সেনাপ্রধান থাকাকালে নিয়ম লঙ্ঘন করেন ভি কে সিং
ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমানে মোদি সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনের সময় নিয়ম লঙ্ঘন এবং সামরিক আদালতে প্রভাব খাটিয়েছেন। এভাবে তিনি জ্যেষ্ঠ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে হয়রানি করেছেন। গত শুক্রবার ভারতের আর্মড ফোর্সেস ট্রাইব্যুনাল (এএফটি) এ কথা বলেছেন। খবর এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার। দার্জিলিংয়ের ‘সুকনা ল্যান্ড কেলেঙ্কারি’র অভিযোগে সামরিক আদালতে শাস্তি পাওয়া ৩৩ কোর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি কে রাথকে খালাসও দেন ওই ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীকে জরিমানা ও তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন। রাথ সামরিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে এএফটিতে আপিল করেছিলেন।
২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে সুকনা সামরিক স্টেশনসংলগ্ন চুমটা চা-বাগানের ৭১ একর জমি একটি আবাসন প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার ‘ষড়যন্ত্রে’ সহায়তা করার অভিযোগ উঠে রাথসহ আট সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করতে ওই জমি দেওয়ার ষড়যন্ত্র করে সেনা কর্মকর্তারা নিরাপত্তা বিবেচনা ও মূল্যবোধ পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছেন। এই অভিযোগে ২০১১ সালে সামরিক আদালত চাকরিতে রাথের জ্যেষ্ঠতা দুই বছরের জন্য স্থগিত করেন, ১৫ বছরের পেনশন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন ও তিরস্কার করেন। ঘটনায় জড়িত থাকায় তৎকালীন সামরিক সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভাদেশ প্রকাশকেও চাকরি থেকে বরখাস্তের সুপারিশ করেন সামরিক আদালত।
শৃঙ্খলা ভঙ্গের’ জন্য আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিচারপতি সুনীল হালিকে প্রধান করে গঠিত দুই সদস্যের এএফটি গত শুক্রবার বলেন, ওই রায়ের ফলে রাথ হয়রানির শিকার হয়েছেন ও তাঁর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে বিচারের নামে তাঁর সঙ্গে তামাশা করা হবে। পরে আদালত সেনা কর্মকর্তা হিসেবে রাথের যাবতীয় আর্থিক সুবিধা ১২ শতাংশ লাভসহ পরিশোধের নির্দেশ দেন এবং সেনাবাহিনীকে এক লাখ রুপি জরিমানা করেন। এএফটির কাছে করা আবেদনে রাথ বলেন, ভি কে সিং ওই বিষয়টিতে ‘অন্যায্য মাত্রায় গুরুত্ব’ দিয়েছিলেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্রকাশের বিরুদ্ধে ভি কে সিংয়ের ‘সাংঘাতিক আক্রোশ’ ছিল। জেনারেল সিং মনে করতেন, তাঁর জন্মতারিখ নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছিল, তাতে অন্যায্য অবস্থান নিয়েছিলেন প্রকাশ।
No comments