তামিমেই যেন শেষ হয়!
কেউ চেয়ারে গা এলিয়ে দিয়েছেন। কেউ পা ছড়িয়ে মেঝেতেই বসে। অপেক্ষা—কখন মাঠে নামার অনুমতি মিলবে, শুরু হবে অনুশীলন। কাল নিউজিল্যান্ড দল প্র্যাকটিস করে চলে যাওয়ার পর তাদের খালি ড্রেসিংরুমটা দখল করে নিয়েছিল বিসিবি একাদশের ক্রিকেটাররা।
মাঠে জাতীয় দলের প্রস্তুতি চলায় কোচ সারোয়ার ইমরান শেষতক অনুশীলন না করেই বিসিবি একাদশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ছেড়ে গেছেন মাঠ। একটু পর বিকেএসপি থেকে আসা খবরটা শুনে অবশ্য ফালতু পরিশ্রম করতে না হওয়ার স্বস্তি পেতে পারেন তিনি। বৃষ্টিতে অনুপযুক্ত বিকেএসপির মাঠ যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিলই করে দিয়েছে! কাল দল ঘোষণা হলেও সংশয় আছে আগামী পরশুর দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি নিয়েও।
কাল দুপুরের পর বৃষ্টি হয়েছে মিরপুরেও। তবে সেটা বাংলাদেশের অনুশীলন বিঘ্নিত করার মতো জোরালো হয়নি। বরং বেলা ১টা থেকে বিকেল প্রায় ৫টা পর্যন্ত মাঠের মাঝখানের উইকেট আর নেট মিলিয়ে তুমুল অনুশীলন চলল নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য। প্রায় চার ঘণ্টার অনুশীলনের মাঝে দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনের ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়ার দৃশ্য আলাদা করেই চোখে পড়ল।
অনুশীলনে ৫ ওভার বল করার পর পিঠের পেশিতে টান লাগে মাশরাফির। ফিজিও ‘ও কিছু নয়, সামান্য ব্যথা’ বলে উড়িয়ে দিলেন। মাশরাফিও বললেন তাই, ‘পুরোনো ব্যথাতেই আবার একটু লেগেছে। সমস্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আর বল করিনি। তবে বড় কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।’ খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি না হলেও মাশরাফির তুলনায় রুবেলের হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যাটা বেশি। কাল ৫ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি তিনিও। আগামী দু-এক দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হলেও কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, ‘ও একটু নার্ভাস, ব্যথাও ছিল। তবে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফিজিও আশাবাদী। আমিও আশা করি ও ঠিক হয়ে যাবে।’ তবে নাজমুল হোসেনকে আজ থেকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলাটা রুবেলের সমস্যাটাকে খুব সাধারণ মনে করতে দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ দলে এর বাইরেও টুকটাক চোট-আঘাতের সমস্যা আছে। জুনায়েদ সিদ্দিকের যেমন হাঁটুতে ব্যথা, জহুরুল ইসলামের পাঁজরে। ওপেনার ইমরুল কায়েস এখন ঠিক হয়ে গেলেও দিন দুয়েক আগেও কুঁচকির সমস্যায় ভুগেছেন। মাশরাফি অবশ্য নিজের পিঠের ব্যথার মতো কোনোটিকেই এমন গুরুতর কিছু মনে করছেন না।
