মিডিয়ায় মুণ্ডপাত অস্ট্রেলিয়ার
পরাজয়ের বৃত্তে দল, নির্বাচকদের মধ্যে কোন্দল, অধিনায়কত্ব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিতর্ক এবং সংবাদমাধ্যমে খেলোয়াড়দের মুণ্ডপাত; কোন ক্রিকেট দলের কথা বলা হচ্ছে বলুন তো? যে অস্ট্রেলিয়া একসময় বহু দলের এমন পরিণতির জন্য ‘দায়ী’ ছিল। যাদের কাছে টানা হেরে বাকিদের নাভিশ্বাস উঠত, তারাই এখন এই পরিস্থিতির শিকার।
সেই বিশ্বজয়ী অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়া এখন জয়ের গন্ধ নিতেও ভুলে গেছে। টেস্ট, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে—তিন ধরনের ক্রিকেটেই টানা হারতে থাকা রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্কদের এখন যাচ্ছেতাই অবস্থা। ওদিকে মোটামুটি ভালো ফর্ম নিয়ে আশির দশকের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড।
এমন পরিস্থিতিতে দারুণ চটেছে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যম জরুরি অবস্থা ঘোষণার ভঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইস ইন ক্রাইসিস’! ডেইলি টেলিগ্রাফ লিখেছে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তার জাদু হারিয়ে ফেলেছে।
পত্রিকাটি ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কেন সংকটে’ এই শিরোনামে একটি বিশ্লেষণ ছেপেছে। সেখানে দেশের সিনিয়র ক্রিকেট লেখক রবার্ট ক্রাডক বলছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছাড়াই এখন অনেক ক্রিকেটার জাতীয় দলে চলে আসছেন। ‘কিছু না করে’ মিলিয়ন ডলার কামানো এসব ক্রিকেটারকেই তিনি সর্বনাশের কারণ বলছেন।
কারণ যা-ই হোক, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট যে ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে তাতে সন্দেহ নেই। এখন কথা হচ্ছে, এই ক্রান্তিকালে বোঝা কে টানবেন? স্টিভ ওয়াহর স্বর্ণযুগ থেকে এই সর্বনাশা যুগে অস্ট্রেলিয়া এসেছে পন্টিংয়ের হাত ধরে। পন্টিং যে বুড়িয়ে যাচ্ছেন, সেটাও সত্যি। এখন কে দায়িত্ব নেবেন?
‘অটোমেটিক চয়েস’ হওয়ার কথা সহ-অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের। কিন্তু সে বেচারাও ক্রমাগত হারের স্বাদ পাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, পন্টিংয়ের পর অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত মার্কাস নর্থকে।
নর্থ নিজে এসব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কথা ওড়ার জিনিস নয়। এবার অস্ট্রেলিয়ার সাবেকেরাও মুখ খুলেছেন। তাঁরাও বলছেন, এখনই নর্থকে নিয়ে হইচই করার কিছু নেই, ক্লার্ককেই দায়িত্ব দিতে হবে।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্ষীয়ান ধারাভাষ্যকার রিচি বেনো বলছেন, ‘আমি তো পন্টিংয়ের পর ক্লার্কের অধিনায়কত্ব না করার কোনো কারণ দেখছি না।’ ক্লার্কের পক্ষে দাঁড়িয়ে সাবেক অলরাউন্ডার অ্যালান ডেভিডসন বলছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে হারের দায় ক্লার্কের নয়, কারণ বোলাররা একেবারে বাজে খেলেছে ওই দিন।’
এ রকম যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে, কিন্তু সমস্যার সমাধান কোথায়?
সেই বিশ্বজয়ী অপরাজেয় অস্ট্রেলিয়া এখন জয়ের গন্ধ নিতেও ভুলে গেছে। টেস্ট, টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে—তিন ধরনের ক্রিকেটেই টানা হারতে থাকা রিকি পন্টিং, মাইকেল ক্লার্কদের এখন যাচ্ছেতাই অবস্থা। ওদিকে মোটামুটি ভালো ফর্ম নিয়ে আশির দশকের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাশেজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে পৌঁছে গেছে ইংল্যান্ড।
এমন পরিস্থিতিতে দারুণ চটেছে অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম। সংবাদমাধ্যম জরুরি অবস্থা ঘোষণার ভঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে, ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইস ইন ক্রাইসিস’! ডেইলি টেলিগ্রাফ লিখেছে, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট তার জাদু হারিয়ে ফেলেছে।
পত্রিকাটি ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট কেন সংকটে’ এই শিরোনামে একটি বিশ্লেষণ ছেপেছে। সেখানে দেশের সিনিয়র ক্রিকেট লেখক রবার্ট ক্রাডক বলছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছাড়াই এখন অনেক ক্রিকেটার জাতীয় দলে চলে আসছেন। ‘কিছু না করে’ মিলিয়ন ডলার কামানো এসব ক্রিকেটারকেই তিনি সর্বনাশের কারণ বলছেন।
কারণ যা-ই হোক, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট যে ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে তাতে সন্দেহ নেই। এখন কথা হচ্ছে, এই ক্রান্তিকালে বোঝা কে টানবেন? স্টিভ ওয়াহর স্বর্ণযুগ থেকে এই সর্বনাশা যুগে অস্ট্রেলিয়া এসেছে পন্টিংয়ের হাত ধরে। পন্টিং যে বুড়িয়ে যাচ্ছেন, সেটাও সত্যি। এখন কে দায়িত্ব নেবেন?
‘অটোমেটিক চয়েস’ হওয়ার কথা সহ-অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কের। কিন্তু সে বেচারাও ক্রমাগত হারের স্বাদ পাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, পন্টিংয়ের পর অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত মার্কাস নর্থকে।
নর্থ নিজে এসব কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কথা ওড়ার জিনিস নয়। এবার অস্ট্রেলিয়ার সাবেকেরাও মুখ খুলেছেন। তাঁরাও বলছেন, এখনই নর্থকে নিয়ে হইচই করার কিছু নেই, ক্লার্ককেই দায়িত্ব দিতে হবে।
সাবেক অধিনায়ক ও বর্ষীয়ান ধারাভাষ্যকার রিচি বেনো বলছেন, ‘আমি তো পন্টিংয়ের পর ক্লার্কের অধিনায়কত্ব না করার কোনো কারণ দেখছি না।’ ক্লার্কের পক্ষে দাঁড়িয়ে সাবেক অলরাউন্ডার অ্যালান ডেভিডসন বলছেন, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে হারের দায় ক্লার্কের নয়, কারণ বোলাররা একেবারে বাজে খেলেছে ওই দিন।’
এ রকম যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে, কিন্তু সমস্যার সমাধান কোথায়?
No comments