আসন নিয়ে নাখোশ হলেও গান্ধীনগরে লড়বেন আদভানি
ভারতের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা এল কে আদভানি গুজরাট রাজ্যের গান্ধীনগর আসনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কিছুটা নরম হয়েছেন। প্রথমে দলীয় সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করলেও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের অনুরোধে শেষ পর্যন্ত ওই আসনে লড়তে রাজি হন তিনি। গত বুধবার রাতে বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকে আদভানিকে গান্ধীনগর আসনে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে তিনি বেশ নাখোশ হন। কারণ, তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে যেন উত্তর প্রদেশের ভোপালে প্রার্থী দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি গান্ধীনগরে তাঁর মনোনয়নের প্রস্তাব প্রথমে প্রত্যাখ্যান করেন। বিজেপির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আদভানির অভিমান ভাঙাতে গতকাল নয়াদিল্লিতে তাঁর বাসভবনে ছুটে যান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি, অরুণ জেটলি, ভেঙ্কাইয়া নাইডু প্রমুখ। আগের দিন রাতে যান লোকসভায় বিজেপির নেতা সুষমা স্বরাজ। সর্বশেষ তাঁকে গান্ধীনগর থেকে লড়তে অনুরোধ করেন আরএসএসের নেতা মোহন ভগবত। এত নেতার অনুরোধের পর আর অনড় থাকতে পারেননি আদভানি। মোদিকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে চটে আছেন আদভানি।
মোদির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মোটেই ভালো যাচ্ছে না। আদভানি এর আগে গান্ধীনগর আসনে বেশ কয়েকবার জয়ী হন। এবার তিনি সেখানে খারাপ ফলাফলের আশঙ্কা করছেন। এ জন্যই ভোপাল থেকে প্রার্থী করতে দলের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বুধবার দলীয় সভায় তাঁকে গান্ধীনগর আসনেই মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে নাখোশ হন আদভানি। তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে রাজি করতে বুধবার রাত থেকে বিজেপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা আদভানির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু ভোপাল আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে অনড় তিনি। মোদি, সুষমা ছাড়াও রাজ্যসভার সদস্য নিতিন গাড়কারিও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত বছর মোদিকে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান করার পর দলের কাছে পদত্যাগপত্র দেন আদভানি। তখন তিনি মন্তব্য করেছিলেন, বিজেপির নেতারা এখন ব্যক্তিগত এজেন্ডাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। পরে অবশ্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুরোধে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করেন তিনি। বিজেপির ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আদভানি দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা লালন করছিলেন। কিন্তু এবার মোদিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। বিবিসি ও আইএএনএস।
No comments