্ছে ইয়াহু তাদের মূল ব্যবসা বাদ দিয়ে অন্য দিকে নজর দিয়েছিল। গুগল অনুসন্ধান বিজ্ঞাপনে নজর দিয়েছিল। ফেসবুকের চ্যালেঞ্জটি তাই গুগল ভালো করে বোঝে। মুল সার্চ ব্যবসাকে ঠিক রেখেই গুগল ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড, জিমেইল, ক্রোম ব্রাউজারের মতো সেবা তৈরি করেছে। এখন বিনিয়োগকারীরা গুগল ও ফেসবুক দুটি প্রতিষ্ঠান নিয়েই বাজি ধরতে রাজি। গত বছরে ফেসবুকের শেয়ারের দাম ৩৪ শতাংশ বেড়েছে আর অ্যালফাবেটের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪৭ শতাংশ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রোজেনব্লান্ট সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক মার্টিন পিকোনেন বলেন, ‘কিছু মানুষ ভাবছেন, ফেসবুক জিতলে কি গুগল হারবে? আমার মতে, গুগল ও ফেসবুক দুজনেরই জয় হবে। ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ফেসবুক আর গুগল দুটি প্রতিষ্ঠানই এখন বড় দুটি গরিলা।’ বিবিসি, রয়টার্স, আইবিএনলাইভ অবলম্বনে
No comments