পাকিস্তানের সঙ্গে অংশীদারি জোরালো করতে চায় চীন
পাকিস্তানের সঙ্গে অংশীদারিমূলক সম্পর্ক জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং। পাকিস্তানের জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। দুদিনের সফরে গতকাল বুধবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছে লি এই ঘোষণা দেন। লি বলেন, আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি যাই হোক, দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করা হবে। ভারত সফর শেষে চীনা প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী ‘মিত্র’ দেশটিতে গেলেন। ইসলামাবাদের পার্শ্ববর্তী রাওয়ালপিন্ডির নূর খান বিমান ঘাঁটিতে লিকে স্বাগত জানান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। চীনা প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইসলামাবাদে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান সফরকালে লি সে দেশের প্রেসিডেন্ট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান মীর হাজার খান খোসোর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার ভাবী প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি। চীনা প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম পিটিভি বলেছে, ‘দুই দেশের ভবিষ্যৎ সহায়তা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদারের কৌশল বের করে আনাই হচ্ছে এই সফরের উদ্দেশ্য। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতি যাই হোক পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’ পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে লি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে এখনো অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর এক হাজার ২০০ কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আগামী দুই-তিন বছরের এই বিনিয়োগ দেড় হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে আগ্রহী উভয়পক্ষ। লি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে চীন ও পাকিস্তানের পারস্পরিক সহযোগিতা দরকার। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং একটি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির মতো অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে আমাদের দুই পক্ষকে নজর দেওয়া দরকার।’ পাকিস্তানে বর্তমানে চরম বিদ্যুৎ সংকটের কারণে অনেক স্থানে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে দেশটির অনেক শিল্পকারখানা। এ কারণে হাজার হাজার মানুষ ইতিমধ্যে চাকরিও হারিয়েছে। অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। জেঁকে বসছে দারিদ্র্য।
No comments