উৎসবে থমকে যাচ্ছে ব্রাজিল
বিশ্বকাপ গত পরশু শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু ব্রাজিলে এখনো উৎসবটা জমে ওঠেনি। জমবে, আগামী মঙ্গলবার থেকেই জমবে। কেমন উৎসব হবে, কল্পনা করুন।
সমুদ্রসৈকতগুলোতে সাম্বা নাচ হবে, বার-রেস্টুরেন্টে দল বেঁধে খেলা দেখা হবে, জয়ের পর সারা দেশে উন্মাতাল নাচ হবে। কিন্তু এসবের চেয়ে বেশি হবে থমকে যাওয়া। বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে কার্যত থেমে যাবে ব্রাজিলের অফিস-আদালত-স্কুল-কলেজের কাজ, এমনকি রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম!
এরই মধ্যে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংককে ব্রাজিলের ম্যাচের দিন আগে আগে ছুটি দিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। মুদ্রাবাজারের কার্যক্রম চলবে সীমিত আকারে। এ ছাড়া বেশির ভাগ সরকারি অফিসে ব্রাজিলের খেলার দিনগুলোতে পুরোপুরি ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, তারাও ছুটি দিয়ে দেবে ম্যাচের দিন। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান আগে আগে অফিস শেষ করে দেবে। যেসব প্রতিষ্ঠান তাও পারছে না, তারা অফিসেই বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা করছে।
দেশটির আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে তেল আইন সংস্কারের বিল পাস করায় হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগেভাগে এ বিলটি পাস না হলে বিশ্বকাপজটে পড়ে যেত তা। কারণ, ব্রাজিলের খেলার দিন কংগ্রেস বন্ধ থাকবে। আর আইনপ্রণেতারাও বিশ্বকাপের সময়টাকে অনানুষ্ঠানিক ছুটি হিসেবেই দেখেন।
এই দারুণ স্থবিরতা ব্রাজিলের অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করে ফেলবে না? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অর্থনীতিবিদেরা হিসাব কষে দেখেছেন, এই সময়ে কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাবে বটে, বিপরীতে আবার দারুণ চাঙা হয়ে উঠছে কিছু অর্থনীতি।
সবচেয়ে বেশি চাঙা হয়ে উঠছে দেশের ইলেকট্রনিকস ব্যবসা। হু হু করে বাড়ছে প্লাজমা টেলিভিশন থেকে শুরু করে সাধারণ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বিনোদনভিত্তিক পণ্যের বিক্রি। ‘ইলেকট্রোশপিং’ নামের একটি ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্রের পাইকারি বিক্রেতা কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো ফ্রেতিয়াস বলেছেন, তাঁদের বিক্রি এই সময়ে ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘কাপ-সংক্রান্ত বিক্রি-বাট্টা সত্যি অনেক বেশি। বিশেষত, সর্বশেষ প্রজন্মের ডিজিটাল টেলিভিশনের বিক্রি খুব বেড়ে গেছে। কারণ, এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির খেলা সম্প্রচার হচ্ছে।’
এ ছাড়া বাড়ছে খাবার ও বিয়ারের মতো পণ্যের বিক্রিও। বাড়ছে বার ও রেস্তোরাঁগুলোয় বেচাকেনা। এসব স্থানে বসানো হয়েছে বড় পর্দার টিভি। এখনই তাদের সেরা টেবিলগুলো, যেখান থেকে টেলিভিশন সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়, সেগুলো এক মাসের জন্য আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
এত কিছুর পরও সাবেক ফুটবলার সক্রেটিসের মতো কেউ কেউ অনুমান করছেন, এবার বিশ্বকাপে ব্রাজিল ঠিক আগের মতো মেতে উঠবে না। আগের মতো সাম্বায় নাচবে না সৈকতগুলো। কারণ, ব্রাজিলিয়ানরা নাকি দুঙ্গার এই দলের ফুটবলে খুশি হতে পারছে না।
কিন্তু সক্রেটিসের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না এরই মধ্যে কোপাকাবানা সৈকতে নাচ শুরু করে দেওয়া স্থানীয় শ্রমিক আন্তেনর আসিস। রিও ডি জেনেরিওর এই সৈকতে বসানো হয়েছে বিশাল ডিজিটাল স্ক্রিন। সেই স্ক্রিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মেক্সিকোর উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে দেখতে আসিস বললেন, ‘অন্যবার তো লোকে যা চায়, সে রকম খেলোয়াড়রাই ছিল দলে, তখন আমরা জিততে পারিনি। খেলা ভালো না কুিসত—বিশ্বকাপে এসব ভাবার খুব বেশি সময় নেই। গোল পেতে হবে, এটাই বড় কথা।’
দুঙ্গার পক্ষেও তাহলে সমর্থন আছে।
সমুদ্রসৈকতগুলোতে সাম্বা নাচ হবে, বার-রেস্টুরেন্টে দল বেঁধে খেলা দেখা হবে, জয়ের পর সারা দেশে উন্মাতাল নাচ হবে। কিন্তু এসবের চেয়ে বেশি হবে থমকে যাওয়া। বলা হচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে কার্যত থেমে যাবে ব্রাজিলের অফিস-আদালত-স্কুল-কলেজের কাজ, এমনকি রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম!