অধিনায়কের আশাবাদ সত্যি হলেই ভালো। তামিম ইকবালকে হারানোর বিষম আঘাত এসেছে সিরিজের আগেই। অন্য কেউও তাঁর সঙ্গী হলে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানানোর স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যাবে। তামিমকে হারানোটাকে বড় ক্ষতি বলে মেনেও সিডন্স অবশ্য আশাতেই বসত গড়ছেন, ‘তামিমের জায়গায় যে (শাহরিয়ার নাফীস) এসেছে, তাঁর ব্যাটিংয়ে আমি খুশি। তামিম নেই, আশরাফুলও বাজে ফর্মের কারণে বাইরে। তাতে ব্যাটিং লাইনআপটা অন্যরকম হয়ে গেলেও আমি আশাবাদী।’
দুই দিন ধরে মোহাম্মদ আশরাফুলের নামের সঙ্গে ‘বাজে ফর্ম’ শব্দ দুটিই বেশি আসছে। সিডন্সের আগে পরশু ভেট্টোরিও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সেটা। বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আজকের প্রস্তুতি ম্যাচেই শুরু করতে পারতেন ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই। তবে ম্যাচটা হচ্ছে না বলে তাঁর কোনো দুঃখ নেই। ফর্ম ফিরে পেতে জাতীয় লিগের দিকেই তাকিয়ে তিনি, ‘জাতীয় লিগে পাঁচ ম্যাচে ১০টা ইনিংস...যদি তিন-চারটা সেঞ্চুরি করতে পারি...।’
আশরাফুল যখন কথাগুলো বলছিলেন, মাঠে অনুশীলন চলছিল মাশরাফি-সাকিবদের। দলে ফেরার আশাবাদের সঙ্গে একটা দুঃখের বীণাও কি বেজে উঠল সেদিকে তাকিয়ে! ‘এটা তো মেনে নিতেই হবে। আমি প্রায় এক বছর ভালো খেলিনি। সিরিজ চলবে, আর আমি বাইরে বসে থাকব, এটা আমার প্রাপ্যই’—নিরুত্তাপ কণ্ঠে বললেন কথাগুলো, কিন্তু হাহাকারটা ঠিকই টের পাওয়া গেল আশরাফুলের কথায়।
নিউজিল্যান্ড বলেই দুঃখটা আরও বেশি হওয়ার কথা। দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ সফরে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই জিতিয়েছিলেন দলকে। মাঝের দুই বছর আশরাফুলের ক্যারিয়ারে যে সেই পুরোনো জোয়ার-ভাটার খেলা! এখন চলছে ভাটার টান। বিশ্বকাপের আগে কি আর আসবে জোয়ার?
মাঠে জাতীয় দলের প্রস্তুতি চলায় কোচ সারোয়ার ইমরান শেষতক অনুশীলন না করেই বিসিবি একাদশের ক্রিকেটারদের নিয়ে ছেড়ে গেছেন মাঠ। একটু পর বিকেএসপি থেকে আসা খবরটা শুনে অবশ্য ফালতু পরিশ্রম করতে না হওয়ার স্বস্তি পেতে পারেন তিনি। বৃষ্টিতে অনুপযুক্ত বিকেএসপির মাঠ যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচটি বাতিলই করে দিয়েছে! কাল দল ঘোষণা হলেও সংশয় আছে আগামী পরশুর দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচটি নিয়েও।
কাল দুপুরের পর বৃষ্টি হয়েছে মিরপুরেও। তবে সেটা বাংলাদেশের অনুশীলন বিঘ্নিত করার মতো জোরালো হয়নি। বরং বেলা ১টা থেকে বিকেল প্রায় ৫টা পর্যন্ত মাঠের মাঝখানের উইকেট আর নেট মিলিয়ে তুমুল অনুশীলন চলল নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য। প্রায় চার ঘণ্টার অনুশীলনের মাঝে দুই পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও রুবেল হোসেনের ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছাড়ার দৃশ্য আলাদা করেই চোখে পড়ল।