এরই মধ্যে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংককে ব্রাজিলের ম্যাচের দিন আগে আগে ছুটি দিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। মুদ্রাবাজারের কার্যক্রম চলবে সীমিত আকারে। এ ছাড়া বেশির ভাগ সরকারি অফিসে ব্রাজিলের খেলার দিনগুলোতে পুরোপুরি ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, তারাও ছুটি দিয়ে দেবে ম্যাচের দিন। আবার কিছু প্রতিষ্ঠান আগে আগে অফিস শেষ করে দেবে। যেসব প্রতিষ্ঠান তাও পারছে না, তারা অফিসেই বড় পর্দায় খেলা দেখার ব্যবস্থা করছে।
দেশটির আইনপ্রণেতারা এরই মধ্যে তেল আইন সংস্কারের বিল পাস করায় হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছেন বিনিয়োগকারীরা। বিশ্লেষকেরা সতর্ক করে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপের আগেভাগে এ বিলটি পাস না হলে বিশ্বকাপজটে পড়ে যেত তা। কারণ, ব্রাজিলের খেলার দিন কংগ্রেস বন্ধ থাকবে। আর আইনপ্রণেতারাও বিশ্বকাপের সময়টাকে অনানুষ্ঠানিক ছুটি হিসেবেই দেখেন।
এই দারুণ স্থবিরতা ব্রাজিলের অর্থনীতিকে বিধ্বস্ত করে ফেলবে না? ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অর্থনীতিবিদেরা হিসাব কষে দেখেছেন, এই সময়ে কিছু অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাবে বটে, বিপরীতে আবার দারুণ চাঙা হয়ে উঠছে কিছু অর্থনীতি।
সবচেয়ে বেশি চাঙা হয়ে উঠছে দেশের ইলেকট্রনিকস ব্যবসা। হু হু করে বাড়ছে প্লাজমা টেলিভিশন থেকে শুরু করে সাধারণ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বিনোদনভিত্তিক পণ্যের বিক্রি। ‘ইলেকট্রোশপিং’ নামের একটি ইলেকট্রনিকস জিনিসপত্রের পাইকারি বিক্রেতা কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দো ফ্রেতিয়াস বলেছেন, তাঁদের বিক্রি এই সময়ে ৩০ শতাংশ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘কাপ-সংক্রান্ত বিক্রি-বাট্টা সত্যি অনেক বেশি। বিশেষত, সর্বশেষ প্রজন্মের ডিজিটাল টেলিভিশনের বিক্রি খুব বেড়ে গেছে। কারণ, এখন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির খেলা সম্প্রচার হচ্ছে।’
এ ছাড়া বাড়ছে খাবার ও বিয়ারের মতো পণ্যের বিক্রিও। বাড়ছে বার ও রেস্তোরাঁগুলোয় বেচাকেনা। এসব স্থানে বসানো হয়েছে বড় পর্দার টিভি। এখনই তাদের সেরা টেবিলগুলো, যেখান থেকে টেলিভিশন সবচেয়ে ভালোভাবে দেখা যায়, সেগুলো এক মাসের জন্য আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
এত কিছুর পরও সাবেক ফুটবলার সক্রেটিসের মতো কেউ কেউ অনুমান করছেন, এবার বিশ্বকাপে ব্রাজিল ঠিক আগের মতো মেতে উঠবে না। আগের মতো সাম্বায় নাচবে না সৈকতগুলো। কারণ, ব্রাজিলিয়ানরা নাকি দুঙ্গার এই দলের ফুটবলে খুশি হতে পারছে না।
কিন্তু সক্রেটিসের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না এরই মধ্যে কোপাকাবানা সৈকতে নাচ শুরু করে দেওয়া স্থানীয় শ্রমিক আন্তেনর আসিস। রিও ডি জেনেরিওর এই সৈকতে বসানো হয়েছে বিশাল ডিজিটাল স্ক্রিন। সেই স্ক্রিনে দক্ষিণ আফ্রিকা ও মেক্সিকোর উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে দেখতে আসিস বললেন, ‘অন্যবার তো লোকে যা চায়, সে রকম খেলোয়াড়রাই ছিল দলে, তখন আমরা জিততে পারিনি। খেলা ভালো না কুিসত—বিশ্বকাপে এসব ভাবার খুব বেশি সময় নেই। গোল পেতে হবে, এটাই বড় কথা।’
দুঙ্গার পক্ষেও তাহলে সমর্থন আছে।
No comments