অনুশীলনে ৫ ওভার বল করার পর পিঠের পেশিতে টান লাগে মাশরাফির। ফিজিও ‘ও কিছু নয়, সামান্য ব্যথা’ বলে উড়িয়ে দিলেন। মাশরাফিও বললেন তাই, ‘পুরোনো ব্যথাতেই আবার একটু লেগেছে। সমস্যা যাতে না বাড়ে, সে জন্য আর বল করিনি। তবে বড় কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না।’ খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি না হলেও মাশরাফির তুলনায় রুবেলের হ্যামস্ট্রিংয়ের সমস্যাটা বেশি। কাল ৫ ওভারের বেশি বল করতে পারেননি তিনিও। আগামী দু-এক দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত হলেও কোচ জেমি সিডন্স বলেছেন, ‘ও একটু নার্ভাস, ব্যথাও ছিল। তবে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ফিজিও আশাবাদী। আমিও আশা করি ও ঠিক হয়ে যাবে।’ তবে নাজমুল হোসেনকে আজ থেকে দলের সঙ্গে যোগ দিতে বলাটা রুবেলের সমস্যাটাকে খুব সাধারণ মনে করতে দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ দলে এর বাইরেও টুকটাক চোট-আঘাতের সমস্যা আছে। জুনায়েদ সিদ্দিকের যেমন হাঁটুতে ব্যথা, জহুরুল ইসলামের পাঁজরে। ওপেনার ইমরুল কায়েস এখন ঠিক হয়ে গেলেও দিন দুয়েক আগেও কুঁচকির সমস্যায় ভুগেছেন। মাশরাফি অবশ্য নিজের পিঠের ব্যথার মতো কোনোটিকেই এমন গুরুতর কিছু মনে করছেন না।
অধিনায়কের আশাবাদ সত্যি হলেই ভালো। তামিম ইকবালকে হারানোর বিষম আঘাত এসেছে সিরিজের আগেই। অন্য কেউও তাঁর সঙ্গী হলে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ জানানোর স্বপ্নটা স্বপ্নই থেকে যাবে। তামিমকে হারানোটাকে বড় ক্ষতি বলে মেনেও সিডন্স অবশ্য আশাতেই বসত গড়ছেন, ‘তামিমের জায়গায় যে (শাহরিয়ার নাফীস) এসেছে, তাঁর ব্যাটিংয়ে আমি খুশি। তামিম নেই, আশরাফুলও বাজে ফর্মের কারণে বাইরে। তাতে ব্যাটিং লাইনআপটা অন্যরকম হয়ে গেলেও আমি আশাবাদী।’
দুই দিন ধরে মোহাম্মদ আশরাফুলের নামের সঙ্গে ‘বাজে ফর্ম’ শব্দ দুটিই বেশি আসছে। সিডন্সের আগে পরশু ভেট্টোরিও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন সেটা। বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আজকের প্রস্তুতি ম্যাচেই শুরু করতে পারতেন ফর্ম ফিরে পাওয়ার লড়াই। তবে ম্যাচটা হচ্ছে না বলে তাঁর কোনো দুঃখ নেই। ফর্ম ফিরে পেতে জাতীয় লিগের দিকেই তাকিয়ে তিনি, ‘জাতীয় লিগে পাঁচ ম্যাচে ১০টা ইনিংস...যদি তিন-চারটা সেঞ্চুরি করতে পারি...।’
আশরাফুল যখন কথাগুলো বলছিলেন, মাঠে অনুশীলন চলছিল মাশরাফি-সাকিবদের। দলে ফেরার আশাবাদের সঙ্গে একটা দুঃখের বীণাও কি বেজে উঠল সেদিকে তাকিয়ে! ‘এটা তো মেনে নিতেই হবে। আমি প্রায় এক বছর ভালো খেলিনি। সিরিজ চলবে, আর আমি বাইরে বসে থাকব, এটা আমার প্রাপ্যই’—নিরুত্তাপ কণ্ঠে বললেন কথাগুলো, কিন্তু হাহাকারটা ঠিকই টের পাওয়া গেল আশরাফুলের কথায়।
নিউজিল্যান্ড বলেই দুঃখটা আরও বেশি হওয়ার কথা। দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ডের সর্বশেষ সফরে তিনি ছিলেন অধিনায়ক। প্রথম ওয়ানডেতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েই জিতিয়েছিলেন দলকে। মাঝের দুই বছর আশরাফুলের ক্যারিয়ারে যে সেই পুরোনো জোয়ার-ভাটার খেলা! এখন চলছে ভাটার টান। বিশ্বকাপের আগে কি আর আসবে জোয়ার?
No comments